মার্কিন সিনেটরা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের পরিচালক পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক কংগ্রেস সদস্য তুলসী গ্যাবার্ডের মনোনয়নকে চূড়ান্ত করেছে।

গতকাল বুধবার তুলসীর এ মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়। 

সিনেটে ৫২-৪৮ ভোটে তুলসী গ্যাবার্ডের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়। তুলসী গ্যাবার্ড দেশটির ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার কাজ দেখভাল করবেন। আবার তিনি গোয়েন্দা বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরামর্শ দেবেন। তুলসীর পক্ষে পড়া ৫২ ভোটের সব কটিই রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের। তবে এক রিপাবলিকান সদস্য এ মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন। তিনি মিচ ম্যাককনেল।

তুলসী গ্যাবার্ডের এই বিজয়কে ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই একটি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনিক নানা পদে তার মনোনীত ব্যক্তিদের দ্রুত সিনেটের অনুমোদন নিশ্চিত করতে চাইছিলেন।

গত নভেম্বর মাসে নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে ৪৩ বছর বয়সী গ্যাবার্ডের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তার এই ঘোষণা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই এই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে এই মনোনয়নের ফলে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে রাজনৈতিকীরণ ঘটতে পারে। তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

তুলসী গ্যাবার্ডের ব্যাপারে যেসব সমালোচনা ছিল, এর মধ্যে আছে, তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সমর্থক। আবার তিনি সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের প্রতিও সহানুভূতিশীল। ২০১৭ সালে তিনি বাশারের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে গাজায় হামলা হয়েছে: ইসরায়েল

গাজায় রাতারাতি হামলা চালানোর আগে ইসরায়েলি সরকার হোয়াইট হাউসকে জানিয়েছিল বলে মঙ্গলবার সংবাদ প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। এর কিছুক্ষণ পরেই একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার বলেছেন, যুদ্ধে ফিরে আসা ‘ওয়াশিংটনের সাথে সম্পূর্ণ সমন্বিত’ ছিল। হামলার ব্যাপারে ‘ইসরায়েলের প্রতি তাদের অদম্য সমর্থন’ এবং ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য’ ট্রাম্প প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র জোট ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরো শক্তিশালী।’

অবশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চার শতাধিক ছাড়িয়েছে।

জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। মার্চে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনা চলছিল। অথচ মঙ্গলবারের হামলার প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েল গাজায় নতুন করে হামলার অনুমোদন দেয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করেছিল। ওই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ কাতারে হামাসের সঙ্গে চুক্তির জন্য আলোচনা করছিলেন। ট্রাম্প বরাবরই হামাসের প্রতি বিরক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে উপত্যকাটিকে অবসরযাপন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ