Samakal:
2025-04-14@06:01:30 GMT

রান উৎসবে প্রস্তুতি সারল ভারত

Published: 13th, February 2025 GMT

রান উৎসবে প্রস্তুতি সারল ভারত

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের টপ অর্ডারের ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয় ভারতের। রোহিত শর্মা রান পাননি। বিরাট কোহলি ফর্মে ছিলেন না। শুভমন গিলকে তো বাদ দেওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এদের সকলেই রানে ফিরেছেন। ভারতও ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে সিরিজ। বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১৪২ রানে হারিয়েছে মেন ইন ব্লুজরা। 

এদিন প্রথমে ব্যাট করে ভারত ইনিংসের শেষ বলে ৩৫৬ রান তুলে অলআউট হয়। সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত ধারাবাহিক শুভমন গিল খেলেন ১০২ বলে ১১২ রানের ইনিংস। ১৪টি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। গিল প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে তিনে নেমে ৮৭ রান করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেনিংয়ে ফিরে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। 

রোহিত শর্মা প্রথম ও শেষ ম্যাচে রান পাননি। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেছিলেন ৯০ বলে ১১৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ১২টি চারের সঙ্গে সাতটি ছক্কা মারেন তিনি। দুশ্চিন্তা ছিল কেবল কোহলির ফর্ম নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ভুলে যাওয়ার মতো করে আউট হয়েছেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে কোহলি বিশ্রামে ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ রান করে ফিরে যান। ওই কোহলি শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৫৫ বলে ৫২ রান করেছেন। 

এছাড়া ভারতের বড় রানের পথে শ্রেয়াস আইয়ার ৬৪ বলে ৭৮ রান করেন। ২৯ বলে ৪০ রান করেন কেএল রাহুল। জবাবে ইংল্যান্ড ৩৪.

২ ওভারে ২১৪ রান করে অলআউট হয়েছে। ইংল্যান্ডের টপ ও মিডল অর্ডারের পাঁচ ব্যাটার শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ওপেনার ফিল সল্ট ২৩ ও বেন ডাকেট ৩৪ রান করে ফিরে যান। তিনে নেমে টম বান্টন ৩৮ ও চারে নামা জো রুট ২৪ রান করে ফিরে যান। হ্যারি ব্রুক ফেরেন ১৯ রান করে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল র ন কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত

প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।

শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।

শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।

প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।

পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।

বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।

শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে হবে
  • জাতির আসল পরিচয় তার সংস্কৃতি
  • দেশজুড়ে মেলার উৎসব-উদ্দীপনা
  • সংগীতের আবহে উৎসব
  • চৈত্র সংক্রান্তিতে বেরোবিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজিত
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন
  • নতুন প্রেমিকার হাত ধরে ম্যাকাও উৎসবে আমির খান
  • সেইলরের বৈশাখ আয়োজন
  • বান্দরবানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাংগ্রাই শুরু
  • শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত