ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্য বেক্সিমকোর সব শ্রমিকদের আইনানুগ পাওনাদি পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে      বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৭ম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।    

এ সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, অর্থসচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিডা চেয়ারম্যান, বেক্সিমকো লিমিটেডর রিসিভার, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “নতুন রিসিভার যোগদান করেছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনি বেক্সিমকোর প্রকৃত শ্রমিকের সংখ্যা ও পাওনাদি এবং ব্যাংকের মোট ঋণ নির্ধারণ করবেন। শ্রমিকদের সব পাওনাদি পরিশোধ করা হবে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে।”

শ্রমিকরা বেকার হবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এরা সবাই দক্ষ শ্রমিক। কোনো না কোনোভাবে কাজের ব্যবস্থা হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিষয়টি নিয়া কাজ করছে।’

ঢাকা/এএএম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর থাকার নির্দেশ খাদ্য উপদেষ্টার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের কারণে খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে সেখানে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবিসহ দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ বিষয়ক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সভা শেষে দুপুর ১টার দিকে সংক্ষিপ্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন খাদ্য উপদেষ্টা।

এ সময় উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, খাদ্য সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ থেকে কিছুটা চোরাচালান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আগে থেকেই সার ও জ্বালানি তেল চোরাচালানের একটা প্রবণতা এখানে ছিল। তাই নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই চোরাচালান না হতে পারে।

দেশে বর্তমানে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুদ ও আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে মন্তব্য করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, সামনে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চালের যে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছিল সেটি কেটে যাবে এবং চালের দামও সহনশীল পর্যায়ে থাকবে। আগামী রমজান ঘিরে যাতে দাম সহনশীল থাকে সে বিষয়েও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান আলী ইমাম মজুমদার।

এর আগে জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও এপিবিএন পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে জলসীমান্ত ৫৪ কিলোমিটারের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ