বিরাট কোহলিদের দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) নেতৃত্বভার দেওয়া হয়েছে রজত পতিদারের কাঁধে। ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে মধ্য প্রদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জিতিয়েছেন।
গত মৌসুমে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ছিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। কিন্তু আসন্ন আসরের জন্য তাকে দলে রাখেনি আরসিবি। ওদিকে কোহলি নেতৃত্ব ছেড়েছেন আগেই। যে কারণে নতুন অধিনায়ক বেছে নিল আরসিবি কর্তৃপক্ষ।
রজত পতিদারের ২০২১ সালে আইপিএলে অভিষেক হয়। শুরু থেকেই আরসিবির সঙ্গে আছেন তিনি। আসন্ন মৌসুমের জন্য তাকে ১১ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তিনি ভারতের হয়ে ৩টি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলেছেন।
তিনি মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার। পতিদার ২৭ আইপিএল ম্যাচে ৭৯৯ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৫৮.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল আরস ব
এছাড়াও পড়ুন:
পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা
কিশোরগঞ্জ শহরের আলোচিত পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে আছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। সর্বশেষ শনিবার দান বাক্সের টাকা রূপালী ব্যাংকে জমার পর পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিাটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রতি তিন মাস বা তার কিছু বেশি সময় পরপর মসজিদের দান বাক্সগুলো খোলা হয়। তাতে প্রতিবারই কয়েক কোটি টাকা পাওয়া যায়। সর্বশেষ শনিবার ১১টি দান বাক্স খুলে মিলেছে ২৮ বস্তা টাকা। গণনা শেষে পাওয়া গেছে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। পাওয়া গেছে বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
সেনা সদস্য, পুলিশ ও আনসারের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মিলে মোট ৩৯৪ জন মানুষ টাকা গণনায় অংশ নেন। সব টাকা রূপালী ব্যাংকের হিসাবে জমা করা হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা আর অলংকারের মূল্য নির্ধারণ করে সেসব টাকাও ব্যাংকে রাখা হবে।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেছেন, দান বাক্সে পাওয়া টাকার লভ্যাংশ থেকে অসহায় জটিল রোগীদের অনুদান দেওয়া হয়। মসজিদ কমপ্লেক্স মাদ্রাসার এতিম ছাত্রের সব খরচ, আনসার সদস্যদের বেতনসহ মসজিদ পরিচালনার যাবতীয় খরচও মেটানো হয়। জমানো টাকা থেকে পুরুষ ও মহিলাদের নামাজের আরও দুটি শেড নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একটি আধুনিক পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। ৬ তলা বিশিষ্ট নতুন মসজিদ কমপ্লেক্সে একসঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। ৫ হাজার নারী মুসল্লির জন্যও পৃথক ব্যবস্থা থাকবে।
কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম দিকে নরসুন্দা নদীর দক্ষিণ তীরে হারুয়া এলাকায় প্রায় পৌনে দুইশ’ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ১৯৭৯ সাল থেকে। তখন থেকে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন। সাধারণত পৌর মেয়ররা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।