সিলেটে বিপণিবিতানের সাইনবোর্ডে ভেসে উঠল, ‘চাচা, হাসু আপা কোথায়?’
Published: 13th, February 2025 GMT
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বিপণিবিতানে একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘চাচা, হাসু আপা কোথায়? মুদির কাছে পালিয়ে গেছে’ লেখা ভেসে উঠেছে। পরে ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিপণিবিতানটির নাম কুশিয়ারা শপিং কমপ্লেক্স। এর অবস্থান উপজেলার চৌমুহনী এলাকায়। গতকাল বুধবার রাতে এর দ্বিতীয় তলায় নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারের পাশে একটি ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘চাচা, হাসু আপা কোথায়? মুদির কাছে পালিয়ে গেছে’ লেখা ভেসে ওঠে। পরে রাতেই ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারের পরিচালক (টেকনিক্যাল) মারজান সিদ্দিকী আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ডিজিটাল সাইনবোর্ডটি কে বা কারা হ্যাক করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ কারণে ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় আলোচনা হয়েছে। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রস্তুতি চলছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, ওই ঘটনার খবর শুনে পুলিশ গতকাল রাতে ওই বিপণিবিতানে গিয়েছিল। তখন বিপণিবিতানটি বন্ধ ছিল। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিপণিবিতানের ব্যবসায়ী সমিতির কয়েকজন থানায় আসেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ডিজিটাল সাইনবোর্ডটি হ্যাক করে ওই লেখা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে বিপণিবিতানের কেউ জড়িত নন। এমনটি যাতে আর না হয়, সে জন্য পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ট ল স ইনব স ইনব র ড
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে নববর্ষকে বরণ, শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ভাস্কর শামীমকে সংবর্ধনা
যশোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মাধ্যমে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কালেক্টরেট চত্বর থেকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা বের হয়।
এর আগে দেশব্যাপী বর্ষবরণ শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীমকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীমের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন।
অনুভূতি ব্যক্তকালে ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম বলেন, এই সম্মাননা শুধু আমার একার নয়। যশোরের সব সাংস্কৃতিক কর্মী, সামাজিক ও রাজনীতিক সর্বোপরি গোটা দেশবাসীর। যশোর থেকে শুরু হওয়া পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা আজ প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাঙালিরা সাড়ম্বরে পালন করছে। এই আনন্দ আজ সবার। আজকের এই সম্মাননায় আমি আপ্লুত, খুশি।
অনুষ্ঠানে যশোর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ৩২টির অধিক সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যশোর কালেক্টরেট চত্বরে সমবেত হয়।
জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ এসো এসো গান গেয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। সম্মাননা অনুষ্ঠানের পরপরই দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় শহরে একটি বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি যশোর কালেক্টরেট চত্বর থেকে বেরিয়ে বকুলতলা, দড়াটানা, চৌরাস্তা, কেশবলাল সড়ক হয়ে যশোর ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এবারের শোভাযাত্রায় সুন্দরবন রক্ষায় বিভিন্ন প্রাণ প্রকৃতি পাখ পাখালির মোটিফ, ঘোড়ারগাড়িসহ গ্রামবাংলার চিরায়ত বিভিন্ন সামগ্রী বহন করা হয় ও র্যালি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। এসময় বিভিন্ন পেশার মানুষ নববর্ষের বাহারি রঙিন পোশাক পরিধান করে তাদের নিজস্ব বাদ্য বাজিয়ে নেচে গেয়ে তারা নববর্ষকে বরণ করে নেয়।
এদিকে, সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে যশোর পৌরপার্কে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যশোর উদীচী, নবকিশলয় স্কুলে বিবর্তন যশোর ও সুরধুনী ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন তাদের নিজ নিজ ভেন্যুতে কবিগান, পালাগান, পঞ্চকবির গান, আধুনিক গান, লোকসংগীত, লোকনৃত্য, বাউল গান পরিবেশন করা হয়।
বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠান সব বয়সের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এ উৎসব দেশে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করবে এমন আশা তাদের।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার রওনক জাহান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ যশোরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।