জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের ইংরেজি ভাষায় সেবা দেওয়া শুরু করেছে। মোবাইল ফোন কিংবা ল্যান্ড ফোন থেকে কল করে এ সেবা নিতে পারবেন বিদেশিরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবার প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থায় কর্মরত দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি এবং বাংলাদেশে বসবাসরত বা ভ্রমণরত বিদেশিরা এখন বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের ‘সিম’ বা ল্যান্ড ফোন ব্যবহার করে ইংরেজি ভাষায় ৯৯৯-এ কল করে জরুরি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারবেন। পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি)নির্দেশনায়, বিদেশি নাগরিকদের জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই সেবা ১২ জানুয়ারি চালু হয়েছে।
ইংরেজি ভাষাভাষি জরুরি সেবাপ্রার্থীদের সহায়তার জন্য প্রতিদিন তিন শিফটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেডিকেটেড ডিউটি ডেস্ক বরাদ্দ করা হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করার পর ইংরেজি ভাষায় সেবা পেতে ২ চাপতে হবে।
বাংলাদেশে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯। এ নম্বরটি টোল ফ্রি। এ নম্বরে কল করা ব্যক্তিকে এক জন অপারেটরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়, যিনি কল করা ব্যক্তিকে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি হেল্প ডেস্কের অধীনে এসব পরিষেবা দেওয়া হয়।
ঢাকা/এমআর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ধর্ষণ’ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের মন্তব্যের নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার
‘ধর্ষণ’ শব্দ পরিহার নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। রবিবার (১৬ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্ষণ শব্দটি পরিহার নিয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আট বছর বয়সী বা ৮০ বছর বয়সী, যার সঙ্গেই হোক না কেন—ধর্ষণ ধর্ষণই। এমন জঘন্য অপরাধকে অবশ্যই যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না অন্তর্বর্তী সরকার।
উল্লেখ্য, শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সংবাদকর্মীদের সংবাদ প্রতিবেদনে ‘ধর্ষণ’ শব্দটির পরিবর্তে ‘নারী নির্যাতন’ শব্দটি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রাজীব