গানে গানে বসন্ত ও ভালোবাসার মূর্ছনা
Published: 13th, February 2025 GMT
দিনপঞ্জি দেখে বসন্ত বাতাস বইবে– এমন কোনো কথা নেই। তবু পহেলা ফাল্গুন এলেই ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেই আমরা। আনন্দ-হাসি-গানে ভরিয়ে রাখি চারপাশ। দিনটি আরও বর্ণিল হয়ে উঠে ভালোবাসার মানুষদের আনাগোনায়। কারণ একটাই, ১৪ ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে বসন্তবরণ ও ভালোবাসার দিন। তাই বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গানের ভুবনের বাসিন্দারাও সাজিয়ে রাখেন তাদের নতুন আয়োজনের পসরা।
প্রতি বছরের মতো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তারকা থেকে শুরু করে নতুন শিল্পী ও সংগীতায়োজকরা প্রকাশ করেছেন নানা স্বাদের গান। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কী আছে বসন্ত ও ভালোবাসার সুর-মূর্ছনার তালিকায়।
ভালোবাসার গান নিয়ে আরও একবার আলোচনায় এসেছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ। তাঁর নতুন আয়োজন ‘পাগল হাওয়া’ প্রকাশে ঘোষণার সময় থেকেই শ্রোতাদের কৌতূহল ছিল লক্ষ্য করার মতো। শ্রাবণের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন হাবিব নিজেই।
কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর শ্রোতাদের ভালোবাসা কুড়াচ্ছেন নতুন একক গান ‘কষ্ট ভীষণ’ মাধ্যমে। আহমেদ রিজভীর লেখা এই গানের সুর করেছেন মনোয়ার হোসেন টুটুল। সংগীতায়োজন করেছেন পার্থ মজুমদার।
অন্যদিকে প্রিন্স মাহমুদ নতুন স্বাদের আয়োজন দিয়ে চমকে দিয়েছেন শ্রোতাদের। তাঁর কথা ও সুরে তাহসান ও আতিয়া আনিসার গাওয়া ‘জংলি’ সিনেমার ‘জনম জনম’ গানটি হয়ে উঠেছে ভালোবাসা দিবসের ছন্দময় স্মারক। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।
শুধু এই গানের সংগীতায়োজনই নয়, নতুন একক গান ‘মন বুঝলি না’ প্রকাশ করেও শ্রোতাদের মাঝে সাড়া ফেলেছেন ইমরান। আবদার রহমানের লেখা এ গানের সুর করেছেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির। পাশাপাশি এর সুরকার যৌথভাবে সংগীতায়োজন করেছেন সঞ্জয়ের সঙ্গে। এদিকে ভালোবাসা দিবস আসার আগেই আলোড়ন তুলেছেন বে অব বেঙ্গল ব্যান্ডের ‘গন্ধ খুঁজে পাই’ গানটি।
একইভাবে শহরতলী ব্যান্ডের ‘কবির মৃত্যু’ গানটি হয়ে উঠেছে এই বসন্তের ব্যতিক্রমী আয়োজনের তকমা। গুঞ্জন রহমানের লেখা ও হৃদয় খানের সুরে ন্যান্সির গাওয়া ‘তোমারই আছি’ গানের খুঁজে পাওয়া গেছে ভিন্নতার ছাপ। এর বাইরেও ভালোবাসা দিবসে উপলক্ষে ন্যান্সি প্রকাশ করেছেন আরেকটি একক গান। যার শিরোনাম ‘প্রেমে পড়ার গান’। তারিক বিন ইসলাম তুহিনের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ হাসান নিরব। ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কিশোরে ‘প্রেমে পড়ে যাই’ গানটি অনেকে প্রিয় তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। কবির বকুলের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শিল্পী কিশোর নিজে। কিশোরের পাশাপাশি একই রিয়েলিটি শো থেকে উঠে আসা শিল্পী লিজা প্রকাশ করছেন দুইটি গান। সেই তালিকায় আছে তার একক গান ‘তুমি এলে’ এবং সামসের সঙ্গে গাওয়া হিপহপ ঘরানার দ্বৈত গান ‘তিতা কথা’।
বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের আরেক চমক ছিল বলিউডের নন্দিত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক সেলিম মার্চেন্টের সঙ্গে গাওয়া সিঁথি সাহার দ্বৈত গান ‘বৃষ্টি বিলাস’। সোমেশ্বর অলির লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। কণ্ঠশিল্পী আগুন তাঁর ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে বিরতি ভেঙে প্রকাশ করেছেন নতুন একক গান ‘এক গ্লাস’। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি সুর করেছেন আলী আকতার রুনু। একইভাবে শিল্পী বাঁধন সরকার পূজা শ্রোতাদের প্রত্যাশা মেটাতে প্রকাশ করেছেন একক গান ‘এক জনমে হাজার মরণ’।
‘জংলি’ সিনেমার দ্বৈত গান ছাড়াও আলোচিত তরুণ শিল্পী আতিয়া আনিসার কণ্ঠে আরেকটি শ্রুতিমধুর গান শোনার সুযোগ পেয়েছেন শ্রোতা। যার শিরোনাম ‘মন পাখি’ কিংকর আহসানের লেখা এই গানের সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ নিরব। শিল্পী মাহতিম শাকিব শ্রোতা মনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে ‘ফেব্রুয়ারি’ শিরোনামের ব্যতিক্রমী আয়োজন তুলে ধরার মধ্য দিয়ে। প্রসেনজিত ওঝার লেখা এই গানটি সংগীতায়োজন করেছেন শোভন রায়।
অসংখ্য রোমান্টিক গান গেয়ে সংগীতপ্রেমীর হৃদয় জয় করা শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা ও সোমনূর মনিরা কোনাল দু’জনেই দুটি ভিন্ন স্বাদের গান উপহার দিয়েছেন। ‘মন বলেছে চুপি চুপি’ শিরোনামের গানটিতে কনার সহশিল্পী ছিলেন অয়ন চাকলাদার। আবুবকরের লেখা এই গানটির সংগীতায়োজন করেছেন শিল্পী অয়ন চাকলাদারকে নিয়ে। অন্যদিকে কোনালের গাওয়া ‘অন্তরে বাহিরে’-এর কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ নিরব।
নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনির খান শ্রোতার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন প্রমা ইসলামের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া ‘তোমাকে চাই আমি’ গানের মধ্য দিয়ে। রাসেল কবিরের লেখা এই গানের সুর করেছেন মাসুদ টুটুল। সংগীতায়োজন করছেন সোহেল আজিজ। এর বাইরেও বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু গান; যা সব শ্রেণির সংগীতপ্রেমীদের মনোযোগ কাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পী, সংগীতায়োজক ও প্রকাশকরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বসন ত ও ভ ল ব স র স গ ত য় জন স র কর ছ ন ন একক গ ন কর ছ ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
‘একটা বাক্স ঘিরে হাজারটা প্রশ্ন, উত্তর মিলবে ২৮ মার্চ’
প্রথমবারের মতো নির্মাতা আশফাক নিপুণের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। সেটিও আবার একটি ওয়েব সিরিজে। জয়ার জন্য ‘জিম্মি’ ওয়েব সিরিজটি বিশেষ। কেননা এই প্রথম জয়া আহসান কোনও ওয়েব সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
জয়া আহসান বহু বছর ধরে নাটক-সিনেমার মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন দেশ-বিদেশের দর্শকদের কাছে। তবে ওয়েব সিরিজে তার কাজ করা হয়নি তেমন। আশাফাক নিপুণের হাত ধরে সেটিও হয়ে গেলো।
জয়া বলেন, ‘আমি নতুন কোনো কাজ করার আগে তিনটা বিষয় সবসময় খেয়াল করি। সেটা হলো গল্প, চরিত্র ও পরিচালক। জিম্মি-র ক্ষেত্রে এগুলো সব মন মতো মিলে গিয়েছিল। সেই সাথে আমার ওয়েব সিরিজের শুরুটা করছি হইচই-এর সাথে। মুক্তি পাবে ঈদে, সব মিলিয়ে আমার জন্য বিষয়টা বেশ রোমাঞ্চের।’
এছাড়া ‘জিম্মি’ মুক্তির তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে একটি প্রমোশনাল ভিডিও বানিয়েছে টিম হইচই। সেখানে বলা হয়েছে একটি বক্সের কথা। ভিডিওটি শেয়ার করে সমাজিক মাধ্যমে জয়া লিখেছেন, ‘একটা বাক্সকে ঘিরে হাজারটা প্রশ্ন! উত্তর কেবল এক জনের কাছে। কে এই রুনা লায়লা? প্রশ্নের উত্তর মিলবে ২৮ই মার্চ।’
‘মহানগর’, ‘সাবরিনা’র পর দর্শকদের জিম্মি করতে আবার আসছেন আশফাক নিপুণ। নতুন সিরিজ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি ‘জিম্মি’ নির্মাণের মাধ্যমে নতুন রকমের গল্প বলার চেষ্টা করেছি। এইটুক বলতে পারি, দর্শক অবশ্যই নতুন কিছু উপভোগ করবে। এছাড়া জয়া আহসান দারুণ ও পরীক্ষিত একজন অভিনেত্রী। গল্পের প্রয়োজনে আমরা এমন একজন অভিনয়শিল্পী চেয়েছিলাম, যার অভিব্যক্তি ও অভিনয়গুণে চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে উঠবে। তিনি আমদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।”
এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ ‘জিম্মি’ আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইতে।