যুক্তরাজ্যের বাজারে রেনাটার ওষুধ
Published: 13th, February 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের বাজারে ক্যাবারগোলিন ০.৫ মিলিগ্রামের একটি ওষুধের জেনেরিক সংস্করণের প্রথম চালান পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনাটা পিএলসি। হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া এবং পারকিনসন রোগের চিকিৎসায় এ ওষুধ ব্যবহৃত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ওষুধের প্রথম চালান ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। ক্যাবারগোলিন যুক্তরাজ্যে ক্যাবোলিন নামে বাজারজাত করা হবে এবং বাংলাদেশে রেনাটার যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ অনুমোদিত উৎপাদনকেন্দ্রে উৎপাদন করা হবে।
আরো পড়ুন:
মিউচুয়াল ফান্ড-মার্জিন রুলস নিয়ে পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের সুপারিশ
শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ১১ কোম্পানি
এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ক্যাবারগোলিন ০.
ক্যাবারগোলিন ০.৫ মিলিগ্রাম ওষুধটি রাজধানীর মিরপুরে রেনাটার কারখানায় তৈরি করা হয়, যা অস্ট্রেলিয়ার থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ইউকে মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি অনুমোদিত।
অস্ট্রেলিয়ায় সাম্প্রতিক অনুমোদনের পাশাপাশি রেনাটা পিএলসি যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে ক্যাবারগোলিনের জন্য অনুমোদন পেয়েছে।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলার ২৩৮ নাগরিককে এল সালভাদর কারাগারে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
আদালতের নিষেধ সত্ত্বেও ভেনেজুয়েলার ২৩৮ নাগরিকসহ মোট ২৬১ ব্যক্তিকে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ভেনেজুয়েলা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। খবর রয়টার্স, বিবিসির
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নায়েব বুকেলে লিখেছেন, প্রত্যর্পণ করা ব্যক্তিদের মধ্যে ভেনেজুয়েলার ট্রেন ডি আরাগুয়ার গ্যাংয়ের ২৩৮ সদস্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক গ্যাং গোষ্ঠী এমএস-১৩-এর সদস্য রয়েছে ২৩ জন। এসব ব্যক্তিকে এল সালভাদরের একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগারে রাখা হবে। এজন্য মধ্য আমেরিকার দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্থ পাবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন ডি আরাগুয়ার সদস্যদের দ্রুত প্রত্যর্পণের জন্য গত শুক্রবার কয়েক শতকের পুরোনো ভিনদেশি শত্রু আইন বা এলিয়েন এনেমিস অ্যাক্ট ব্যবহারের নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি যুদ্ধকালীন আইন হিসেবে পরিচিত।
পরদিন শনিবার ওয়াশিংটনের কেন্দ্রীয় সরকারের বিচারক জেমস বোসবার্গ ১৭৯৮ সালের ওই ভিনদেশি শত্রু আইনের ব্যবহার ১৪ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তার বক্তব্য ছিল, এই আইনে অন্য দেশের দ্বারা সংঘটিত এমন ‘শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডকে’ বোঝানো হয়েছে, যা ‘যুদ্ধের সমতুল্য’।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারকের নির্দেশ নিয়ে কিছুটা ঠাট্টার সুরে বলেছেন, ‘উফ... অনেক দেরি হয়ে গেছে’।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী অন্য দেশের অপরাধীদের এল সালভাদরের কারাগারে রাখার জন্য গত মাসে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি চুক্তি হয়েছে। এটাকে ‘অভূতপূর্ব ও অসাধারণ অভিবাসন চুক্তি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
নায়েব বুকেলে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যর্পণ করা ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে এক বছরের জন্য সন্ত্রাসবাদ বন্দিশিবিরে (সেকট) পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের আটকাদেশ বাড়ানো হতে পারে।
শনিবার বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন ডি আরাগুয়ার ৩০০ অভিযুক্ত সদস্যকে এক বছর জেলে রাখতে এল সালভাদরকে ৬০ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিজ দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে ভেনেজুয়েলা। এক বিবৃতিতে দেশটি বলেছে, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ‘ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের অন্যায়ভাবে অপরাধী সাব্যস্ত করছে। এর মাধ্যমে দাসপ্রথা থেকে শুরু করে নাৎসি বন্দিশিবিরের ভয়াবহ স্মৃতিকে উসকে দিয়েছে, যা মানবতার ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার পর্ব হিসেবে পরিচিত।’