উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে’অফের প্রথম লেগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে সেল্টিককে ২-১ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এই জয়ে শেষ ষোলোর যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেল তারা। ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে কোনোরকমে হার এড়াতে পারলেই পরের রাউন্ডে চলে যায় বাভারিয়ানরা।

অবশ্য সেল্টিকের মাঠে গোলের দেখা পেতে বেশ সময় নেয় বায়ার্ন। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে মাইকেল অলিসের গোলে লিড নেয় তারা। বিরতির পর ৪৯ মিনিটে হ্যারি কেনের গোলে ব্যবধান বাড়ে।

অবশ্য ৭৯ মিনিটে সেল্টিকের ডাইজেন মায়েদা গোল করে ব্যবধান কমান। ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু বাদবাকি সময় নিজেদের জাল অক্ষুন্ন রেখে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮ ম্যাচের মহারণ, দলগুলোর শেষ সমীকরণ

চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার রাতের ম্যাচের ফলাফল

জয় পেলেও খুশি নন হ্যারি কেন। তার মতে ম্যাচে এমন অনেক জায়গা ছিল যেখানে তারা আরও ভালো খেলতে পারতো, ‘‘অবশ্যই ম্যাচে এমন বেশ কিছু জায়গা ছিল যেখানে আমরা আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারতাম। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে আমাদেরকে উন্নতি করতে হবে। তবে সব মিলিয়ে সঠিক সময়ে আমরা গোল করতে পেরেছিলাম। যদিও তারা আমাদের বেশ চাপে রেখেছিল। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে আমাদেরকে অনেক সতর্ক হয়ে খেলতে হয়েছে। যেটা আমরা করতে পেরেছি। যখন আপনি এই ধরনের ম্যাচ জিতেন তখন সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কারণ, এই ধরনের মাঠে অ্যাওয়ে ম্যাচ জেতা সহজ নয়।’’

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

শিলংয়ে টাকা দিয়ে অনুশীলন করতে হচ্ছে হামজাদের

সিলেটের তামাবিল হয়ে ডাউকি সীমান্ত দিয়ে যে রাস্তা ধরে শিলং আসতে হয়, তা খুবই সুন্দর। পাহাড়ের মাঝখানে খাঁজকাটা আঁকাবাঁকা রাস্তা। কাল বিকেলে সেই রাস্তা ধরে শহরে আসার পথে একটু বৃষ্টি হয়েছে।

বৃষ্টির কারণে প্রকৃতি আরও মনোরম হয়ে ওঠে। গাড়িচালক যে রাস্তা ধরে অনেকটা উঁচু থেকে সমতলে নামলেন, রোমাঞ্চের সঙ্গে তা ভয়ের অনুভূতিও জাগায়। নিরাপদে পথটুকু পার হয়ে একটু পরেই চালক নিয়ে এলেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানীতে।

শহরের ভেতরটাও পাহাড়ি পরিবেশময়। অনেক খাড়া রাস্তা। পাহাড় কেটে তৈরি। পাহাড়ের পেটে তৈরি করা বাড়ি ঘরগুলো ছবির মতো। আর শহরে বলতে গেলে ইউরোপের ছোঁয়া। দারুণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তো বটেই, শিলং ঠান্ডারও শহর। কাল সন্ধ্যায় ১৪ ডিগ্রিতে নেমে আসে তাপমাত্রা। হালকা বৃষ্টির কারণে ঠান্ডাটা যেন আরও জাঁকিয়ে বসেছে।

তবু শহরময় মানুষ, চারদিকে নানা শপিংমল। নারীদের মুক্ত চলাফেরা আলাদাভাবে চোখ কাড়ে। শহরের প্রাণকেন্দ্র পুলিশ বাজার এলাকায় কোনো না কোনো বাংলাদেশির সঙ্গে আপনার দেখা হয়ে যাবেই। বাংলাদেশি খাবারও পাওয়া যায়। শিলংয়ে এলে বাংলাদেশিরা এখানেই ওঠেন বেশি।

আরও পড়ুনঅনুশীলনে কী নিয়ে হাসছিলেন হামজা-জামালরা২১ মার্চ ২০২৫

মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্তে আজ দেখা বাফুফে সদস্য সাবেক ফুটবলার বিজন বড়ুয়া, আবাহনীর সহকারী ম্যানেজার নজরুল ইসলাম, সহকারী কোচ প্রাণতোষ কুমারের সঙ্গে। এসেছেন খাগড়াছড়ির জ্যোতিষ বসু ত্রিপুরা। একসময় ঢাকায় তৃতীয় বিভাগ ফুটবল খেলা ‘সি’ সনদধারী এই কোচ খাগড়াছড়িতে একটি ফুটবল একাডেমি চালান। শিলংয়ের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া নিজের মেয়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগে ‘রথ দেখা কলা বেচার’ মতো ২৫ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটাও দেখবেন। ডাউকি থেকে আসার পথে জ্যোতিষ বললেন, ‘সৌভাগ্য আমাদের। হামজা চৌধুরীর মতো ফুটবলার এসেছেন। ভারতের সঙ্গে ম্যাচটায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে আশা করি আমরাই জিতব।’

বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও জয়ের ছকই কষছেন। তবে এর জন্য তাঁর চাই ভালো মাঠে নিবিড় অনুশীলন। শুক্রবার বাংলাদেশ দল চেয়েছিল ম্যাচ ভেন্যু জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে। কিন্তু অনুমতি মেলেনি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের। নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি মিলবে আসলে ম্যাচের আগের দিন। অগত্যা বাংলাদেশ দলকে অনুশীলনে পাঠানো হয় শহরের নর্থ ইস্টার্ন হিলস বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ। মাঠটি ভালো নয় বলে বেজায় নাখোশ কাবরেরা।

দলের সঙ্গে অনুশীলনে হামজা

সম্পর্কিত নিবন্ধ