পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটিকে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। সে অনুযায়ী কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এমজিএম করতে ব‌্যর্থ হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।

এদিকে, ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই।

গত ২০ মে বিএসইসির জেড শ্রেণি নিয়ে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়- পরপর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দিলে, আইন অনুযায়ী নিয়মিত এজিএম না করলে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ বিতরণ না করলে কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা যাবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসি চালাতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা চান রাশেদ মাকসুদ

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাজে গতিশীলতা আনতে নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভরশীলতা কাটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। 

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ১৯ জন কর্মকর্তাকে বিএসইসিতে নিয়োগ দিতে চান রাশেদ মাকসুদ।

নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না জানিয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সিএসইসিতে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন রাশেদ মাকসুদ। 

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) থেকে তিনজন নির্বাহী পরিচালক, তিনজন পরিচালক, একজন কমিশন সচিব এবং ১২ জন যুগ্ম বা অতিরিক্ত পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিএসইসিতে নিতে চান রাশেদ মাকসুদ। 

এসব কর্মকর্তাকে দ্রুত বিএসইসিতে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার কথা জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান। তার বিশ্বাস, এটি করা হলে কমিশনের অনেক বিষয়ের গোপনীয়তা বজায় থাকবে।

৫ মার্চের ‘বিদ্রোহ’ পরবর্তী পদক্ষেপ এবং করণীয় সম্পর্কে অবহিত করার প্রতিবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিএসইসিতে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছেন রাশেদ মাকসুদ।

সেই সঙ্গে বিএসইসিতে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এবং দ্রুত প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফেরাতে ৯ দফা সুপারিশ করেছে কমিশন।

অর্থ উপদেষ্টার কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেছেন, বিভিন্ন গুরুতর অনিয়মের কারণে সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে অবসর দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক শেখ মাহবুব-উর-রহমান, পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এবং অতিরিক্ত পরিচালক এস কে মো. লুৎফুর কবির ও যুগ্ম পরিচালক মো. রশিদুল আলমের বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ শেয়ারবাজার লুটপাটে সহযোগিতার এবং অবৈধ সম্পদ গড়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এটি তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসছে।

ঘটনার দিন কমিশনের উচ্ছৃঙ্খল এবং উদ্ধত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের অবসরের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। একই সঙ্গে তারা কমিশন যাদের শেয়ার কারসাজি ও অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে, তা প্রত্যাহার এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির সুপারিশ গ্রহণ না করতে চাপ সৃষ্টি করে।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং চাকরি শৃঙ্খলার পরিপন্থি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম এরই মধ্যে কমিশন গ্রহণ করেছে এবং ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় আরও কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক বলে কমিশন মনে করে।

গত ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন। সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গুরুতর জখমের চেষ্টা করা হয়। বিএসইসি ভবনে হট্টগোল এবং চেয়ারম্যানসহ কমিশনারদের অবরুদ্ধ করার ঘটনায় গত ৬ মার্চ রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মোহতাছিন বিল্লাহসহ ১৬ জনকে আসামিকে করে মামলা দায়ের করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান।

বর্তমানে মামলার ১৬ আসামির সবাই জামিন পেয়েছেন। গত ৯ মার্চ সাতজন এবং ১০ মার্চ ছয়জন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। পরে অন্য দুজনও জামিন নেন। সর্বশেষ মোহতাছিন বিল্লাহ গ্রেপ্তারের পর জামিন পেয়েছেন। জামিনযোগ্য ধারা হওয়ায় তারা জামিন পেয়েছেন।

ঢাকা/এনটি/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসি চালাতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা চান রাশেদ মাকসুদ
  • ভোরে গ্রেপ্তার, বিকেলে জামিন 
  • বিএসইসির পরিচালক মোহতাছিন বিল্লাহ গ্রেপ্তার
  • পুঁজিবাজার উন্নয়নে সবাইকে কাজ করতে হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান