যুক্তরাজ্যের বাজারে ক্যাবারগোলিন ০.৫ মিলিগ্রামের একটি ওষুধের জেনেরিক সংস্করণের প্রথম চালান পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনাটা পিএলসি। হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া এবং পারকিনসন রোগের চিকিৎসায় এ ওষুধ ব্যবহৃত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ওষুধের প্রথম চালান ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। ক্যাবারগোলিন যুক্তরাজ্যে ক্যাবোলিন নামে বাজারজাত করা হবে এবং বাংলাদেশে রেনাটার যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ অনুমোদিত উৎপাদনকেন্দ্রে উৎপাদন করা হবে।

আরো পড়ুন:

মিউচুয়াল ফান্ড-মার্জিন রুলস নিয়ে পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের সুপারিশ

শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ১১ কোম্পানি

এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ক্যাবারগোলিন ০.

৫ মিলিগ্রামের একটি জেনেরিক সংস্করণ চালু করে রেনাটা পিএলসি। দোসটামাইনের ব্র্যান্ড নামে বাজারজাত করা এ ওষুধটি রেনাটার পার্টনার নোভা ফার্মাসিউটিক্যালস অস্ট্রালেসিয়া পিটি লিমিটেডের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় বিতরণ করা হয়।

ক্যাবারগোলিন ০.৫ মিলিগ্রাম ওষুধটি রাজধানীর মিরপুরে রেনাটার কারখানায় তৈরি করা হয়, যা অস্ট্রেলিয়ার থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ইউকে মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি অনুমোদিত।

অস্ট্রেলিয়ায় সাম্প্রতিক অনুমোদনের পাশাপাশি রেনাটা পিএলসি যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে ক্যাবারগোলিনের জন্য অনুমোদন পেয়েছে।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর থাকার নির্দেশ খাদ্য উপদেষ্টার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের কারণে খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে সেখানে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবিসহ দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ বিষয়ক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সভা শেষে দুপুর ১টার দিকে সংক্ষিপ্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন খাদ্য উপদেষ্টা।

এ সময় উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, খাদ্য সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ থেকে কিছুটা চোরাচালান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আগে থেকেই সার ও জ্বালানি তেল চোরাচালানের একটা প্রবণতা এখানে ছিল। তাই নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই চোরাচালান না হতে পারে।

দেশে বর্তমানে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুদ ও আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে মন্তব্য করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, সামনে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চালের যে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছিল সেটি কেটে যাবে এবং চালের দামও সহনশীল পর্যায়ে থাকবে। আগামী রমজান ঘিরে যাতে দাম সহনশীল থাকে সে বিষয়েও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান আলী ইমাম মজুমদার।

এর আগে জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও এপিবিএন পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে জলসীমান্ত ৫৪ কিলোমিটারের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ