আফগানিস্তানের মন্ত্রণালয়ে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ১
Published: 13th, February 2025 GMT
আফগানিস্তানের নগর উন্নয়ন ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ে আজ বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল অ্যারাবিয়া নিউজের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “আত্মঘাতী হামলাকারী মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। হামলাকারীকে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন গুলি করে। এরপর বিস্ফোরণের ফলে তার কাছে থাকা আরেকজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়।”
২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসা এবং তাদের বিদ্রোহের অবসান ঘটানোর পর থেকে আফগানিস্তানে সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে। তবে ইসলামিক স্টেট অব সিরিয়া অ্যান্ড লেভান্ট (আইএসআইএস) গোষ্ঠী প্রায়শই তাদের শাসনকে চ্যালেঞ্জ করে বন্দুক ও বোমা হামলা চালিয়ে থাকে।
আরো পড়ুন:
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫
আফগানিস্তানের দল ঘোষণা, ফিরলেন ইব্রাহিম
রশিদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আফগানিস্তানের সিরিজ জয়
বৃহস্পতিবারের এ হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায় স্বীকার করেনি।
তবে, ডিসেম্বরে তালেবান সরকারের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানিকে তার কাবুল অফিসে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনায় আইএসআইএস দায় স্বীকার করে।
এই গোষ্ঠীটি গতকাল বুধবার উত্তর আফগানিস্তানের একটি ব্যাংকে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায়ও স্বীকার করেছে। ওই হামলায় আটজন নিহত হন।
২০২৩ সালে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আইএসআইএসের দাবি করা এক হামলায় ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।
ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবান সরকার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবান সরকার ব্যাপক দমন-পীড়নের মাধ্যমে আইএসআইএসকে দমন করতে কিছুটা সাফল্য পেয়েছে।
তবে, এই গোষ্ঠীটি সক্রিয় রয়েছে। তালেবান সরকারের কর্মকর্তা, বিদেশি পর্যটক ও বিদেশি কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে থাকে।
তালেবান সরকারের দেওয়া হতাহতের সংখ্যা ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের তথ্যের মধ্যে প্রায়শই পার্থক্য দেখা যায়।
আফগানিস্তানে আইএসআইএসের আঞ্চলিক শাখাটি ‘আইএসআইএস খোরাসান’ নামে পরিচিত। ২০১৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০২১ সালের আগস্টে কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় বোমা হামলা চালিয়ে ১৩ জন মার্কিন সেনার সঙ্গে প্রায় ১৭০ জন আফগানকে হত্যা করার মাধ্যমে গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক পরিচিতি পায়।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন ত ল ব ন সরক র র আফগ ন স ত ন র মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
এসিল্যান্ডের ওপর হামলার চেষ্টা, একজন গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে এসিল্যান্ডের ওপর হামলার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার ভোরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথিত স্থানীয় সমন্বয়ক ফরহাদ ইবনে রুমিকে উপজেলার উবাহাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ফরহাদ উপজেলার উবাহাটা এলাকার দিদার হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার উপজেলার নতুন ব্রিজ এলাকায় আদালতের আদেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব। এ সময় ফরহাদ সহকারী কমিশনারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে সহকারী কমিশনারের ওপর হামলার চেষ্টা করে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ ঘটনায় বুধবার ভোরে শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আরাফি তাজোয়ার আমিনের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ফরহাদ ও তার লোকজন উবাহাটা মৌজার খাস খতিয়ানে রাস্তা ও এক ব্যক্তির প্রায় ২০ ফুট জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে। এ ঘটনায় ফরহাদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলায় দায়ের করেন বাবুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি। ওই মামলায় সম্প্রতি অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাবুল মিয়ার পক্ষে আদেশ প্রদান করেন। ওই আদেশের পর সহকারী কমিশনার ফরহাদের ভূমি উচ্ছেদ করতে গেলে সে বাধা দেয়।
মামলার বাদী বাবুল মিয়া জানান, ফরহাদসহ তার লোকজন এলাকার প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাঁর জায়গাসহ রাস্তার জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। উপজেলা এসিল্যান্ড সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে গেলে ফরহাদ তার ওপরও চড়াও হয়।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, ফরহাদ এতদিন যুবলীগের পরিচয় দিলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেকে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলে দাবি করছে। গত কয়েক মাসে সে এলাকায় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
চুনারুঘাট উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তোফাজ্জল মিয়া বলেন, ফরহাদ নামে কোন সমন্বয়ক নেই, সে নিজেকে জাহির করার জন্য এমন পরিচয় দিয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে তিনি ওই স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযানে গেলে ফরহাদ সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হামলার চেষ্টা করে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম জানান, সেনাবাহিনী ফরহাদকে আটকের পর থানায় হস্তান্তর করলে বাবুল মিয়ার দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।