ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দুবাই পৌঁছেছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটির দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, “ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী আহমদ বেলহুল আল ফালাসি প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিসের বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা সামিটে অংশ নেওয়ায় দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি খাসাইফ আল হামুদিও উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। দুবাই শহরে ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে প্রায় ৩০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
দুই দিনের সফর শেষে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেছিলেন, “সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।”
এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি।
এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠান সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম।
এবারের, সম্মেলন সরকারগুলোর মধ্যে কার্যকরী অংশীদারত্ব ও বৈশ্বিক মতবিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বলে মন্তব্য করেন রফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে দীর্ঘ ১ যুগ ধরে বন্ধ থাকা ভিসা জটিলতার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন আমিরাতের ১০ লক্ষাধিক প্রবাসী।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ত র মন ত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিরল জাতের বিড়ালজাতীয় প্রাণী অনলাইনে বিক্রির সন্দেহে স্পেনে দম্পতি গ্রেপ্তার
অনলাইনে সাদা বাঘ, পুমা ও ক্লাউডেড লেপার্ডের মতো সংরক্ষিত ও বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী বিক্রি করছিলেন সন্দেহে স্পেনে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে সিভিল গার্ড পুলিশ স্পেনের মায়োর্কা দ্বীপে ওই দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালায়। কারণ, তাঁরা সেখানে বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী পুষতেন এবং এগুলোর প্রজনন ঘটাতেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেগুলো বিক্রি করতেন। ওই অভিযান ছিল একটি বড় অভিযানের অংশ, যা গত মার্চে শুরু হয়েছে।
অভিযানে মোট ১৯টি বিড়ালজাতীয় প্রাণী ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ১টি ক্যারাকাল, ২টি সার্ভাল ও ১৬টি শংকর বিড়াল।
সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা।
সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা। বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।সিভিল গার্ড জানিয়েছে, ‘বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।’
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ধরনের প্রাণী কেনার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই প্রাণীগুলো বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা হতো। এরপর ভুয়া নথিপত্রের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ করা হতো।
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের (আইএফএডব্লিউ) তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপ বিরল প্রাণীর বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। সেখানে এসব প্রাণীর অবৈধ কালোবাজার দিন দিন বাড়ছে।
ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হায়েনা, মরুভূমির লিংক্স ও পুমার মতো অন্যান্য প্রাণীর বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ক্লাউডেড লেপার্ড মূলত হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অনলাইনে এটি ৬৮ হাজার ডলার মূল্যে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।