নাজমুল হোসেন শান্তর ডেপুটি ছিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে। অধিনায়ক ইনজুরিতে পড়ায় সিরিজের শেষ ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকও হয় মেহেদী হাসান মিরাজের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিলেন দুই সংস্করণ– টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ছিলেন মিরাজ। তাঁর নেতৃত্বে ২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। অথচ তাকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সহ-অধিনায়কও করা হয়নি।
তবে কি বিসিবির বর্তমান কর্মকর্তারা নাজমুল হাসান পাপনের নীতিকে অনুসরণ করছেন? বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা খেয়াল ছিল না। কাল সহ-অধিনায়ক ঘোষণা করে দেব।’
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে সহ-অধিনায়ক রাখা হয় ভবিষ্যৎ অধিনায়কের কথা মাথায় রেখে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। ভবিষ্যৎ অধিনায়ককে কখনও প্রস্তুত করা হয় না।
নিয়মিত অধিনায়ক চোটে পড়লে স্কোয়াড থেকে একজনকে জরুরি ভিত্তিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোনো রকম মানসিক প্রস্তুতি ছাড়া সেই ক্রিকেটার নেতৃত্বের দায়িত্ব পালনও করেন। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়করা।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও মনে করেন অন্য দেশের মতো একজন সহ-অধিনায়ক রাখা প্রয়োজন। মিরাজকে আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলের সহ-অধিনায়ক ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যারা হজে যাননি, তারা বুঝবেন না অনুভূতিটা কেমন: অহনা
জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। বিশেষ করে নাটকে তার দর্শকপ্রিয়তা তুঙ্গে। ঠিক এই সময়ে অহনা জানালেন, অভিনয়কে বিদায় জানাচ্ছেন।
কিছুদিন আগেই ওমরাহ পালন করেন অহনা। সম্প্রতি ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে অহনা রহমান বলেন, “যারা কখনো হজ বা ওমরাহ করতে যাননি, তারা বুঝবে না এই অনুভূতিটা কেমন! আমার গুসবাম্পস হয়েছে। আমি আবারো ওমরাহ করতে যেতে চাই। কারণ আমার অনেক ভালো লেগেছে।”
আবারো ওমরাহ পালন করার কারণ ব্যাখ্যা করে অহনা রহমান বলেন, “আমি যদি কখনো একটু রিল্যাক্স থাকতে চাই, একা থাকতে চাই বা মানসিক প্রশান্তির খোঁজ করি, তাহলে সৌদিতেই যেতে চাই। কারণ এত সুন্দর জায়গা, আমার ওমরাহর কয়েকদিনে মন ভরেনি।”
আরো পড়ুন:
‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’
তাইওয়ানের তারকা অভিনেত্রী বার্বি মারা গেছেন
গত মাসে ওমরাহ পালনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন অহনা রহমান। ছবিতে দেখা যায়, কাবাঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। এরপর দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “আমার প্রিয় ২০২৪ সাল। তুমি আমাকে এই বছরের শুরুতে অনেক কিছু দিয়েছ। আবার অনেক কিছু কেড়েও নিয়েছ এবং মানুষ যে অনেক রকমের হয়, সেটিও চিনতে সাহায্য করেছ। কিন্তু শেষের চমকটা ছিল— আমার জন্য অনেক বড় সারপ্রাইজ, যার অনুভূতি হয়তো কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এখন বুঝলাম, জানলাম ও শিখলাম আল্লাহ কেন মানুষের পরীক্ষা নেয়। বিশ্বাস ও ঈমান আরো মজবুত হয়ে গেল।”
আল্লাহ উত্তম প্রতিদানকারী। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “আল্লাহ জীবন থেকে তুচ্ছ জিনিস নিয়ে উত্তম জিনসটা উপহারস্বরূপ দিয়ে দেন। আমার একটা স্বপ্ন ভেঙেছ। কিন্তু সব থেকে বড় স্বপ্নটা আবার পূরণও করেছে। তাই তোমার ওপর কোনো রাগ নেই আমার।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত