জাহাঙ্গীরনগরে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু, আসনপ্রতি পরীক্ষার্থী ১২১
Published: 13th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে কলা ও মানবিকী অনুষদ, আইন অনুষদ এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ছাত্রীদের প্রথম পালায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর ছাত্রীদের তিন পালায় এবং ছাত্রদের আলাদা তিন পালায় মোট ছয় পালায় সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুননাসা ইন্টার্নশিপ, হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সুযোগ৫ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয়ের কেদ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, এ বছর সি ইউনিটে ৪৪০টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন জমা পড়ে ৫৩ হাজার ৪০১টি। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে ১২১ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, ‘আজ সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে ষষ্ঠ শিফটের মাধ্যমে পরীক্ষা শেষ হবে। এখন পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা চলছে। কোনো অভিযোগ পাইনি।’
আরও পড়ুনভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ত্রুটি, ৮০টির জায়গায় প্রশ্ন ৭৮টি১৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
অপহরণের ৬ দিন পর উদ্ধার ব্যবসায়ী নয়ন দাস, গ্রেপ্তার ৫
নাসিরনগরে অপহরণের ছয়দিন পর ব্যবসায়ী নয়ন দাসকে (২৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন জেলা পুলিশ সুপার। তবে এটুকু বলতে পারি নয়ন দাস উদ্ধার হয়েছেন। পাশাপাশি পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নয়ন চন্দ্র দাসকে রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক বাজার থেকে অপহরণ করা হয়। তিনি রামু চন্দ্র দাসের ছেলে। মাত্র ১০ দিন আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পুলিশ বা অন্য কারও কাছে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। বাজার থেকে প্রকাশ্যে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করে।
সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে নয়নকে নিরাপদে ফেরত দেওয়া হবে এমন দাবি জানায় অপহরণকারীরা। তবে তাদের দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও অপহরণকারীদের সঙ্গে পরে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সন্তানকে ফিরে পেতে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অর্থ জোগাড় করলেও অপহরণকারীদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নয়ন দাসের পরিবারের অজানা শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বিষ্ণু দেব জানান, নয়ন প্রতিদিনের মতো সকাল ৯টার দিকে দোকান খুলে পূজা করছিলেন। সকাল ১০টার দিকে দুই ব্যক্তি বাজারে ঘোরাফেরা করছিলেন। তাদের কোমরে ওয়াকিটকি জাতীয় কিছু একটা ছিল।
বাজারের ব্যবসায়ী জুয়েল দাস বলেন, নয়নকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছি।