ভালোবাসা দিবসের আগেই হয়ে উঠুন ঝলমলে!
Published: 13th, February 2025 GMT
দুয়ারে ভালোবাসা দিবস। এদিকে শীতের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। তবে বাজারে এখনও শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। শীতের সবজি দিয়েই ভিটামিন-সি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। চার রকমের ফেসপ্যাক বানানোর উপায় জানিয়ে দিচ্ছি।
কমলা এবং মধু: ১ টেবিলচামচ কমলা লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখার পর কুসুম গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
পাকা পেঁপেঁ এবং পাতিলেবু: ফেসপ্যাক বানানোর জন্য পাকা পেপে যত বেশি পাকা হয় ততই ভাল। তেমন পেঁপের শাঁস কয়েক চামচ নিয়ে ভাল করে পেস্ট করে নিন। এ বার তাতে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস। এ পর্যায়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মৃতকোষ দূর করার জন্যও এই ফেসপ্যাক উপযোগী।
টমেটো এবং অ্যালোভেরা: একটি পাকা টমেটো মিক্সিতে ভাল করে বেটে নিয়ে তার সঙ্গে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ১৫ মুখে মেখে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
কমলার খোসা এবং দই: কমলা লেবুর খোসা ২ দিন রোদে শুকিয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিন। এবার ২ চামচ দই মেশান। মিশ্রণটি ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে, ভালো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকে ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি মৃতকোষ দূর করে এবং ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে।
উল্লেখ্য, ভিটামিন সি ফেসপ্যাক ব্যবহারের পরে মুখ ধুয়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যাতে সূর্যের রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে না পারে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি, সন্ধ্যায় মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার এজাজ আহমেদ (৩২) নামের এক আসামি মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ শনিবার সন্ধ্যার সময় তিনি মারা যান। এজাজ আহমেদের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের পর এজাজ আহমেদের বার এট ল করার জন্য লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল।
এজাজ আহমেদের বাবা শাহ আলমের অভিযোগ, গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে তাঁর ছেলেকে হাজারীবাগ থেকে আটক করে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে মোহাম্মদপুর থানার একটি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় তাঁকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। তখন এজাজ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি জামিনে ছাড়া পেলে তাঁকে ধানমন্ডির জাপান–ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পুলিশ গতকাল শুক্রবার ভোরে তাঁকে আবার ধরে নিয়ে যায়। আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এজাজের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলি করে হত্যার অভিযোগে এজাজের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে। সেই মামলায় গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে এজাজের বাবা শাহ আলম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, আগের দফায় তাঁর ছেলেকে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে। এ জন্য তাঁর ছেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আজ মারা গেলেন।
তবে এজাজের বাবার এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এজাজ আহমেদ ধানমন্ডি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী ছিলেন। ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌথ বাহিনী এজাজকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। থানায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে। এজাজ আহমেদকে কোনো ধরনের নির্যাতন করেনি পুলিশ। বরং গতকাল ডিবির সহযোগিতায় জাপান–ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে আজ ভোরে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগে থেকে কিডনির রোগে আক্রান্ত ছিলেন এজাজ। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।