ডাক বিভাগে বিশাল নিয়োগ, পদ সংখ্যা ১২৩
Published: 13th, February 2025 GMT
ডাক বিভাগে জনবল নিয়োগে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১৫ ক্যাটাগরির পদে মোট ১২৩ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
১. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর (স্টেনোটাইপিস্ট)
পদ সংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।
২. পদের নাম: উচ্চমান সহকারী
পদ সংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।
৩.
পদের নাম: কম্পাউন্ডার/ফার্মাসিস্ট
পদ সংখ্যা: ১
যোগ্যতা: এসএসসি পাসসহ ফার্মাসিস্ট কোর্সে সার্টিফিকেটধারী।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।
৪. পদের নাম: মেকানিক
পদ সংখ্যা: ২
যোগ্যতা: এইচএসসি পাসসহ ওয়ার্কশপে পাঁচ বছর কাজের অভিজ্ঞতা
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।
৫. পদের নাম: ড্রাফটসম্যান
পদ সংখ্যা: ১
যোগ্যতা: ড্রাফটসম্যানশিপ সার্টিফিকেটধারী
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা
৬. পদের নাম: মেইল অপারেটর
পদ সংখ্যা: ৫১
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা
৭. পদের নাম: কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (টাইপিস্ট)
পদ সংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।
৮. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদ সংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।
৯. পদের নাম: কার্পেন্টার
পদ সংখ্যা: ১
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস এবং তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।
১০. পদের নাম: প্ল্যাম্বার
পদ সংখ্যা: ২
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।
১১. পদের নাম: ওয়্যারম্যান
পদ সংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা।
১২. পদের নাম: আর্মড গার্ড
পদ সংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা।
১৩. পদের নাম: প্যাকার
পদ সংখ্যা: ২৫
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা।
১৪. পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদ সংখ্যা: ১১
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা
১৫. পদের নাম: গার্ডেনার
পদ সংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা
যেভাবে আবেদন করবেন
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে এই লিংকে।
আবেদন ফি
১-১০ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা এবং ১১-১৫তম পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ৫৬ টাকা আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা
১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ কর র পদ স খ য পদ র ন ম ৪ য গ যত ১ য গ যত
এছাড়াও পড়ুন:
আদালতে তিন আসামি ফাঁসির দাবি স্বজনের
‘নাশিত আমাদের ছোট ভাইয়ের মতো। তাকে হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে মানববন্ধনে এসেছি। হত্যাকারীদের আজ আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের সুষ্ঠু বিচার চাই, যেন এমন জঘন্য কাজ আর কেউ করতে না পারে।’ কথাগুলো ফেনী বালিকা বিদ্যানিকেতনের এসএসসি পরীক্ষার্থী জয়া জান্নাতের।
তার মতো আরও কয়েকজন ছাত্রছাত্রী গতকাল বুধবার এসেছিল ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে। এখানে নাশিত হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
বুধবার সকালে ওই আদালতে হাজির করা হয় আলোচিত নাশিত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি আশরাফ হোসেন তুষার, মোবারক হোসেন ওয়াসিম ও ওমর ফারুক রিফাতকে। দুপুরে তাদের শাস্তির দাবিতে কর্মসূচিতে অংশ নেন নাশিতের স্বজনের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
আহনাফ আল মাঈন নাশিত (১০) গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিকেলে ফেনী থেকে নিখোঁজ হয়। ১২ ডিসেম্বর পৌর এলাকার দেওয়ানগঞ্জে পরিত্যক্ত ডোবায় পাওয়া যায় তার লাশ। শহরের একাডেমি এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করে তার পরিবার। নাশিত একই এলাকার গ্রামার স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা মাঈন উদ্দিন সোহাগ ফেনী রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে কর্মরত। ছেলের খোঁজ না পেয়ে তিনি ৯ ডিসেম্বর ফেনী মডেল থানায় জিডি করেন। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মুক্তিপণ বাবদ ১২ লাখ টাকা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এ বিষয়ে এজাহার করলে ১২ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। পুলিশ আসামি আশরাফ হোসেন তুষারকে আতিকুল আলম সড়ক ও মোবারক হোসেন ওয়াসিম, ওমর ফারুক রিফাতকে বিসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যে নিশাতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবারের মানববন্ধনে নিশাতের স্বজন মো. তৌহিদ বলেন, ‘আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয়। এ জন্য হত্যাকারীদের বাইরে রাখা যাবে না। নাশিত হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
ফেনী বালিকা বিদ্যানিকেতনের এসএসসি পরীক্ষার্থী মরিয়ম কবির মীম, আরফা ও গিরিশ অক্ষয় একাডেমি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র শুভ হাজারী বলে, আর কেউ যেন এমন ঘৃণিত ও জঘন্য কাজ করতে না পারে, এ জন্য হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করছে তারা। সর্বোচ্চ শাস্তিই তাদের প্রাপ্য।
ফেনী লাইট হাউজ কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় নাশিত। সে প্রতিষ্ঠানের কনিষ্ঠ ছাত্রদের একজন জানিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
মামলার বাদী ও নাশিতের বাবা মাঈন উদ্দিন সোহাগ বলেন, মামলার তারিখে আসামিদের আদালতে আনা হয়। যেহেতু এরা আত্মস্বীকৃত খুনি। তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ এদের সন্দেহের ভিত্তিতে ধরে নিয়ে আসে। তাদের দেখানো জায়গায় লাশ পাওয়া যায়। তারা নাশিতকে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পরে ব্যাগে পাথর দিয়ে লাশ গুম করার চেষ্টা করেছে। এই বর্বরোচিত হত্যার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান তিনি।
ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবা উদ্দিন খান বলেন, আসামিদের আজ (বুধবার) আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাদের হাজতে রেখেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিন আসামি ইতোপূর্বে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের জন্য কেউ জামিনের আবেদন করেনি। এটি রোমহর্ষক শিশুহত্যা। বাদীপক্ষ সাক্ষীদের সঠিক সময়ে আদালতে আনতে পারলে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।
ফেনী আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল করিম বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ ফারহানা লোকমানের আদালতে ওই আসামিদের উপস্থাপন করা হয়। আদালত মামলাটির পরবর্তী দিন আগামী ১৮ মার্চ নির্ধারণ করেছেন।