গাজীপুরের কালীগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পাঁচ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।

লুটের টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানটিতে তালা লাগিয়ে আরো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদার টাকা না দিলে প্রতিষ্ঠানটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে এবং মালিককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের ইউনিয়ন এলপিজি অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে, বিষয়টি জানাজানি হয় আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)।

এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক জামিল ওয়াহেদ মুহিদ। অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের রতন খান, নাফিজ খান ও সেলিম।

মামলার বাদী জামিল ওয়াহেদ মুহিদ বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ম্যানেজারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা না দিলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু, আমি বিষয়টি আমলে নেইনি।’’

তিনি বলেন, ‘‘গত শুক্রবার রতন খানের নেতৃত্বে ১৭ থেকে ১৮ জন দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্র নিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় কর্মচারীদের মারধর করে পাঁচ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। যাওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় আরো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে আমার প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হবে এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে আছি।’’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর কাশেম বলেন, ‘‘মামলা হওয়ার পর থেকেই পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। আসামিরা পালিয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আলাউদ্দিন বলেন, ‘‘ব্যবসায়ী জামিল ওয়াহেদ মুহিদ তিন জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলায় রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশ কাজ করছে। অপরাধী যেই হউক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’’

ঢাকা/রফিক/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ ল খ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শিকল পরিয়ে স্ত্রীকে খুঁটিতে বেঁধে রাখলেন স্বামী, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

শিকল পরিয়ে স্ত্রীকে বাড়ির পিলারের সঙ্গে বেঁধে রেখেছেন স্বামী। পাশে উৎসুক জনতা। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়। 

গৃহবধূর দাবি, তার স্বামী অন্য মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আর স্বামীর দাবি, তার স্ত্রী পরকীয় করেন এবং টাকা নিয়ে পালিয়েছেন।

শিকলবন্দি ওই গৃহবধূর নাম নাসরিন বেগম (২৪)। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে। নাসরিন ওই গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের বাহারা গ্রামের ওসমান শেখের মেয়ে।

ভিডিওতে দেখ গেছে, গৃহবধূ নাসরিনের কোমরে শিকল পরানো। শিকলের অপর প্রান্ত পিলারের সঙ্গে তালা দিয়ে আটকানো। একটি বেঞ্চে বসে আছেন গৃহবধূ নাসরিন। তার পাশে বসে আছেন স্বামী আব্দুর রহমান, তার কাছে বড় ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে অন্য একটি মেয়ের কোলে তাদের ছোট ছেলে। চারপাশে উৎসুক জনতার ভিড়। 

নাসরিন বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৩ সালে সামাজিকভাবে আব্দুর রহমানের সঙ্গে নাসরিনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির ৩ সন্তান রয়েছে। কয়েক মাস আগে আব্দুর রহমান অন্য মেয়েদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে তা তার স্ত্রী জানতে পারেন। এরপর নাসরিন বেগম টিকটক আইডি খোলেন। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে তার স্বামী নাসরিনকে গালাগাল ও মারধর করেন। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি বেধড়ক মারধর করলে স্বামীর সংসার করবেন না বলে জানান নাসরিন। ওইদিন তিনি বাড়ি থেকে বের যান এবং ওঠেন বোনের বাসায়। পরে সেখান থেকে খুলনায় চলে যান। গতকাল (শনিবার) নাসরিনের ভাই মিটল শেখকে দিয়ে খুলনা থেকে স্ত্রীকে বাগিতে নিয়ে আসেন এবং কোমরে শিকল পরিয়ে ঘরের পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন আব্দুর রহমান। 

নাসরিনের বোন আসমা বেগম বলেন, ‘গতকাল নাসরিনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। রাতে তার শিকল খুলে দেওয়া হয়। এর আগেও কয়েকবার আমার বোনকে মারধর করা হয়। আজ বিকেলে পরিবারের লোকদের নিয়ে বসার কথা রয়েছে। প্রয়োজন হলে মামলা করব।’
  
আব্দুর রহমান বলেন, ‘নাসরিন অন্য ছেলেদের সঙ্গে পরকীয়া করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। নাসরিনের নামে ব্যাংকে আরও টাকা রয়েছে। এসব টাকা উত্তোলন করতে হবে। এমন কথা বলে তার ভাইকে দিয়ে খুলনা থেকে এনে শিকলবন্দি করে রেখেছিলাম। রাতে খুলে দিয়েছিলাম।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ