‘জংলি’ সিনেমার নতুন লুকের পর এবার মুক্তি পেলো সিনেমাটির প্রথম গান ‘জনম জনম’। রোমান্টিক ঘরানার এ গানে ঢালিউড অভিনেতা সিয়াম আহমেদের সঙ্গে জুটি গড়েছেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।

বুধবার  টাইগার মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় গানটি। গানের দৃশ্যে  সিয়াম-দিঘির অসাধারণ রসায়ন এরইমধ্যে মন জয় করতে শুরু করেছে ভক্তদের।

এই গানের মাধ্যমে  নায়ক সিয়াম আহমেদকে অনেক অনেকদিন পর সেই চকলেট হিরো হিসেবে পাওয়া গেল। পাশাপাশি সিয়াম-দীঘির ক্যামিস্ট্রি দারুণ ছিল।  ভার্সিটিপড়ুয়া লুকে দুজনকে বেশ ভালো মানিয়েছে বলেও মন্তব্য সিনে বোদ্ধাদের। 
 
‘জনম জনম’ গানের কথা ও সুর করেছেন অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা প্রিন্স মাহমুদ। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান ও আতিয়া আনিসা।

এ গানের মাধ্যমে প্রথমবার সিনেমায় প্লেব্যাক করেন তাহসান ও আতিয়া। গানের সংগীতায়োজনে ছিলেন শিল্পী ও সংগীতায়োজক ইমরান মাহমুদুল।
 
জানা যায়, ‘জনম জনম’ গান ছাড়া এ সিনেমায় আরও তিনটি গানের সুর ও সংগীত আয়োজনের দায়িত্ব পালন করবেন প্রিন্স মাহমুদ।  ‘জংলি’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। এ সিনেমায় অভিনেতা একাধিক লুকে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন।

সিনেমাটির নির্মাণশৈলীর দায়িত্বে রয়েছেন নির্মাতা এম রাহিম।  আগামী ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি মুক্তি পাবে পেৃক্ষাগৃহে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় শপিং মলে ঘুরছিলেন চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ, পরে আটক

ফেসবুক লাইভে এসে ওসিকে পেটানোর হুমকি দেওয়া চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিপণি বিতান বসুন্ধরা সিটি থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, সাজ্জাদ ঢাকায় একটি শপিং মলে এক সহযোগীসহ ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেখানে চট্টগ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে দেখে চিনতে পারেন। ওই ব্যক্তি লোকজন জড়ো করে সাজ্জাদকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোবারক হোসেন আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ওই শপিং মলে পুলিশের লোকজন ছিল। খবর পেয়ে সাজ্জাদকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে পরে তাঁকে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।

পুলিশ জানায়, সাজ্জাদ হোসেন বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৭টি মামলা রয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবরে আনিস, কায়সার ও আফতাব উদ্দিন নামের তিন বালু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার মামলার আসামি তিনি।

জানা গেছে, গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসের শুরুতে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে তিনি।  গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান তিনি। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন।

গত ২৯  জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে পেটানোর হুমকি দেন। পরদিন সাজ্জাদকে ধরতে নগর পুলিশ কমিশনার পুরস্কার ঘোষণা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ