এশিয়ার কোন দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, জানেন?
Published: 13th, February 2025 GMT
সুগার ড্যাডি হলো এমন একজন বয়স্ক পুরুষ, যিনি নগদ অর্থ, দামি উপহার বা সম্পদের বিনিময়ে তাঁর চেয়ে বয়সে ঢের ছোট কোনো নারীর সঙ্গে সম্পর্ক করেন। হতে পারে সেই ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তান আছে, ডিভোর্স হয়ে গেছে, বিপত্মীক অথবা এসবের কিছুই নন। এখানে বয়সের পরিপক্বতা ও অর্থনৈতিক স্ট্যাটাসের কারণে ধনী ব্যক্তিটি সম্পর্কে প্রভাব বিস্তার করেন বেশি।
অন্যদিকে ‘মমি’ ট্রেন্ড এর উল্টো। কম বয়সী তরুণেরা তাঁদের চেয়ে ঢের বেশি বয়সের নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক করছেন। এই নারীরা হয়তো বিবাহিত, ডিভোর্সি অথবা বিধবা অথবা এসবের কিছুই নন, কেবল বয়সে প্রেমিকের চেয়ে ঢের বড়। এই প্রেমিকেরা তাঁদের ‘মমি’ প্রেমিকাদের মধ্যে আবেগ বিষয়ে পরিপক্বতা, মায়ের স্নেহ, শাসন খোঁজেন। পরামর্শ ও আবেগময় সমর্থন চান। এটাকে বলে ‘মমি ইস্যুজ’। এখানেও বয়স্ক নারীরাই সম্পর্কে প্রভাব ফেলেন বেশি।
সুগার ড্যাডি ও মমি ইস্যুজ—দুটো টার্মের সঙ্গেই গভীরভাবে জড়িয়ে আছে যৌনতা।
সম্প্রতি কোন দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা কত, তা প্রকাশ করেছে স্ট্যাটিস্টা এশিয়া। এই জরিপে বয়স্ক পুরুষেরা পরিচয় গোপন রেখে নিজেদের সুগার ড্যাডি হিসেবে মেনে নিয়ে স্ট্যাটিস্টাকে তথ্য দিয়েছেন।
তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। ভারতে সুগার ড্যাডির সংখ্যা কমপক্ষে ৩ লাখ ৩৮ হাজার।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানে তালিকাভুক্ত সুগার ড্যাডির সংখ্যা ৬০ হাজার ২৫০।
৩২ হাজার ৫০০ সুগার ড্যাডি নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে মালয়েশিয়া ও জাপান।
সূত্র: দ্য সান ও লাইফস্টাইল এশিয়া হংকং
আরও পড়ুনঅসম প্রেমের বিয়ে, অতঃপর...০১ ফেব্রুয়ারি ২০১২
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল-আম সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হলে চাল ও আম সরবরাহ বন্ধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটি। আজ শনিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধের অপচেষ্টার প্রতিবাদে ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নওগাঁ জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও নওগাঁ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, বিএনপি, জামায়াত, বাসদ, একুশে পরিষদ নওগাঁসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের আহ্বানে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের চলমান ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নওগাঁ মেডিকেল বন্ধের অপচেষ্টা রুখতে বিএমএ নওগাঁর সভাপতি ইস্কেন্দার হোসেনকে আহ্বায়ক করে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটি গঠিত হয়।
নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তার হোসেন বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁরা জেনেছেন নতুন যে ছয়টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে, সেগুলোর মান যে পর্যায়ে উন্নত হওয়ার কথা ছিল সেই পর্যায়ে নাকি আসেনি। যার কারণে সরকার এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের অন্য মেডিকেল কলেজে নিয়ে নেবে। এরপর এই ছয়টি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এখনো বন্ধের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ইস্কেন্দার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসমবায়বিষয়ক সম্পাদক, নওগাঁ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজমুল হক প্রমুখ।
সমাবেশে ইস্কেন্দার হোসেন বলেন, ‘নওগাঁ মেডিকেল কলেজ কখনোই মানহীন হতে পারে না। আমাদের এখানে শিক্ষার্থী অনুপাতে প্রতি চারজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক আছে। আমার মনে হয় না এটি বাংলাদেশের আর কোনো মেডিকেল কলেজে আছে। এখানে যাঁরা শিক্ষক আছেন তাঁরা সবাই উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে ২৬টি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা হয় সেই পরীক্ষায় বরাবরই নওগাঁ মেডিকেল কলেজ প্রথম স্থান কিংবা দ্বিতীয় স্থানে থাকে। ভালো ফলাফল সত্ত্বেও এই মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারের হঠকারিতা। এই কলেজ বন্ধ করা হলে নওগাঁ থেকে চাল, আম সরবরাহ বন্ধ, অনশনসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুধু ভবন না থাকা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান যাচাইয়ের মাপকাঠি হতে পারে না। সরকারি প্রতিষ্ঠান মানহীন হলে এর দায়ভার সরকারের। মান উন্নয়ন না করে উল্টো সরকার যে মানহীন আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজ বন্ধ করতে যাচ্ছে, এটি হঠকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে মেডিকেল শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতের বিশাল ঘাটতি তৈরি হবে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সংকুচিত হয়ে পড়বে।