Risingbd:
2025-02-13@08:25:15 GMT

দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

Published: 13th, February 2025 GMT

দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দুবাই পৌঁছেছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটির দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, “ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী আহমদ বেলহুল আল ফালাসি প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।” 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিসের বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা সামিটে অংশ নেওয়ায় দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি খাসাইফ আল হামুদিও উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার  সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। দুবাই শহরে  ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে প্রায় ৩০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

দুই দিনের সফর শেষে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেছিলেন, “সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।”

এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি।

এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠান সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম।

এবারের, সম্মেলন সরকারগুলোর মধ্যে কার্যকরী অংশীদারত্ব ও বৈশ্বিক মতবিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বলে মন্তব্য করেন রফিকুল আলম।

প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে দীর্ঘ ১ যুগ ধরে বন্ধ থাকা ভিসা জটিলতার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন আমিরাতের ১০ লক্ষাধিক প্রবাসী।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ত র মন ত র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৪ বিএনপি নেতা

পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার আসামি হাইকোর্টে খালাস পাওয়ার পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। 

মুক্তি পাওয়া চারজন হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোখলেসুর রহমান ওরফে বাবলু, জেলা বিএনপির সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কে এম আখতারুজ্জামান, পৌর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও  ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান ওরফে শাহীন এবং বিএনপির স্থানীয় নেতা শামসুল আলম।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার সময় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কতৃপক্ষ জানায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ে ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ জনসহ ৪৭ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ মামলার চারজন ফাঁসির আসামি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি ছিলেন। হাইকোর্টের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এই নেতাদের মুক্তি উপলক্ষে সকাল থেকেই ঈশ্বরদী থেকে গাড়িবহর নিয়ে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে এসে অপেক্ষা করতে থাকেন। নেতাদের মুক্তির কিছুক্ষণ আগে কারাগারের সড়ক সংলগ্ন ফটকটি খুলে দেওয়া হয়। তখন নেতাকর্মীরা কারাগারের সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েন। কারাগারের প্রধান ফটক থেকে চারজন বের হলে তাদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে এলে তাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ ৭ জনকে আসামি করেন। 

পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু আদালত সে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার অভিযোগপত্র জমা দেয়।

এরপর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রায় দেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী। রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৪৭ আসামির সবাইকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

ঢাকা/কেয়া/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুবাইয়ে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৪ বিএনপি নেতা