সিলেটের গোলাপগঞ্জে বিপণিবিতানে একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘চাচা, হাসু আপা কোথায়? মুদির কাছে পালিয়ে গেছে’ লেখা ভেসে উঠেছে। পরে ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিপণিবিতানটির নাম কুশিয়ারা শপিং কমপ্লেক্স। এর অবস্থান উপজেলার চৌমুহনী এলাকায়। গতকাল বুধবার রাতে এর দ্বিতীয় তলায় নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারের পাশে একটি ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘চাচা, হাসু আপা কোথায়? মুদির কাছে পালিয়ে গেছে’ লেখা ভেসে ওঠে। পরে রাতেই ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারের পরিচালক (টেক‌নিক‌্যাল) মারজান সি‌দ্দিকী আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ডি‌জিটাল সাইনবোর্ডটি কে বা কারা হ‌্যাক করে এ ঘটনা ঘ‌টিয়েছে। এ কারণে ভুল–বোঝাবুঝির সৃ‌ষ্টি হয়েছে। বিষয়‌টি নিয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় আলোচনা হয়েছে। থানায় সাধারণ ডায়ে‌রি (জিডি) করার প্রস্তু‌তি চলছে।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, ওই ঘটনার খবর শুনে পুলিশ গতকাল রাতে ওই বিপণিবিতানে গিয়েছিল। তখন বিপণিবিতানটি বন্ধ ছিল। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিপণিবিতানের ব্যবসায়ী সমিতির কয়েকজন থানায় আসেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ডিজিটাল সাইনবোর্ডটি হ্যাক করে ওই লেখা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে বিপণিবিতানের কেউ জড়িত নন। এমনটি যাতে আর না হয়, সে জন্য পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ট ল স ইনব স ইনব র ড

এছাড়াও পড়ুন:

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ১৪৭ কোটি টাকা, ৭ মাসে খরচ ৪৭ লাখ টাকা

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এখন সবচেয়ে পিছিয়ে আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের সাতটি প্রকল্পে ১৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। পাকিস্তান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনেই ও সৌদি আরবে সাতটি চ্যান্সারি কমপ্লেক্স তৈরির জন্য আলাদাভাবে এসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে মাত্র ৪৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাস্তবায়নের হার মাত্র দশমিক ৩৩ শতাংশ।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এডিপি বাস্তবায়নের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আইএমইডি। জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসের হিসাবে এডিপিতে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়েছে।

শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়, ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ গত সাত মাসে তাদের বরাদ্দের মাত্র ১০ শতাংশ খরচ করতে পেরেছে। এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ; প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়; জননিরাপত্তা বিভাগ; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়; অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; ভূমি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়।

ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা খরচ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এডিপিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। এর মানে আগের বার প্রকল্পের মাধ্যমে যত টাকা খরচ করা হয়েছে, এবার তা-ও ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়েছে এবার।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন; ক্ষমতার পটপরিবর্তন এবং ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের খুঁজে না পাওয়া—এসব কিছুর প্রভাব পড়েছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে।

আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী গত জুলাই-জানুয়ারি সময়ে এডিপির মাত্র ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সময়ে ৫৯ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গতবার একই সময়ে খরচের পরিমাণ ছিল ৭৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা।

এর আগে জুলাই-জানুয়ারি হিসাবে কোভিডের বছরে (২০২০-২১ অর্থবছর) ৬১ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। পরের দুই বছরে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা করে খরচ হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ