‘গোপন কথা’ নিয়ে সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে পরিচালক আজাদ রহমানের বচসা হয়েছিল। ছবিটি নিয়ে সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা রীতিমতো গোঁ ধরে ছিলেন। এটিকে কিছুতেই ‘আনরেস্ট্রিক্টেড’ (সর্বজনীন) সনদ দেবে না বোর্ড।

বোর্ডের দাবি, সিনেমাটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপযোগী। ফলে ১৯৭৬ সালে ‘অ্যাডাল্ট’ (১৮ ‍+) ক্যাটাগরিতে সিনেমাটিকে সেন্সর সনদ দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড।

চলচ্চিত্র বিশ্লেষকেরা বলছেন, সত্তর-আশির দশকে ঢাকাই সিনেমার রমরমা সময়ে কোনো সিনেমার অ্যাডাল্ট সনদ পাওয়ার ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। সেই সময়ে সেন্সর পাওয়া প্রায় সব ছবিই ছিল ‘আনরেস্ট্রিক্টেড’ (সর্বজনীন)। এর বাইরে কয়েকটি ছবিকে নিষিদ্ধ করেছিল বোর্ড।

আরও পড়ুনসার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫‘গোপন কথা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন কবরী-সোহেল রানা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জমি নিয়ে বিরোধে সাংবাদিকের হাত-পা ভাঙল প্রতিপক্ষ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে স্থানীয় এক সাংবাদিকের দুই হাত ও এক পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার সরাই হাজিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিকের নাম শাহিন খান। তিনি দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রায়গঞ্জ প্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক।

শাহিনের বড় ভাই শামীম খান সমকালকে বলেন, শনিবার সকালে ছোট ভাই বাড়ির অদূরে গভীর নলকূপ মেরামতের কাজ দেখতে যায়। ওখানে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে পাশের শ্যামগোপ গ্রামের শাহ পরানের নেতৃত্বে একদল লোকজন শাহিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম এবং লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও এক পা ভেঙে দেয়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধারের পর প্রথমে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা শাহিনকে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।    

রায়গঞ্জ থানার পরির্দশক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক শাহিন খানের বাবা আব্দুল বারিক খান বাদী হয়ে শনিবার রাতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

রায়গঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রোববার বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ