প্রযুক্তিপ্রেমী ক্রেতা এবং কর্পোরেট গ্রাহকদের জন্য ইউনিফাই অল ইন ওয়ান পিসিতে বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা ঘোষণা করেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এখন ওয়ালটনের অল ইন ওয়ান পিসি ক্রয়ে গ্রাহকরা সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পাচ্ছেন। পাশাপাশি ইউনিফাই অল ইন ওয়ান পিসির সঙ্গে ফ্রি ব্লুটুথ কিবোর্ড ও মাউস কম্বো দিচ্ছে ওয়ালটন।

উল্লেখ্য, অল ইন ওয়ান পিসিতে মনিটরের সঙ্গে র‌্যাম, রমসহ কম্পিউটারের সব ধরনের যন্ত্রাংশ সংযোজিত থাকে। তারহীন স্লিম ডেস্ক কম্পিউটার সেটআপ হিসেবে অল ইন ওয়ান পিসি ক্রমেই দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিভিন্ন কর্পোরেট অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অল ইন ওয়ান পিসির চাহিদা বেড়েই চলছে।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে ওয়ালটন ব্যাটারির প্রোগ্রাম ‘জোন কানেক্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত

৪২ ডিস্ট্রিবিউটর, প্লাজা ও কর্মকর্তাকে ‘ব্র্যান্ডিং হিরোজ’ পুরস্কার দিল ওয়ালটন

সহজে সেটআপ করার সুবিধা ও কম জায়গা প্রয়োজন হওয়ার পাশাপাশি অল ইন ওয়ান পিসিতে রয়েছে দৈনন্দিন কাজ করার শক্তিশালী প্রসেসর, দ্রুতগতির স্টোরেজ সহ প্রয়োজনীয় সব ফিচার। এছাড়া অনলাইন মিটিংয়ের জন্য এতে রয়েছে এইচডি ওয়েবক্যাম। 

ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চিফ বিজনেস অফিসার মো.

তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, বর্তমানে ডেস্কটপ পিসির চেয়ে অল ইন ওয়ান পিসির জনপ্রিয়তা বেশি। ওয়ালটনের অল ইন ওয়ান পিসিগুলো এমনভাবে ডিজাইন ও কনফিগারেশন নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ নান্দনিকতার সঙ্গে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স পান। এছাড়াও ওয়ালটন অল ইন ওয়ান পিসিতে রয়েছে কাস্টোমাইজেশন সুবিধা। ফলে গ্রাহক তার চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচার যুক্ত করে পণ্য ডেলিভারি নিতে পারবেন।

বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের ৫টি ভিন্ন সিরিজের ২০টিরও বেশি মডেলের অল ইন ওয়ান পিসি যাতে ক্রেতাগণের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করা রয়েছে। ইউনিফাই অল ইন ওয়ান পিসিগুলো এখন ডিসকাউন্টে ৪৪,৮৬৫ টাকা থেকে শুরু করে ৮৩,৯৩৭ টাকা পর্যন্ত মূল্যে আকর্ষণীয় ফিচারযুক্ত বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে। 

ওয়ালটন ইউনিফাই অলইনওয়ান পিসিতে রয়েছে ইন্টেলের কোর আই সেভেন ১২ জেনারেশন পর্যন্ত প্রসেসর, ১৬ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম, দ্রুতগতির এসএসডি স্টোরেজ, ফুল এইচডি ডিসপ্লে, বিল্টইন ওয়াইফাই ও এইচডি ক্যামেরসহ প্রয়োজনীয় সকল ফিচার। সেই সঙ্গে রয়েছে ২ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সুবিধা। 

ক্রেতাগণ অনলাইনে ওয়ালটনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (https://waltondigitech.com/products/all-in-one-pc) অথবা নিকটস্থ ওয়ালটন প্লাজা থেকে ছাড়কৃত মূল্যে সকল ধরনের অল ইন ওয়ান পিসি ক্রয় করতে পারবেন।

ঢাকা/অগাস্টিন সুজন/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কাজ না করেই ১১ কর্মকর্তা কর্মচারী বেতন তোলেন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো কাজ না করেই প্রতি মাসে বেতন-ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার সকালে দুদকের রংপুর অফিসের পরিচালক হোসেন শরীফের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বেরোবির রিসার্চ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। এতে বেরোবির ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কর্মরত কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে অনিয়ম ও অবৈধ বেতন উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ইনস্টিটিউট থেকে এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১২ সালের ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমফিল, পিএইচডিতে ভর্তি করানো হয়। গবেষণার জন্য অনুমোদন না থাকলেও উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়া তাঁর মেয়ে রুমানা ফেরদৌসী জলীলকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এই ইন্সটিউটে গবেষক ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন বলে কথিত আছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২০৫ জন গবেষক ভর্তি হন। তখন এই ইন্সটিটিউটে ভর্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ ইন্সটিটিউটে কর্মরত প্রায় সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী বসে বসেই বেতন পাচ্ছেন বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন সংবাদ প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

হোসেন শরীফ বলেন, নীতিমালা ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করায় ভর্তি ফেলোরা ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেনি। কাগজপত্র যাচাই করে প্রাথমিকভাবে এ সত্যতা পেয়েছি। প্রতিবেদন কমিশনে পাঠাব। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, যোগদানের পর জানতে পারি, এ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আমি নিজে। পরে নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট সম্পর্কে খোঁজ খবর নিই। এটির প্রথম দিকে অনুমোদন ছিল না। মে ২০২৪ সালে এ ইনস্টিটিউটের অনুমোদন দেওয়া হলেও নীতিমালা তৈরি করা হয়নি। আমি নিজ উদ্যোগে নীতিমালা তৈরি করার জন্য কাজ করছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিক্ষার্থীদের পিএইচডি ফেলোশিপ দিচ্ছে হাবিপ্রবি
  • ল্যাপটপ, এসএসডি ও র‍্যাম বেশি কিনছেন ক্রেতারা
  • কাজ না করেই ১১ কর্মকর্তা কর্মচারী বেতন তোলেন