ফেনীতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল
Published: 13th, February 2025 GMT
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আবুল কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনার প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এর আগে, শহিদ মিনার চত্বরে নিহত কাশেমের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালোসহ নানা স্লোগান দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল জোবায়ের বলেন, ‘‘গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা কাশেম ভাইকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।’’
এর আগে, গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলা হয়। তাদের আটকে রেখে মারধর করা হয়। এতে আহত হন ২০ জন, যার মধ্যে গুরুতর জখম হন আবুল কাশেম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় গত শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের আহ্বায়ক মো.
ঢাকা/সাহাব/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়িতে রাগ করে টয়লেট ক্লিনার খেয়ে ফেলেছিলাম
প্রশ্ন: বাড়িতে রাগ করে টয়লেট ক্লিনার খেয়ে ফেলেছিলাম গত বছর। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর ওয়াশ করে, বমি করিয়ে সেসব বের করা হয়। অনেক কষ্ট হয়েছিল। এত দিন পর এখনো আমার পেট ব্যথা করে। পেটের মধ্যে খচখচ করে। আমি পুরুষ। আমার কি কোনো টেস্ট করে দেখা উচিত?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ: বয়ঃসন্ধিকালে আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করে বসে। তবে যে বয়সেই হোক, দীর্ঘ মেয়াদে এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। টয়লেট ক্লিনার খাদ্যনালি ও পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ আবরণ পুড়িয়ে ফেলে বা ক্ষত তৈরি করে। এ ধরনের ক্ষয়কারী পদার্থ গ্রহণের পর কখনোই বমি করানো কিংবা স্টমাক ওয়াশ করানো নিরাপদ নয়। কারণ, এতে খাদ্যনালি বা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়াল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তা ছাড়া ওষুধের মাত্রা বা চিকিৎসা যথাযথ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে আবার প্রদাহ, আলসার কিংবা সংক্রমণ হতে পারে, খাদ্যনালি সরু হয়ে যেতে পারে। লক্ষণ হিসেবে রোগীর পেটব্যথা, পেট খচখচসহ নানা ধরনের অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের নির্দেশনায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে খাদ্যনালির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সঠিক কারণ নির্ণয় করুন এবং সে অনুযায়ী যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
আরও পড়ুনচাইলেই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা যায়০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০