ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ৪০ ছুঁয়েছেন গত সপ্তাহে। এ বয়সে পা রাখার আগেই অনেকে বুট তুলে রাখেন, কিন্তু রোনালদো ব্যতিক্রম। এখনো খেলে যাচ্ছেন, নিয়মিতই গোল করছেন, ৯২৪ গোল হয়ে গেছে। সামনে এখন হাজার গোলের হাতছানি। এরই মধ্যে আরেকটি অর্জনেরও দেখা পেলেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি। খেলাধুলার আর্থিক বিষয়ের সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্টিকো’র হিসাবে এবারও বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যাথলেটের সিংহাসনটি রোনালদোর। টানা দ্বিতীয়বার আয়ে সবার ওপরে আল নাসর তারকা।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপেও সৌদি আরবে নিষিদ্ধ থাকবে মদ২ ঘণ্টা আগে

গত বছর রোনালদোর মোট আয় ২৬ কোটি ডলার বা প্রায় ৩১৫০ কোটি টাকা। সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসর থেকে শুধু পারিশ্রমিক বাবদই পেয়েছেন ২১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বিভিন্ন স্পনসর চুক্তি থেকে পেয়েছেন আরও সাড়ে চার কোটি ডলার।
পেশাদার খেলাধুলা অপেক্ষাকৃত তরুণদের জন্য হলেও এবার স্পোর্টিকোর তালিকায় শীর্ষ আট আয়কারী ক্রীড়াবিদের মধ্যে শুধু নেইমারের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। বাকি সাতজন ৩৫ পার করেছেন।

৩৬ বছর বয়সী বাস্কেটবল কিংবদন্তি স্টিভেন কারি সর্বোচ্চ আয়ের এই তালিকায় দ্বিতীয়। গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্সের এই তারকা গত বছর পারিশ্রমিক বাবদ পেয়েছেন ৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। বিভিন্ন স্পনসর থেকে আয় করেছেন ১০ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে গত বছর কারির মোট আয় ১৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ শীর্ষ আয়কারী অ্যাথলেটদের মধ্যে রোনালদোর আয় বছরে অন্তত ২০ কোটি ডলার ছুঁয়েছে। রোনালদো এ নিয়ে টানা আট বছর অন্তত ১০ কোটি ডলার আয় করলেন। গত বছরও তাঁর ২০ কোটি ডলার ছুঁয়েছিল। ২০০২ সালে স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর এ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে রোনালদোর মোট আয় ১৮০ কোটি ডলার।

ব্রিটেনের ৩৬ বছর বয়সী সাবেক বক্সার টাইসন ফিউরি ১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করে এই তালিকার তিনে। গত বছর পারিশ্রমিক বাবদ আয় করেছেন ১৪ কোটি ডলার। বাকি ৭০ লাখ ডলার আয় করেছেন স্পনসর চুক্তি থেকে। ৩৭ বছর বয়সী ইন্টার মায়ামি তারকা লিওনেল মেসি গত বছর মোট ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করে তালিকার চারে। পারিশ্রমিক বাবদ ৬ কোটি ডলার এবং স্পনসর চুক্তি থেকে সাড়ে ৭ কোটি ডলার আয় করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ১৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় করে পাঁচে বাস্কেটবল কিংবদন্তি ৪০ বছর বয়সী লেব্রন জেমস।

আরও পড়ুনফুটবল ছেড়ে কি আমেরিকান ফুটবলে যোগ দেবেন হ্যারি কেইন৫ ঘণ্টা আগে

শীর্ষ পাঁচজনের মধ্যে ফুটবলার ও বাস্কেটবল খেলোয়াড় দুজন করে, অন্যজন বক্সার। শীর্ষ দশ আয়কারীর মধ্যে ফুটবলারই সবচেয়ে বেশি—পাঁচজন। বক্সার ও বাস্কেটবল খেলোয়াড় দুজন করে ও গলফার একজন।

সান্তোসে ফেরা নেইমার গত বছর ১৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার আয় করে তালিকার ছয়ে। আল ইত্তিহাদের ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলার আয় করে আটে। ১১ কোটি ডলার আয় করে নয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।

সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যাথলেটদের শীর্ষ দশে নেইমারও আছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব স ক টবল বছর বয়স গত বছর ফ টবল ত বছর র বয়স বদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘ইনসাফ যেন শুরু হয় জাতিসংঘের নিজের অফিস থেকে’

জাতিসংঘের তিনটি প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিনজন আত্মীয় কাজ করছেন বলে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেছেন, ‘আমি জাতিসংঘের মহাসচিবকে বলেছি, জাতিসংঘ যেহেতু ইনসাফ চায়, ইনসাফটা যেন শুরু হয় জাতিসংঘের নিজের অফিস থেকে।’

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমের কাছে এ কথাগুলো বলেন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। রাজধানীর শাহবাগের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ বৈঠক হয়।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বলেছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় শেখ হাসিনার মেয়ে কাজ করছেন, ইউএনডিপিতে (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) শেখ রেহানার ছেলে ববি কাজ করছেন এবং ববির স্ত্রী কাজ করছেন মাইগ্রেশন অর্গানাইজেশনে। আমরা বলেছি এই নিয়োগগুলোকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য।’ এ ছাড়া বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয় খোলা যায় কি না, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘ যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটা যেন আরও বেগবান করা হয়—এসব বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেছেন বলে জানান তিনি।

আজকের গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে জাতিসংঘের ঢাকা অফিস। এতে সরকারের প্রতিনিধি, সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে এবি পার্টি ছাড়াও বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

১৩ মার্চ বিকেলে চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থীশিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ