নিখোঁজের ২৩ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল স্কুলছাত্রের মরদেহ
Published: 13th, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজের ২৩ দিন পর রোমান নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, মরদেহটি আসলেই রোমানের কি না সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের একটি পুকুরে মরদেহটি ভেসে উঠে।
পুলিশ জানায়, সকালে একজনের বস্তাবন্দী মরদেহ ভেসে উঠলে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় পড়নে থাকা পোশাক দেখে মরদেহটি রোমানের বলে নিশ্চিত করে তার পরিবার।
সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমরান খান বলেন, ‘‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের থৈরগাঁও এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় রোমান। এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে তার পরিবার। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। কিন্তু, তারপরও খোঁজ মিলছিল না রোমানের।
ঢাকা/রতন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভোরের আলোয় আলোর পথযাত্রার আহ্বানে ছায়ানটের বর্ষবরণ
ভোরের আলো সবে এসে স্পর্শ বুলিয়ে দিয়েছে রমনার নিবিড় সবুজ পাতায় পাতায়। তারও আগে ঘুমের জড়তা কাটিয়ে উৎসবের সাজে সেজে দলে দলে নারী-পুরুষ এসে সমবেত হয়েছেন বটমূল চত্বরে। বটমূলের মঞ্চে সারি দিয়ে বসেছেন ছায়ানটের সংগীত ও যন্ত্রশিল্পীরা। উষার আলো ফুটতেই সুপ্রিয়া দাস ছড়িয়ে দিলেন প্রভাতের ভৈরবী রাগালাপ। তাঁর কণ্ঠের সুরে সুরে আজ সোমবার সূচনা হলো বাংলা ১৪৩২ সনকে স্বাগত জানিয়ে ছায়ানটের বাণী ও সুরের প্রভাতি আয়োজন।
ছায়ানটের এবারের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। দেশ, মানুষ, প্রকৃতিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আঁধার পেরিয়ে আলোর পানে যাত্রার আহ্বান ছিল আজকের আয়োজনে। এবার ৫৮ তম বারের মতো রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের এই আয়োজন। তারা শুরু করেছিল ১৯৬৭ সালে। তখন চলছিল আইয়ুব খানের কঠিন সামরিক শাসন। পূর্ব পাকিস্তানে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। ছায়ানট সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাঙালি সংস্কৃতির জাগরণে বিপুল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আয়োজন করেছিল পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। তার পর থেকে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে দেশের এই ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। রমনার বটমূলে ২০০১ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঘটে ভয়ংকর বোমা হামলা। কিন্তু তাতে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে ছায়ানটের অগ্রযাত্রা থেমে যায়নি। বরং আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে নতুন উদ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক জাগরণের অভিযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তাদের এই নববর্ষের অনুষ্ঠান কালক্রমে বহু সাংস্কৃতিক সংগঠনকে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান দেশের ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের সবচেয়ে বড় প্রাণের উৎসবে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে ছায়ানটের এই প্রভাতি আয়োজনের রয়েছে বিপুল অবদান।
এবার ৫৮তম বারের মতো রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের এই আয়োজন