পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) ও অর্ধবার্ষিক (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রন্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

তথ্য মতে, এদিকে আলোচ্য অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.

২৩ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.১২ টাকা। সে হিসাবে অলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.১১ টাকা বা ৯১.৬৭ শতাংশ।

অপরদিকে, ৬ মাস বা অর্ধবার্ষিক প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.১৯) টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.২৫ টাকা। সে হিসাবে অলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে।

২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৭.১৪ টাকা।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন দাবি

‘বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশই অংসক্রামক রোগের কারণে ঘটছে। প্রতিরোধযোগ্য এই মৃত্যুর অন্যতম কারণ তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার। কেবল তামাকজনিত পণ্য ব্যবহারের কারণেই বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫৩ জন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। অথচ, এই মৃত্যুর মিছিলকে অবজ্ঞা করে তামাক তামাক কোম্পানি রাজস্বের তকমা দেখিয়ে আইন সংশোধনকে বাধাগ্রস্ত করে। তাদের এই অপকৌশল বন্ধে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা রাখা জরুরি।’

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘অধূমপায়ী ও তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এবং কোম্পানির অপপ্রচার বন্ধে গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আলোচকরা।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

হার্ট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে ধূমপান না করেও বিভিন্ন পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে প্রতিনিয়ত পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এরপর থেকেই তামাক কোম্পানিগুলো অর্থ ও আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দিয়ে আইন সংশোধনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তারা রাজস্ব ও কর্মসংস্থান হারানোর ভিত্তিহীন তথ্য দিচ্ছে।

এনবিআর এর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন করার পরে পরবর্তী দুই অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ১৭.৯৭ শতাংশ এবং ৩৭.৫২ শতাংশ। একইভাবে, ২০১৩ সালে সংশোধনীর পর পরবর্তী দুই অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ২৫.৫১ শতাংশ এবং ৪৬.৫২ শতাংশ।

এছাড়া ২০২১ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, খাদ্য, পানীয় এবং তামাকপণ্য বিক্রি করে এরকম খুচরা দোকানের সংখ্যা মাত্র এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৪১, যারা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গেই তামাকপণ্য বিক্রি করে থাকে। তাই কর্মসংস্থান হারানোর তথ্যটিও বিভ্রান্তিকর।

সভায় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, তরুণদের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ। আর তাদের টার্গেট করেই তামাক কোম্পানিগুলোর নানান অপতৎপরতা। তাই তরুণদের সুরক্ষায় সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টির পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দ্রুত সংশোধন দরকার।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, “ধূমপান না করেও ৬১ হাজারের বেশি শিশু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিভিন্ন রোগে ভুগছে। একই সাথে আইন শক্তিশালী না হওয়ায় দেশের ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬.৯% তামাক ব্যবহার করেন। এই তরুণদের সুরক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাস করা প্রয়োজন। তা না হলে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর হার বাড়তেই থাকবে।

বিদ্যমান আইনটিকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত করতে ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ট্যোবাকো কন্ট্রোল–এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সংশোধনীর প্রস্তাব করেছে। সেগুলো হলো–সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ (DSA) নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে (Points of Sale) তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন (Product Display) নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।

সভায় বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা চায় ইসি
  • তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ গবেষণায় দেবে ফেলোশিপ
  • বিদেশি বিনিয়োগে বড় পতন, ৬ মাসে কমেছে ৭১ শতাংশ
  • ২ কোম্পানির ক্যাটাগরিতে উন্নতি
  • উচ্চ নীতি সুদহার বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করবে: ঢাকা চেম্বার
  • প্রবৃদ্ধি নয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর
  • তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন দাবি
  • অর্থবছরের প্রথমার্থে কঠিন সময় পার করেছে পুঁজিবাজার
  • বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়বে, কমবে সরকারি খাতে