গাজীপুরে অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে জেলা ও মহানগর থেকে আরও ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে মহানগর থেকে ১৪ জন ও জেলা থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, গত রাতে গাজীপুর মহানগরীর সদর থানায় ৬ জন, কোনাবাড়ি ১ জন, কাশিমপুর ৬ জন ও ডিবি থেকে ১জনসহ মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অপরদিকে গাজীপুর জেলার পুলিশ ৫ টি থানা অভিযান চালিয়ে  ৯ জনকে আটক করে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (বিশেষ শাখার) আলমগীর হোসেন জানান, মেট্রোপলিটন সদর, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর থানা ও ডিবি’র অভিযানে নতুন করে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত নেওয়া হচ্ছে।  

গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড.

চৌধুরী মো. যাবের সাদেক বলেন, ডেভিল হান্ট অভিযানে জেলা পুলিশ আরও ৯ জনকে আটক করেছে। এ অভিযান অব্যহত রয়েছে। 

গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের হামলা উপর করা হয় এবং তাদেরকে আটকে মারধর করা হয়। এতে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে আবুল কাশেম নামে একজন বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। 

এ ঘটনার পরদিন শনিবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গাজীপুরের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ মোহিত বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেন মোল্লা নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মী। ওদিন থেকেই গাজীপুরসহ সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালিত হচ্ছে।

ঢাকা/রেজাউল/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চবিতে বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে শুরু হয়ে জারুল তলায় এসে এ শোভাযাত্রা শেষ হয়।

নববর্ষ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত ব্যান্ড দল ‘সরলা’ এর পরিবেশনা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, বলি খেলা, বউচি খেলা এবং  কাবাডি খেলা।

আরো পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে চবিতে বিক্ষোভ

দেশের প্রথম জাহাজ নিয়ন্ত্রণ অফিস ‘দেয়াঙ কেল্লা’

নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। তবে এ উৎসব ঘিরে যাতে কোনো সাংস্কৃতিক বিকৃতি না ঘটে, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আজকের বৈশাখের দিনে আমাদের উজ্জীবিত হতে হবে নিজস্ব সংস্কৃতির উন্নয়নে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতিবানদের কাছে এমনটা দেখতে পাচ্ছি না। এদিনে শুধু একটিই গান শুনি- ‘এসো হে বৈশাখ’। কেনো বৈশাখের উপরে কি দশবিশটা গান থাকতে পারে না?”

তিনি আরো বলেন, “নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় যদি আমরা উদ্বুদ্ধ হতে চাই, নিজস্ব শেকড়ের গান রচনা করতে হবে। বৈশাখের চেতনা হচ্ছে- অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, সুস্থতার লালন করা।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ