দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় তারকা চিরঞ্জীবী; ইন্ডাস্ট্রির নতুন প্রজন্মের কাছে প্রেরণার নাম। কিন্তু সেই দক্ষিণি তারকাদের বাড়িতেই কন্যাসন্তান নিয়ে লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য! সম্প্রতি জনপ্রিয় দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা ব্রহ্মানন্দমের ‘ব্রহ্মা আনন্দম’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন চিরঞ্জীবী। সেখানেই কন্যাসন্তান নিয়ে তাঁর এক নেতিবাচক মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

এ অনুষ্ঠানে চিরঞ্জীবীকে বলতে শোনা যায়, বাড়িতে এত নাতনিরা আছে, নিজেকে লেডিস হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক বলে মনে হয়। রামচরণকে বলেছি, এবার যেন ছেলে হয়। চিরঞ্জীবীর কথায়, ‘আমি সব সময় চাই আর ছেলে রামচরণকে বলিও যে অন্তত এবার যেন তোর একটা ছেলে হয়। আমাদের পারিবারিক পরম্পরা বজায় রাখার জন্য একজন বংশপ্রদীপ চাই। আমার ভয় হয়, আবার যেন ওর কন্যাসন্তান না হয়।’

এ মন্তব্য ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড়! চিরঞ্জীবীর মতো বড় তারকার কাছ থেকে লিঙ্গবৈষম্যমূলক এমন মন্তব্যে অবাক হয়েছেন অনুরাগীরা।

আরও পড়ুনভক্তকে ধাক্কা দিয়ে তোপের মুখে রামচরণ১২ জুন ২০২৪

এ বিতর্ক নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি চিরঞ্জীবী। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। তারকা হিসেবে এমন মন্তব্য করে থাকলেও অভিনেতার ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি তাঁদের। একজন লিখেছেন, ‘এই শতকে দাঁড়িয়েও আপনার মতো একজনের কাছ থেকে এমন মন্তব্য!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনার মতো তারকার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা উচিত নয়।’

উল্লেখ্য, বিয়ের প্রায় ১১ বছর পর রামচরণ, উপাসনার সংসার আলো করে জন্ম নিয়েছে কন্যাসন্তান। শখ করে দাদা চিরঞ্জীবীই নাতনির নাম রাখেন ‘মেগা প্রিন্সেস’। তবে এবার সেই চিরঞ্জীবীই কিনা লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য করলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নোবেলজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস য়োসা আর নেই

নোবেলজয়ী কালজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস য়োসা আর নেই। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাজধানী লিমায় ৮৯ বছর বয়সে মারা যান পেরুর এই লেখক। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নোবেলজয়ী এই সাহিত্যিকের প্রয়াণের মধ্য দিয়ে লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের সোনালি যুগের প্রজন্মের অবসান হলো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে য়োসার বড় ছেলে আলভারো বার্গাস য়োসা লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের বাবা মারিও বার্গাস য়োসা স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। পরিবারের সদস্যরা এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন।’ এক্সে পোস্ট করা এ ঘোষণায় সই করেছেন আলভারোর দুই সহোদর গোনসালো ও মরগানা বার্গাস য়োসা।

১৯৩৬ সালে দক্ষিণ পেরুর অ্যারিকুইপায় মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে মারিও বার্গাস য়োসার জন্ম। ২০১০ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত য়োসা লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠ লেখকদের একজন। স্প্যানিশ ভাষার এই ঔপন্যাসিক স্পেনেরও নাগরিক।

১৯৬০ ও ’৭০–এর দশকে লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের বিস্ময়কর উত্থানের সময়কার কালজয়ী লেখকদের একজন য়োসা। ওই সময়ের কালজয়ী সাহিত্যিকদের মধ্যে রয়েছেন কলম্বিয়ার গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস ও আর্জেন্টিনার হুলিও কোর্তাসার।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে য়োসার স্বাস্থ্যের অবনতির খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় তাঁকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। গত অক্টোবরে তাঁর ছেলে আলভারো বলেন, তাঁর বয়স ৯০ বছর ছুঁই ছুঁই। এই বয়সে এসে সবারই কাজের মাত্রা কিছুটা কমাতে হবে।

নোবেলজয়ী এই সাহিত্যিকের মৃত্যুতে সোমবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে পেরু। এ সময় সরকারি ভবন ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

য়োসার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ‘দ্য টাইম অব দ্য হিরো’, ‘আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার’, ‘দ্য গ্রিন হাউস’, ‘ডেথ ইন দ্য আন্দিজ’, ‘দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘দ্য ফিস্ট অব দ্য গোট’। প্রায় ৩০টি ভাষায় তাঁর লেখা অনূদিত হয়েছে।

লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের সোনালি যুগের লেখক মারিও বার্গাস য়োসা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়াক্‌ফ আইনের প্রতিবাদ কেন সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নিল মুর্শিদাবাদে
  • মুসা (আ.)-এর বিয়ের শর্ত
  • মারা গেছেন অভিনেত্রী গুলশান আরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হবে দাফন
  • যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেলেন গুলশান আরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হবে দাফন
  • যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেলেন গুলশান আরা, দাফন হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
  • যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন অভিনেত্রী গুলশান আরা, দাফন হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
  • ব্যাচেলর পয়েন্টের ‘পলি চেয়ারম্যান’ খ্যাত গুলশান আরা মারা গেছেন
  • ‘ছবি তোলার নাম করে একজন প্রেম নিবেদন করে বসলেন’
  • লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
  • নোবেলজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস য়োসা আর নেই