অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের সদস্য হিসেবে ৬টি কমিশনের প্রধানরা রয়েছেন। কমিশনটি ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করবে।   

বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সংস্কার কমিশনসমূহের সুপারিশসমূহ বিবেচনা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন‘’ নামে কমিশন গঠন করা হয়েছে।

কমিশনে সভাপতি হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস ও সহ-সভাপতি আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

এছাড়া কমিশনে সদস্য হিসেবে আছেন,  জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সকাল ১০টার দিকে এই আলোচনা শুরু হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন, ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৈঠকে রয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

বৈঠকের শুরুতে খেলাফত মজলিসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো জনগণের অধিকার নিশ্চিত ও দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠা করা।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং জনপ্রশাসন সংস্কারসংক্রান্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিক্রমায় আজ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘আর কোনো ফ্যাসিবাদ যাতে গড়ে উঠতে না পারে। মানুষ যেন গুম, খুন, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার না হয়। সে রকমই এক নতুন বাংলাদেশ গড়া আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা ইউসূফ আশরাফের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেয় দলের মহাসচিব জালাল আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।

সংস্কার কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাওলানা ইউসূফ আশরাফ বলেন, ‘আমরা এর আগে বিভিন্ন সংস্কার প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট মতামত পেশ করেছি। সেগুলোর বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে আমরা বিস্তারিত কথা বলতে পারব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কমিশনের উদ্দেশ্য পুনরায় যাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে: আলী রীয়াজ
  • খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু
  • ডিসেম্বরের পরে তো প্রশ্নই আসে না
  • ডিসেম্বরের পরে তো প্রশ্নই আসে না বরং নির্বাচন আগে সম্ভব: আমীর খসরু
  • ডিসেম্বরের পরে তো প্রশ্নই আসে না; বরং নির্বাচন আগে সম্ভব: আমীর খসরু
  • সংস্কারের সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নের পর নির্বাচন চায় এনসিপি
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • সংবিধানে মূলনীতির প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তুলেছে এনসিপি
  • আরেকটি ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাংলাদেশে আসবে না: নাহিদ
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক চলছে