আফগানিস্তানের নগর উন্নয়ন ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ে আজ বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল অ্যারাবিয়া নিউজের। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “আত্মঘাতী হামলাকারী মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। হামলাকারীকে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন গুলি করে। এরপর বিস্ফোরণের ফলে তার কাছে থাকা আরেকজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়।”

২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসা এবং তাদের বিদ্রোহের অবসান ঘটানোর পর থেকে আফগানিস্তানে সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে। তবে ইসলামিক স্টেট অব সিরিয়া অ্যান্ড লেভান্ট (আইএসআইএস) গোষ্ঠী প্রায়শই তাদের শাসনকে চ্যালেঞ্জ করে বন্দুক ও বোমা হামলা চালিয়ে থাকে।

আরো পড়ুন:

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫
আফগানিস্তানের দল ঘোষণা, ফিরলেন ইব্রাহিম

রশিদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আফগানিস্তানের সিরিজ জয়

বৃহস্পতিবারের এ হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায় স্বীকার করেনি।

তবে, ডিসেম্বরে তালেবান সরকারের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানিকে তার কাবুল অফিসে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনায় আইএসআইএস দায় স্বীকার করে। 

এই গোষ্ঠীটি গতকাল বুধবার উত্তর আফগানিস্তানের একটি ব্যাংকে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায়ও স্বীকার করেছে। ওই হামলায় আটজন নিহত হন।

২০২৩ সালে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আইএসআইএসের দাবি করা এক হামলায় ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।

ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবান সরকার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবান সরকার ব্যাপক দমন-পীড়নের মাধ্যমে আইএসআইএসকে দমন করতে কিছুটা সাফল্য পেয়েছে।

তবে, এই গোষ্ঠীটি সক্রিয় রয়েছে। তালেবান সরকারের কর্মকর্তা, বিদেশি পর্যটক ও বিদেশি কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে থাকে।

তালেবান সরকারের দেওয়া হতাহতের সংখ্যা ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের তথ্যের মধ্যে প্রায়শই পার্থক্য দেখা যায়। 

আফগানিস্তানে আইএসআইএসের আঞ্চলিক শাখাটি ‘আইএসআইএস খোরাসান’ নামে পরিচিত। ২০১৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

২০২১ সালের আগস্টে কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় বোমা হামলা চালিয়ে ১৩ জন মার্কিন সেনার সঙ্গে প্রায় ১৭০ জন আফগানকে হত্যা করার মাধ্যমে গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক পরিচিতি পায়।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন ত ল ব ন সরক র র আফগ ন স ত ন র মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির বক্তব্য, সমালোচনা

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নীলিমা চৌধুরীর উপস্থিতি ও বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে।

গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার সফরে আসেন। দুপুর পৌনে ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।

সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নীলিমা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন এবং বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। এরপর থেকে ছাত্র প্রতিনিধি ও সচেতন মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।

জাবেদ ইকবাল নামের একজন ফেসবুকে লেখেন, প্রধান উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে প্রবেশের ব্যবস্থা কে করলো এবং কীভাবে বক্তব্য রাখলো? তদন্ত পুর্বক সহযোগিতাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

রেজাউল করিম রেজা নামের এক পর্যটন সংগঠক মন্তব্য করেন, ‘‘এদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে গিয়ে পর্যটন নিয়ে মতবিনিময় সভা হলেও  আমরা পর্যটনের লোকজন কথা বলার সুযোগ পাইনি।’’  

তবে তিনি একজন উন্নয়নকর্মী হিসেবে ব্যাপারটি স্বাভাবিক চোখে দেখেছেন অনেকে। 

শাখাওয়াত হোসাইন সুজন নামের একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেন, উনি একজন মানবিক নেত্রী, মানুষের জন্য কাজ করেন। তাকে নিয়ে এমন মন্তব্য খুবই দুঃখজনক। তাহলে তো দেশটা একটা গোষ্ঠীকে দিয়ে দিতে হবে।

নীলিমা চৌধুরী আওয়ামী রজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা যায়। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে তার একনিষ্ঠ প্রচার-প্রচারণার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ ব্যাপারে নীলিমা চৌধুরীর মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজার সফরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উখিয়ায় এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে
  • রোজার কাজা কাফফারা ফিদইয়া ও মানবিক বিধান 
  • বেড়াতে গিয়ে হামলার শিকার দম্পতি, স্বামী আহত
  • রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা
  • আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা চলছে
  • ইংল্যান্ডে দায়িত্ব ছাড়লেন একজন, অপেক্ষায় ৫ জন
  • বাউফলে তরমুজের ট্রলারে ডাকাতির সময় পিটুনিতে একজন নিহত, আহত ৩
  • প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির বক্তব্য, সমালোচনা
  • `ভারতে এসো না, চেষ্টা করলেও পারবে না’
  • ১১ সড়ক খুঁড়ে ঠিকাদারের খবর নেই বছরের পর বছর