উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়াতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৯টি আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ হতে স্নাতক লেভেল-১ সেমিস্টার-১-এর আসন সংখ্যা ৪৩১ থেকে বাড়িয়ে ৫৮০-তে উন্নীত করা হয়। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সভায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি অনুমোদনের পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুনশাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো কোর্স ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা চালু২২ ঘণ্টা আগে

একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য মো.

আলিমুল ইসলাম। একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আসাদ-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এ টি এম মাহবুব-ই-ইলাহী বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুননাসা ইন্টার্নশিপ, হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সুযোগ২ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া সভায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল গণি এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, একাডেমিক বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, লাইব্রেরিয়ান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য মো. আলিমুল ইসলাম সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সবার সহযোগিতা চান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এক ড ম ক

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি বুধবার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে—ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট শুনানির জন্য আগামী বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

শুনানির জন্য বিষয়টি উত্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই দিন ধার্য করেন।

৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এই আদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। আজ সকালে আদালতে রিটের বিষয়টি উত্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রিট আবেদনকারী মো. জসিম উদ্দিন।

আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট২২ ঘণ্টা আগে

পরে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিটের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে আদালত ২৩ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ৯ এপ্রিলের অফিস আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানসহ সাতজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে১২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ