আমলাতান্ত্রিকতায় আটকে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন
Published: 13th, February 2025 GMT
দেশেই ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গড়া হয়েছে ওষুধ শিল্পপার্ক। গত বছর এখানে গ্যাসের বিতরণ লাইন স্থাপন কাজও শেষ হয়েছে। তবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া নিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে গেছে উৎপাদন প্রক্রিয়া।
গতকাল বুধবার রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে তিন দিনব্যাপী ‘১৬তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির। এ আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জাপানসহ ৩২টি দেশের ৮০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই এক্সপো।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শামীম হায়দার ও জাতীয় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার।
স্বাগত বক্তব্যে আব্দুল মুক্তাদির বলেন, স্থানীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে শিল্পপার্ক করা হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় গ্যাস মিলছে না। এতে কাঁচামাল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এবাদুল করিম বলেন, বর্তমানে বাজারে কোম্পানিভেদে একই ওষুধের মূল্যে ৩ থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত পার্থক্য রয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায় এমন অনেক ওষুধের দাম বাংলাদেশে তুলনামূলক বেশি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এগুলো সমাধান করা উচিত।
ইরেবা ক্যাপসুল লিমিটেডের পরিচালক ইমতিয়াজ করিম বলেন, কাঁচামাল আমদানিতে দফায় দফায় ডলারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে ওষুধের দামে। যদি কাঁচামাল দেশেই উৎপাদন করা যেত তাহলে আরও কম দামে ওষুধ দেওয়া সম্ভব হতো।
সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, দেশীয়ভাবে কাঁচামাল উৎপাদনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার। গজারিয়ায় ওষুধ শিল্পপার্কে দ্রুত গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ছয় দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি অর্ধকোটি টাকা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সরইবাড়ি এলাকার করিমবাজারে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা মুহূর্তেই আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতায় দোকানের ভেতরের মালামাল ও মূল্যবান সামগ্রী কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়ে যায়, ফলে ছয়টি দোকানই সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ফয়েজ আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনও জানা যায়নি তবে তদন্তাধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল। ইউএনও জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকেও যথাসম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।