নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আজ বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার সকালে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছে দলটি।

বৈঠক শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রেস ব্রিফিং করবেন।

এর আগে গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও সেলিমা রহমান।

ওই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন, নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো.

সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদও বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছিলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হলে বাধা দেবে বিএনপি। তিনি জানান, নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণের ক্ষমতা ইসির নেই। তবে ইসির সঙ্গে তাদের আলাপে মনে হয়েছে, আগামী মে-জুনের মধ্যে ইসি পরিপূর্ণভাবে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

১৩ মাস ধরে বেতন বন্ধ, সংসার চলে না সিলেটের ‘খলিল মামুর’

ষাটোর্ধ্ব খলিল আহমদ সিলেটের কবি নজরুল অডিটরিয়ামে কেয়ারটেকার কাম নাইটগার্ডের চাকরি করেন। জেলা প্রশাসনের অধীন মাস্টাররোলে চাকরি তাঁর। প্রতিদিন ৪৫০ টাকা হিসাবে মাস শেষে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা বেতন পান। তবে ১৩ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। এতে পরিবার নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

সিলেট জেলা প্রশাসনের পরিচালনাধীন নজরুল অডিটরিয়ামের অবস্থান নগরের রিকাবিবাজার এলাকায়। প্রায় ৭০০ আসনবিশিষ্ট এ মিলনায়তনেই মূলত শহরের সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতিসংক্রান্ত অনুষ্ঠানগুলো হয়ে থাকে। আর এখানেই ২০২২ সালে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরিতে ঢোকেন খলিল আহমদ। সাহিত্য-সংস্কৃতিকর্মীদের কাছে তিনি ‘খলিল মামু’ নামে সুপরিচিত।

গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে অডিটরিয়ামের সামনে খলিলের সঙ্গে কথা হয়। স্ত্রী, তিন মেয়েসহ আটজনের সংসার তাঁর। মূল বাড়ি সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারখলা এলাকায়। বর্তমানে নগরের বাগবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন।

খলিল বলেন, তাঁর দুই মেয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খণ্ডকালীন চাকরি করছেন। দুই মেয়ে আর নিজের আয়ে তাঁর সংসার চলে। তবে গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ‘অজানা কারণে’ তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের নেজারত শাখায় বারবার যোগাযোগ করেও বেতন পাচ্ছেন না। কী কারণে তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে গেছে, চেষ্টা করে তা–ও জানতে পারেননি।

দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়ায় পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন উল্লেখ করে খলিল আহমদ বলেন, ‘সংসার চালাইতাম পারতাছি না। ঋণের ওপর চলতাছি। ঋণ অই গেছে দেড় লাখ টাকা। খুব কষ্টে আছি। অফিসে (জেলা প্রশাসন) গিয়া দেখা করলে বলে সামনের মাসে দিমু। পরের মাসে দেখা করলে বলে সামনের মাসে দিমু। কিন্তু সামনের মাস আর আয় না। আমার বেতনও হয় না।’

সংসারের খরচের বিষয়ে খলিল বলেন, ঘরভাড়া ১১ হাজার টাকা, খাওয়াবাবদ খরচ গড়ে ১৪ হাজার টাকা। এর বাইরে অন্যান্য খরচ তো আছেই। বেতন বন্ধ হয়ে পড়ায় তাঁর জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। দুই মেয়ের সামান্য আয়ে সংসার চলছে না। বাধ্য হয়ে ঋণ নিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাচ্ছেন। তবে এখন ঋণও পাচ্ছেন না। বেতন দ্রুত না হলে তাঁকে আরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

সিলেটের সংস্কৃতি ও নাট্যব্যক্তিত্ব আমিরুল ইসলাম চৌধুরী (বাবু) মানবিক দিক বিবেচনা করে জেলা প্রশাসনকে দ্রুত খলিল আহমদের বেতন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খলিল কাজের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ায় অভাব-অনটনে থাকা সত্ত্বেও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।’

এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব বিষয়টি আসলে কী ঘটেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগে স্থানীয় নির্বাচন চাওয়া দেশকে ভঙ্গুর করার পরিকল্পনা ছাড়া কিছু নয়: ফখরুল
  • নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী
  • সংস্কারে সময় নষ্ট না করে দ্রুত নির্বাচন দাবি
  • গাজা নিয়ে ট্রাম্পের হুমকির নিন্দা জামায়াতের
  • আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে যাবে জামায়াতে ইসলামী
  • ঢাবির ৪ শিক্ষার্থীর স্মারক বৃত্তি অর্জন
  • লোক বাড়ছে, বিক্রি বাড়ছে না
  • বিএনপির জেলায় জেলায় সমাবেশ কর্মসূচি শুরু কাল
  • ১৩ মাস ধরে বেতন বন্ধ, সংসার চলে না সিলেটের ‘খলিল মামুর’