ঢাকায় আজ জেমসের কনসার্ট, সবার জন্য উন্মুক্ত
Published: 13th, February 2025 GMT
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বসেছে ‘তারুণ্যের উৎসব’। গত ১১ তারিখ শুরু হওয়া এই আয়োজন শেষ হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
শেষদিন হিসেবে আজ অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট। এতে অংশ নেবেন উপমহাদেশের বিখ্যাত রকস্টার মাহফুজ আনাম জেমস ও তার দল নগরবাউল। তাদের সঙ্গে কনসার্টে গাইবে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন আয়োজকরা।
আয়োজকরা জানান, পুরো কনসার্টটি থাকবে উন্মুক্ত। কোনো টিকিট লাগবে না। ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যার পর থেকে। সাড়ে ৬টায় মঞ্চে আসবেন শিল্পীরা। চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত।
জেমস-এর ম্যানেজার রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানান, উৎসবের সমাপনী আসরে আজ সন্ধ্যায় থাকছে নগর বাউল চমক। কনসার্টটি থাকছে সবার জন্য উন্মুক্ত।
‘তারুণ্যের উৎসব’ আয়োজন করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদফতর। এবারের উৎসবের স্লোগান ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত
প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।
শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।
শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।
প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।
পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।
বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।
শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা