কিস ডে: অভিনেত্রী ঋর চুমু বৃত্তান্ত
Published: 13th, February 2025 GMT
“নতজানু হয়ে ছিলাম তখন এখনো যেমন আছি।
মাধুকরী হও নয়নমোহিনী স্বপ্নের কাছাকাছি।
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড কর প্রেমের পদ্যটাই।
বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই।”
কলকাতার বরেণ্য সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের গাওয়া ‘জাতিস্মর’ গানের অংশ বিশেষ এ কটি চরণ। সুমনের গানের মতো আজ চুমু খাওয়ার দিন। অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসের আগের দিন পালিম হয়ে থাকে ‘কিস ডে’। বিশেষ দিন উপলক্ষে চুমু কাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার বিতর্কিত অভিনেত্রী ঋ সেন।
কয়েক দিন আগে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের খোলা রাস্তায় প্রেমিককে চুমু খেয়ে আলোচনার জন্ম দেন ঋ সেন। যদিও সেদিন ‘কিস ডে’ ছিল না! তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না। এ অভিনেত্রীর জানান, ভালোবাসার আবার দিনক্ষণ? বেশ কিছুটা একান্ত সময় কাটিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে আবেগে ভেসেছিলেন। স্থান-কাল ভুলে গলা জড়িয়ে গভীর চুম্বন এঁকে দিয়েছিলেন প্রেমিকের ঠোঁটে!
আরো পড়ুন:
‘মানুষের ধর্মই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা’
‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি
এ ঘটনা দেখে থমকে গিয়েছিল রাস্তার গাড়ি। ঋ সেন বলেন, “আমাদের চারপাশে কোনো ব্যারিকেড ছিল না, কেবল কিছুটা সময় যেন থমকে গিয়েছিল! হুঁশ ফিরে দেখি, আশেপাশের যান চলাচল থমকে আছে। পুলিশ বাঁশি বাজাচ্ছে।” তবে এ ঘটনায় ঋর চেয়ে তার প্রেমিক অধিক লজ্জা পেয়েছিল বলেও জানান এই অভিনেত্রী।
‘গান্ডু’ তারকা ঋ বরাবরই একটু খামখেয়ালি, কিছুটা মেজাজি। বলা যায়, হৃদয়ের ডাকে জীবনযাপন করেন। তার খুব ঘনিষ্ঠ মানেই চুম্বন উপহার। ঋ সেনের ভাষায়— “আমার খুব ভালো বন্ধুদের জড়িয়ে যখন-তখন গালে চুমু খাই। চকাম চকাম শব্দ তুলে। কোনো অস্বস্তি লাগে না।”
ঋ-এর কাছে চুম্বন অনেক রোগের দাওয়াই। তার ভাষায়, “ধরুন, আপনার খুব মনখারাপ। পছন্দের মানুষটিকে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে চুমু খেলেন। দেখবেন, নিমেষে মন তরতাজা!”
একইভাবে চুমু খান প্রিয় পোষ্য, বাড়ির বাকিদেরও। অর্থাৎ, সম্পর্ক বুঝে চুম্বনের প্রকারভেদে বিশ্বাসী ঋ। তাই চুমুর ধরন পাল্টে যায় ব্যক্তিবিশেষেও। উদাহরণ টেনে ঋ বলেন, “মাস খানেক আগের কথা। অটোতে চড়েছি। খুব বয়স্কা একজন অটোতে উঠবেন। কিন্তু ভাড়া নিয়ে অস্বস্তিতে। সে দিন জোর করে তাকে অটোতে তুলে বলেছিলাম, তোমার ভাড়া আমি দেব। অটো থেকে নামার আগে সেই দিদা আমার গালে, মাথায় চুমু খেয়েছিলেন। মায়ের কথা মনে করে সে দিন খুব কেঁদেছিলাম। আজকের দিনে এমন নিষ্পাপ আদর কোথায়?”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চ ম বন
এছাড়াও পড়ুন:
একটি সেতু হলেই দুঃখ ঘুচবে ৫০ হাজার চরবাসীর
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার বাসিন্দা। কয়েক দশক ধরে মরা পদ্মা নদী পারাপারে খেয়া নৌকাই ভরসা দৌলতদিয়া ও উজান চরবাসীর। ঝড়-বৃষ্টিসহ নানা কারণে মাঝেমধ্যে বন্ধ থাকে খেয়া নৌকার চলাচল। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায় চরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার সীমানাঘেঁষে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন। পদ্মাপারের বিস্তীর্ণ এ ইউনিয়নে নানা ধরনের ফসল উৎপাদনের আদর্শ অঞ্চল। পরিবহন সমস্যায় উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন কৃষক। এ ইউনিয়নের একটি গ্রাম দড়াপের ডাঙ্গী। মরা পদ্মা নদী পার হলেই স্কুল-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবুও একটি সেতুর কারণে দড়াপের ডাঙ্গী গ্রামের অসংখ্য শিশু-কিশোরের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে ৭-৮ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ হলে উজানচর ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নবাসী সরাসরি উপকৃত হবেন। ফরিদপুর জেলা শহর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জামতলার হাট, মমিনখার হাটসহ বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে দুই ইউনিয়নের চর এলাকার বাসিন্দাদের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বদলে যাবে এলাকার কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসাসেবাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে উজানচর ইউনিয়নের দড়াপের ডাঙ্গী এলাকায় ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন জানান, তাদের এ এলাকাটি কৃষিনির্ভর। প্রচুর ফসল উৎপাদন হয়। পরিবহন সমস্যার কারণে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। মালপত্র পরিবহন করা খুব কষ্টকর। তিনি বলেন, একটি সেতু নির্মাণ করা হলে তাদের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে চরের হাজার হাজার বাসিন্দার।
জামতলা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী ইনসানা আক্তার ও লামিয়া আক্তার জানায়, তাদের মতো চর এলাকার কয়েকশ ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন খেয়া নৌকা পাড়ি দিয়ে স্কুল-মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতে যায়। সময়মতো খেয়া ধরতে না পারলে ঘাটে রোদ-বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। আবহাওয়া খারাপ হলে স্কুলেও যাওয়া হয় না। এতে তাদের স্বাভাবিক পড়াশোনা ব্যাহত হয়।
খেয়াঘাটের মাঝি শাকিল শেখ জানান, ঝড়-বৃষ্টি ছাড়াও সামান্য বাতাসে নৌকা পারাপার বন্ধ থাকে। এ ছাড়া মরা পদ্মা নদীতে থাকা ঘন কচুরিপানার কারণে চলাচলের পথ বন্ধ হয়েও মাঝেমধ্যে পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এখন প্রায় সব জায়গায় ব্রিজ হয়ে গেছে। শুধু এখানে হলো না। চরবাসীর দুর্দশা খুব কাছ থেকে দেখতে পাই। এখানে ব্রিজটি হলে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ থেকে বেঁচে যেত।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল জাহাঙ্গীর স্বপ্নিল বলেন, মরা পদ্মা নদীতে একটি সেতু নির্মাণ হওয়াটা খুব জরুরি। সেখানে এতদিনেও সেতু না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।
গোয়ালন্দের ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান জানান, চর এলাকার মানুষের সুবিধার্থে দরাপের ডাঙ্গী এলাকায় সেতু নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়াসহ সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।