রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুহৃদদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
Published: 13th, February 2025 GMT
মাসব্যাপী ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সুহৃদ সমাবেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বরে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস, সেভ ক্যাম্পাস’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরুর পর সুহৃদরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বারি উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব।
বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা.
উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ক্যাম্পাসে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। এ অভিযান সবসময়ের জন্য চালু রাখতে হবে। যাতে এ ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা ময়লা-আবর্জনাগুলো যত্রতত্র না ফেলে ক্যাম্পাসে যেখানে ডাস্টবিন আছে সেখানে ফেলব। এ জন্য আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে। খাবারের পরিত্যক্ত প্যাকেট ও অন্যান্য বর্জ্য কেউ যেখানে-সেখানে ফেললে আমরা তখনই তার প্রতিবাদ করব। প্রয়োজন হলে আমরা ক্যাম্পাসে ডাস্টবিনের সংখ্যা বাড়িয়ে দেব।
অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, ক্যাম্পাসে যেসব দোকান আছে এর আশপাশে প্লাস্টিক, পলিথিন প্যাকেট ও ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার দায়িত্ব এ ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখা। সুস্থ থাকতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প আর কিছু নেই। এ সময় ক্যাম্পাসে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতেও তিনি আহ্বান জানান।
রাবি সমকাল সুহৃদ সমাবেশসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেয়। প্রশাসন ভবন চত্বর ছাড়াও তারা গ্রন্থাগার চত্বর, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হল এলাকা এবং রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার করে।
এ সময় সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেয়। এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান সপ্তাহব্যাপী চলে এবং সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
ড্রেনবিহীন রাস্তা, বৃষ্টি হলেই পানি জমে শম্ভুগঞ্জ বাজারে
সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় শম্ভুগঞ্জ বাজারে। বাজারের প্রধান রাস্তার পাশে ড্রেন না থাকায় পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন বাজারে আসা লোকজন। বাজারটি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজার ইজারা দিয়ে সিটি করপোরেশন রাজস্ব পেলেও ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবেন না। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি মেরামতের উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, শম্ভুগঞ্জ বাজারের প্রধান রাস্তাটির প্রায় ৩০০ মিটার টাখনুর ওপর পর্যন্ত পানি। চলাচলে কষ্ট হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতার। রাস্তাটির দু’পাশে ফল, মনোহারি এবং সবজির দোকান থাকলেও পানির কারণে কোনো ক্রেতা আসতে দেখা যায়নি। যানবাহন চলাচলেও সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি। স্থানীয়রা বলছেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে রাস্তাটির এমন অবস্থা। বছরের ছয় মাস পানি জমে থাকে। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। সিটি করপোরেশন বিষয়টি জানার পরও ব্যবস্থা
নেয় না।
অটোরিকশা চালক আশিকুল ইসলাম জানান, রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে অনেক সময় অটোরিকশার মোটরে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে যায়। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বিপজ্জনক। রাস্তা করা হয়েছে, কিন্তু পানি নামার ড্রেন করা হয়নি।
ফল ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বলেন, ‘রাস্তার পাশে আমার দোকান। গত শনিবার রাতে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটিতে টাখনুর ওপর পর্যন্ত পানি জমেছে। সেই পানিতে আবার অনেক দুর্গন্ধ। অনেকের পায়ে পচা পানি লেগে ফোসকা পড়ে গেছে। পানির জন্য বেচাকেনা একেবারেই নেই। কারণ ক্রেতারা ময়লা পানির মধ্য দিয়ে বাজারে আসতে চান না।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী সেলিম জানান, সিটি করপোরেশনের মধ্যে শম্ভুগঞ্জ একটি জমজমাট বাজার। বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি এই বাজারে নিয়ে আসেন। কিন্তু রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে কৃষক তাদের ফসল যথাসময়ে বাজারজাত করতে পারছেন না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক।
জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী আবু জাফর সুমন বলেন, ‘দীর্ঘদিন এই অঞ্চলের মানুষের পাশে রয়েছি। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আমি নিজেও কাজ করছি। আমি চাই, আমার এলাকার মানুষের দুর্ভোগ যেন না হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তার মধ্যে এত পানি; বৃষ্টি বেশি হলে দোকানেও পানি ঢুকে যায়। একবার পানি জমলে ১০-১৫ দিনেও সরে না। কারণ পানি যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।’
বাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নানের ভাষ্য, শম্ভুগঞ্জ বাজারটি এক বছরের জন্য এক কোটি ৮০ লাখ টাকায় সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। সিটি করপোরেশন রাজস্ব পেলেও ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখছে না। বারবার বলার পরও রাস্তা সংস্কারে তাদের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের বাজার পরিদর্শক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাস্তাটি মেরামতের পাশাপাশি শম্ভুগঞ্জ বাজারে ড্রেন ও শেড নির্মাণের জন্য প্রকৌশলী বিভাগে তালিকা পাঠানো হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করবেন তারা।