কাসাব্ল্যাঙ্কা
কাসাব্ল্যাঙ্কায় জনপ্রিয় ক্যাফে চালায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত রিক ব্লেইন। ঘটনাক্রমে ট্রানজিটের দুটো কাগজ পায় ব্লেইন। এই শহরেই সে আবিষ্কার করে সাবেক প্রেমিকা ইলসাকে। ইলসার স্বামী লাজলো চেকেস্লোভাকিয়ার বিদ্রোহী নেতা, জার্মানরা যাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। ইলসা জানে, কেবল ব্লেইনই সাহায্য করতে পারবে তাদের। ঈর্ষাকাতর ব্লেইন কি সাহায্য করবে? সে কি ছিনিয়ে নেবে তাঁর ভালোবাসাকে, নাকি পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে তাকে। প্রেমিকার স্বামীর ব্যাপারে বা কী পদক্ষেপ নেবে সে? এ উত্তরগুলো পেতে আপনাকে দেখতে হবে সিনেমাটি। ১৯৪২ সালে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাইকেল কার্টিজ। এতে অভিনয় করেছেন হামফ্রি বোগার্ট, ইনগ্রিড বার্গম্যান প্রমুখ। ছবিটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হিসেবে গণ্য করা হয়।
গন উইথ দ্য উইন্ড
১৯৩৯ সালের ছবি। ভিক্টর ফ্লেমিং পরিচালিত এ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে মার্গারেট মিচেলের লেখা একই নামের উপন্যাস থেকে। ১০৩৭ পৃষ্ঠার ঢাউস উপন্যাস ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। এ উপন্যাস পুলিৎজার পুরস্কারও পায়। প্রযোজক ডেভিড ও সেলজনিক উপন্যাস ছাপা হওয়ার পর পরই লেখকের কাছ থেকে এর চলচ্চিত্র কিনে নেন ৫০ হাজার ডলারে। তখন পর্যন্ত এটিই ছিল কোনো উপন্যাসের সর্বোচ্চ দাম। প্রায় ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এ ছবি ১৯৩৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর আটলান্টায় মুক্তি পায়। মুক্তির আগে ছবির প্রচারণা চলে তিন বছর ধরে। মুক্তি পাওয়ার পর শুধু হলিউডে নয়, সারা বিশ্বেই এ ছবি একটি ইতিহাস হয়ে ওঠে। অস্কারে ১৩ নমিনেশন ও ১০টি পুরস্কার পায় এ ছবি।
রোমান হলিডে
১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি পরিচালনা করেছেন উইলিয়াম ওয়াইলার। এ সিনেমাটি চলচ্চিত্রপ্রেমীর কাছে ভালোবাসার ছবি, আবেগের নাম। চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের রায়ে ধ্রুপদি সিনেমা। এ সিনেমার শেষ দৃশ্য বুকের মধ্যে যেমন হাহাকার জাগায়, মন খারাপ করিয়ে দেয়। অড্র্রে হেপবার্ন ও গ্রেগরি পেক অভিনীত ‘রোমান হলিডে’ তিনটি অস্কারসহ, গোল্ডেন গ্লোব ও আমেরিকান রাইটার্স গিল্ডের পুরস্কারও পায়।
ওয়েস্ট সাইড স্টোরি
শেক্সপিয়ারের অমর সৃষ্টি রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট-অনুপ্রাণিত এ ছবির গল্প। নিউইয়র্ক শহরে রাস্তার দুই মাস্তান দলের মধ্যে মহাবিরোধ। জেটস বনাম শার্কস একে অপরের ছায়াও সহ্য করতে নারাজ। দুই শত্রুগোষ্ঠীর দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে অলৌকিক প্রেম বাসা বাঁধে। জেটস দলের নেতা টনি প্রেমে পড়ে শার্কস দলনেতা বার্নার্ডোর বোন মারিয়ার। কী ভবিষ্যৎ এই প্রেমের? মিউজিক্যাল ধাঁচের এ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে। ছবির পরিচালক রবার্ট ওয়াইজ ও জেরম রবিনস।
অ্যান অ্যাফেয়ার টু রিমেম্বার
নিকি হচ্ছে ‘প্লেবয়’, প্রেম তার কাছে ছেলেখেলা। ইউরোপ থেকে নিউইয়র্কের জাহাজে করে যাওয়ার সময় নিকের সঙ্গে পরিচয় টেরির। দু’জনের মধ্যে হয়ে গেল প্রেম। কথা ছিল ছয় মাস পর এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের ছাদে আবার দেখা হবে দু’জনের। দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে টেরি যেতে পারল না নির্দিষ্ট দিনে। অপেক্ষা করে ভাঙা মন নিয়ে ফিরে এলো নিকি। ভাবল, হয়তো টেরি সত্যিই তাকে ভালোবাসেনি। হয়তো সে বিয়েথাও করে ফেলেছে। কখনোই কি দেখা হবে না নিকি-টেরির? পরিচালনা করেছেন লিও ম্যাকক্যারি। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্যারি গ্র্যান্ট এবং ডেবরা কের।
টাইটানিক
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিকাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট। নর্থ আটলান্টিক সমুদ্রের বুকে সৃষ্টি একটি মানবিক প্রেম এবং তার করুণ সমাপ্তি নিয়ে তৈরি টাইটানিক ছবিটি। ১৯৯৭ সালে নির্মিত একটি ট্র্যাজেডিক প্রেমকাহিনি টাইটানিক। বিপুল জনপ্রিয়তার সঙ্গে এই ছবিটি অস্কার জয় করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উপন য স পর চ ল কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মারা গেছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ অভিনেত্রী গুলশান আরা
অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অভিনেত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে মৃত্যুর খবরটি দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবাল সকাল পৌনে সাতটায় অভিনেত্রী মারা যান। প্রথম আলোকে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রীর বোনের ছেলে অভিনেতা আর এ রাহুল। জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ অভিনেত্রী মারা গেছেন, লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। অভিনেতা মিশা সওদাগর, নির্মাতা কাজল আরেফিন অমিসহ অনেকেই ফেসবুক পোস্টে অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
একাধিক সূত্র অনুযায়ী, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন অভিনেত্রী। দ্রুতই লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। গুলশান আরা আহমেদের ফেসবুক আইডি থেকে আজ মাঝরাতে লেখা হয়, ‘আমার আম্মু গুলশান আরা আহমেদ আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন, হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিউরের জন্য। আপনার সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।’ পরে শোনা যায় মৃত্যুর খবর, অর্থাৎ লাইফ সাপোর্ট থেকে আর ফেরানো যায়নি তাঁকে। ভোরে তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিনেত্রীকে দাফন করা হবে।
গুলশান আরা ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘ভালোবাসা আজকাল’, ‘লাল শাড়ি’সহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি কাজল আরেফিন অমির জনপ্রিয় ধারাবাহিক ব্যাচেলর পয়েন্টে কাবিলার (জিয়াউল পলাশ) মা ‘পলি চেয়ারম্যান’ চরিত্রে অভিনয় করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে পরিচিতি পান। এ ছাড়া মাছরাঙা টেলিভিশনের ধারাবাহিক ‘সিটি লাইফ’সহ অসংখ্য নাটক ও ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাঁকে।