Samakal:
2025-04-28@23:11:45 GMT

জলে জ্বলে তারা’র মিথিলা

Published: 13th, February 2025 GMT

জলে জ্বলে তারা’র মিথিলা

দিন পেরোলেই ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফালগুন। এমন দিনকে কেন্দ্র করে নির্মিত নাটকে অতিপরিচিত মুখ ছিলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সঙ্গে থাকতেন প্রাক্তন তাহসান খান। সেই মিথিলা এখন নাটকে নেই। তাদের রোমান্টিক নাটক দর্শকরা দেখতেন।

ভাবতেন কী সুন্দর জুটি! পর্দার এ জুটি যে বাস্তবেরও জুটি তা মনে করতেই তৃপ্ত হতেন। আজ দু’জনের পথ দুই দিকে। একে অপরের প্রাক্তন। দু’জনই সংসার বেঁধেছেন অন্য কারও সঙ্গে। মিথিলা কলকাতার সৃজিতের গলায় দিয়েছেন মালা আর তাহসান মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে করছেন সংসার। এখনও তাহসানকে দেখলে মিথিলাকে ভাবেন দর্শক, মিথিলা থাকলেও চর্চায় আসেন তাহসান। পথ আলাদা হওয়ার কয়েক বছরও সে প্রমাণ মিলল। সম্প্রতি একটি আয়োজনে হাজির হয়েছিলেন মিথিলা। সেখানে তাঁকে পেয়েই সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছোড়েন প্রাক্তনের বিয়ে নিয়ে।

বিষয়টি নিয়ে মিথিলা এতদিন চুপ থাকলেও এবার আর চুপ থাকলেন না। প্রশ্ন করা হলো প্রাক্তনের বিয়ে নিয়ে মিথিলার কিছু বলার আছে কিনা। অভিনেত্রী বললেন, ‘বিয়ে নিয়ে আমার কিছুই বলার নাই। এটি নিয়ে কথা বলতেও চাই না; যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। এটি আমারও কোনো ব্যক্তিগত বিষয় না, যে আমি কথা বলব। যার জীবনের ঘটনা, এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে আমার কিছুই বলার থাকতে পারে না।’

ব্যক্তিচর্চার কথা এবার থাক। মিথিলার কাজের প্রসঙ্গে আসি। কলকাতার বধূ এখন তিনি। তাই দেশে সংসার কাজ সামলিয়ে সেখানেও বছরের অনেকটা সময় থাকতে হয়। থাকতে হয় কাজ নিয়েও। কয়েক বছর আগে কলকাতায় মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত ‘মায়া’। এই ছবি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় অভিষেক হয় বাংলাদেশি অভিনেত্রীর। এরপর একের পর এক কলকাতার ছবিতে থাকছেন তিনি। থাকছেন ওটিটিতেও। দেশের ওটিটিতেও তাঁর মুখরতা কম নয়। চাকরি আর সন্তান সামলিয়ে মিথিলা এখনও দারুণ ব্যস্ত অভিনয়ে। 

আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে এ অভিনেত্রীর সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’। সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটির পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। এতে মিথিলার বিপরীতে আছেন এফ এস নাঈম। এর আগে নাটক-সিনেমায় নাঈমের সঙ্গে দেখা গেলেও সিনেমায় এবারই প্রথম। অভিনেত্রী বলেন, ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমায় মিথিলার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নাঈম। অভিনয়ের বাইরেও বাস্তব জীবনে তারা কলেজফ্রেন্ড। বন্ধু সম্পর্কে মিথিলা বলেন, নাঈম এ সিনেমায় মাঝির চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাঈম আমার কলেজজীবনের বন্ধু। ওর সঙ্গে নাটকে অভিনয় করেছি। সিনেমায় দু’জনে প্রথম কাজ করলাম। আমাদের পরিচয় বহু বছর আগে থেকে। নাঈম গোছানো মানুষ। কঠোর পরিশ্রম করতে পারে। নাঈম একজন ভালো মানুষ, সিরিয়াস টাইপের মানুষ।

নিজের চরিত্রটি সম্পর্কে জানিয়ে মিথিলা বললেন, সিনেমার চরিত্রে আমি নদীপারের মেয়ে। নদীর পারে সার্কাস দেখাই, যার কিছুই নেই। একেবারেই অন্যরকম গল্প। ভিন্ন একটি চরিত্র। এমন গল্পে ও চরিত্রে আগে কখনও আমাকে দেখা যায়নি। শুটিং করেছি কালীগঙ্গা নদীর পারে। নদীতেও দৃশ্য ছিল আমার। নৌকায় করে সেসব দৃশ্যের কাজ হয়েছে। 

সিনেমায় দেখা যাবে ‘তারা’ নামের মেয়েটি সার্কাসে কাজ করে। নারীকেন্দ্রিক গল্প। তা এমন চরিত্রটি করতে কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল, জানতে চাইলে মিথিলা বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। কেননা, নৌকার দৃশ্যগুলো সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেক দিন ধরে শুটিং করেছি। রোদের মধ্যে শুটিং করতে কষ্ট হয়েছে। তারপরও শিল্পের প্রয়োজনে কাজ করেছি। তারা চরিত্রটি নিজের ভেতরে ধারণ করাটাও কঠিন ছিল। ওই রকম জীবন কখনও দেখিনি। সেটিই পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য কাজ করতে হয়েছে।’

সিনেমাটিতে মিথিলার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মায়ের চরিত্রে মুনিরা মিঠু। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম ও শাহেদ আলী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর কর ছ ন কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে

বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, এই লক্ষ্যে মেডিকেল শিক্ষার কারিকুলাম ঢেলে সাজাতে হবে এবং পরিবর্তন আনতে হবে সেবা দেওয়ার পদ্ধতিতে। শনিবার বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের ২৪তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। 

গত বৃহস্পতিবার তিন দিনব্যাপী শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হবে আজ রোববার। সম্মেলনে বাংলাদেশে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার নানা দিক নিয়েও আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, কিছু কিছু চিকিৎসা আছে যেগুলো প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা পদ্ধতি ও ওষুধ দিয়ে সুস্থ রাখা যায়। এ ব্যাপারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু শারীরিক পরিশ্রম করার পাশাপাশি কমদামি ম্যাটফরমিন নামক ট্যাবলেট দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এ ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের অনেক ওষুধ আছে যেগুলো এখনও কার্যকর এবং দামও কম। মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা যতদূর সম্ভব মানুষের আর্থিক খরচ কমিয়ে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। 

‘সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা’ স্লোগানে এ আয়োজনে অন্তত ১০টি সেশনে শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হচ্ছে। সম্মেলনে দেশের দুই হাজারেরও বেশি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নিচ্ছেন। এবারের সম্মেলনে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্সসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে ১০ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নিয়েছেন। তারা অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে বিশ্বমানের চিকিৎসা পদ্ধতির সংযোগ স্থাপনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনির-উজ-জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. সরোয়ার বারী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সোসাইটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ জাকারিয়া আল আজিজ।

অধ্যাপক মনির-উজ-জামান বলেন, মেডিসিন হলো চিকিৎসা ব্যবস্থার মূলধারা, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বল্প খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করে। বর্তমানে দেশে ১১৪টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ৩৭টি সরকারি থাকলেও, মেডিসিন বিভাগের জনবল এখনও প্রয়োজনের তুলনায় কম। তিনি সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় নতুন পদ সৃষ্টি ও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক মনির-উজ-জামান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশুর মাথা ঘামে কেন
  • কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত হাওয়া
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে: ড. ইউনূস
  • গান নিয়েই আমার সব ভাবনা
  • অন্তর্বর্তী সরকারকে মানুষ এখনও ভালো সমাধান মনে করছে: আল জাজিরাকে
  • 'সততা ও আবেগ নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখি'
  • সততা-আবেগ নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখি: সুনেরাহ
  • ‘ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা ছাড়া কাজে সাফল্য আসে না’
  • চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে