Samakal:
2025-04-15@15:49:08 GMT

বসন্ত ছুঁয়েছে...

Published: 13th, February 2025 GMT

বসন্ত ছুঁয়েছে...

দিনপঞ্জি দেখে বসন্ত বাতাস বইবে– এমন কোনো কথা নেই। তবু পহেলা ফাল্গুন এলেই ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেই আমরা। আনন্দ-হাসি-গানে ভরিয়ে রাখি চারপাশ। দিনটি আরও বর্ণিল হয়ে উঠে ভালোবাসার মানুষদের আনাগোনায়। কারণ একটাই, ১৪ ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে বসন্তবরণ ও ভালোবাসার দিন। তাই বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গানের ভুবনের বাসিন্দারাও সাজিয়ে রাখেন তাদের নতুন আয়োজনের পসরা।

প্রতি বছরের মতো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তারকা থেকে শুরু করে নতুন শিল্পী ও সংগীতায়োজকরা প্রকাশ করেছেন নানা স্বাদের গান। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কী আছে বসন্ত ও ভালোবাসার সুর-মূর্ছনার তালিকায়। ভালোবাসার গান নিয়ে আরও একবার আলোচনায় এসেছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ। তাঁর নতুন আয়োজন ‘পাগল হাওয়া’ প্রকাশে ঘোষণার সময় থেকেই শ্রোতাদের কৌতূহল ছিল লক্ষ্য করার মতো।

শ্রাবণের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন হাবিব নিজেই। কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর শ্রোতাদের ভালোবাসা কুড়াচ্ছেন নতুন একক গান ‘কষ্ট ভীষণ’ মাধ্যমে। আহমেদ রিজভীর লেখা এই গানের সুর করেছেন মনোয়ার হোসেন টুটুল। সংগীতায়োজন করেছেন পার্থ মজুমদার। অন্যদিকে প্রিন্স মাহমুদ নতুন স্বাদের আয়োজন দিয়ে চমকে দিয়েছেন শ্রোতাদের। তাঁর কথা ও সুরে তাহসান ও আতিয়া আনিসার গাওয়া ‘জংলি’ সিনেমার ‘জনম জনম’ গানটি হয়ে উঠেছে ভালোবাসা দিবসের ছন্দময় স্মারক। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল। শুধু এই গানের সংগীতায়োজনই নয়, নতুন একক গান ‘মন বুঝলি না’ প্রকাশ করেও শ্রোতার মাঝে সাড়া ফেলেছেন ইমরান। আবদার রহমানের লেখা এ গানের সুর করেছেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির। পাশাপাশি এর সুরকার যৌথভাবে সংগীতায়োজন করেছেন সঞ্জয়ের সঙ্গে। এদিকে ভালোবাসা দিবস আসার আগেই আলোড়ন তুলেছে বে অব বেঙ্গল ব্যান্ডের ‘গন্ধ খুঁজে পাই’ গানটি। একইভাবে শহরতলী ব্যান্ডের ‘কবির মৃত্যু’ গানটি হয়ে উঠেছে এই বসন্তের ব্যতিক্রমী আয়োজনের তকমা। গুঞ্জন রহমানের লেখা ও হৃদয় খানের সুরে ন্যান্সির গাওয়া ‘তোমারই আছি’ গানে খুঁজে পাওয়া গেছে ভিন্নতার ছাপ। এর বাইরেও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ন্যান্সি প্রকাশ করেছেন আরেকটি একক গান; যার শিরোনাম ‘প্রেমে পড়ার গান’। তারিক বিন ইসলাম তুহিনের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ হাসান নিরব। ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কিশোরের ‘প্রেমে পড়ে যাই’ গানটি অনেকের প্রিয় তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। কবির বকুলের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শিল্পী কিশোর নিজে। কিশোরের পাশাপাশি একই রিয়েলিটি শো থেকে উঠে আসা শিল্পী লিজা প্রকাশ করছেন দুটি গান। সেই তালিকায় আছে তাঁর একক গান ‘তুমি এলে’ এবং সামসের সঙ্গে গাওয়া হিপহপ ঘরানার দ্বৈত গান ‘তিতা কথা’। 

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের আরেক চমক ছিল বলিউডের নন্দিত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক সেলিম মার্চেন্টের সঙ্গে গাওয়া সিঁথি সাহার দ্বৈত গান ‘বৃষ্টিবিলাস’। সোমেশ্বর অলির লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। কণ্ঠশিল্পী আগুন তাঁর ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে বিরতি ভেঙে প্রকাশ করেছেন নতুন একক গান ‘এক গ্লাস’। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি সুর করেছেন আলী আকতার রুনু। একইভাবে শিল্পী বাঁধন সরকার পূজা শ্রোতাদের প্রত্যাশা মেটাতে প্রকাশ করেছেন একক গান ‘এক জনমে হাজার মরণ’। ‘জংলি’ সিনেমার দ্বৈত গান ছাড়াও আলোচিত তরুণ শিল্পী আতিয়া আনিসার কণ্ঠে আরেকটি শ্রুতিমধুর গান শোনার সুযোগ পেয়েছেন শ্রোতা; যার শিরোনাম ‘মন পাখি’ কিংকর আহসানের লেখা এই গানের সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ নিরব।

শিল্পী মাহতিম শাকিব শ্রোতা মনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে ‘ফেব্রুয়ারি’ শিরোনামের ব্যতিক্রমী আয়োজন তুলে ধরার মধ্য দিয়ে। প্রসেনজিত ওঝার লেখা এ গানটি সংগীতায়োজন করেছেন শোভন রায়। অসংখ্য রোমান্টিক গান গেয়ে সংগীতপ্রেমীর হৃদয় জয় করা শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা ও সোমনূর মনিরা কোনাল দু’জনেই দুটি ভিন্ন স্বাদের গান উপহার দিয়েছেন। ‘মন বলেছে চুপি চুপি’ শিরোনামের গানটিতে কনার সহশিল্পী ছিলেন অয়ন চাকলাদার।

আবুবকরের লেখা এ গানটির সংগীতায়োজন করেছেন শিল্পী অয়ন চাকলাদারকে নিয়ে। অন্যদিকে কোনালের গাওয়া ‘অন্তরে বাহিরে’-এর কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ নিরব। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনির খান শ্রোতার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন প্রমা ইসলামের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া ‘তোমাকে চাই আমি’ গানের মধ্য দিয়ে। রাসেল কবিরের লেখা এই গানের সুর করেছেন মাসুদ টুটুল। সংগীতায়োজন করছেন সোহেল আজিজ। এর বাইরেও বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু গান; যা সব শ্রেণির সংগীতপ্রেমীর মনোযোগ কাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পী, সংগীতায়োজক ও প্রকাশকরা।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বসন ত ও ভ ল ব স র স গ ত য় জন স র কর ছ ন ন একক গ ন কর ছ ন শ

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা সাহিত্যের অমর কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, ফকির লালন সাঁই, মুঘল সম্রাট আকবর, গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথসহ অন্তত ৩৮ জন বিখ্যাত মনীষীর। তবে তারা আসল নয়, ডামি। ডামি হলেও তাদের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটেছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের চেহারা ও অবয়ব। তাদের দেখে মুগ্ধ নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা।

এছাড়াও শোভাযাত্রায় বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের সচিত্র দেখা গেছে।

সোমবার সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এমন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল সাগে ৯টায় কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমি থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে উপজেলা প্রশাসন। আনন্দ শোভাযাত্রাটি হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, গোলচত্বর, উপজেলা সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে দই চিড়া খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমীর ১২৫ জন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী নেন এবং শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুহিনা ইসলাম প্রজ্ঞা বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিয়ারী সুন্দরী, কাজী মিয়াজান, মীর মশাররফ হোসেনসহ অসংখ্য মনীষীদের দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে।

কলেজ ছাত্র শুভ মোল্লা বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জাঁকজমক হয়েছে আয়োজন। বন্ধুরা মিলে খুবই আনন্দ করছি।

সুবর্ণা খাতুন নামের এক শিশু জানায়, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে নৃত্য করেছি। দই চিড়া খেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।

প্রায় ১৮ ধরে বৈশাখের শোভাযাত্রায় মীর মশাররফ হোসেনের ডামি চরিত্রে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান মানু। তিনি বলেন, প্রতি বৈশাখে একই চরিত্রে থাকি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। যতদিন বাঁচি, এ চরিত্রেই থাকতে চাই।

আধুনিকতার বাইরে এসে যেন বাংলা সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারি। সেজন্য সম্রাট আকবরের ডামি সেজেছিলাম। কথাগুলো বলছিলেন চয়ন শেখ।

পরিচয় জানতেই 'বল বীর, বল উন্নত মম শির! শির নেহারি আমারই নত শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!' কবিতার কয়েকটি লাইন বলতে থাকেন পান্টি এলাকার মিলন হোসেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ডামি ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ইতিহাস ঐহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিত করতে রবীন্দ্রনাথ, মশাররফ, কাঙাল, বাঘা যতীনসহ ৩৮টি ডামি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, ২৪ এর গণ অভ্যর্থান, প্যালেস্টাইনের চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান ডামি পরিচালক কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাস বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় বিখ্যাত ব্যক্তি ও মনীষীদের চরিত্র দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। তা দেখে মুগ্ধ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। ডামি ছাড়াও চিড়া দই খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চড়ক মেলায় মেতে উঠেছিল নাটোরের শংকরভাগ 
  • কুমারখালীতে অন্যরকম আনন্দ শোভাযাত্রা
  • নববর্ষেও বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ: দুলু
  • আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন
  • আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
  • হালখাতা আছে, নেই নিমন্ত্রণ
  • মারমাদের মাহা সাংগ্রাই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
  • ‌‘তৌহিদী জনতার’ চিঠিতে বাতিল হলো শেষের কবিতা নাটকের প্রদর্শনী
  • রাষ্ট্র ও সমাজকে পথশিশুদের প্রতি মানবিক হতে হবে
  • চন্দনাইশের ‘হাতপাখা’ গ্রামে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা