কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় জসিম উদ্দিন চৌধুরী নিলয় (৪০) নামের এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের ফকিরবাজার এলাকায় অজ্ঞাত বাসের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জসিম এশিয়ান টেলিভিশনের নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের দশবাহ এলাকার প্রয়াত আবদুল খালেকের ছেলে।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের ফকিরবাজার এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় জসিম আহত হন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১০টার দিকে জসিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

চৌদ্দগ্রাম টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু জানান, জসিম বাইক নিয়ে পদুয়া যাওয়া পথে বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছে। 

মিয়ারবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, অজ্ঞাত বাসের ধাক্কায় সাংবাদিক জসিম উদ্দিন নিলয় আহত হন। লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে বর্ষবরণে নানা আয়োজন

‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

আজ সোমবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে জেলা প্রশান, প্রচ্ছদ, হিজিবিজি, সরকারি কলেজ, উদীচী, এনসিটিএফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

জেলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি, পুতুল নাচ, চরের কৃষকদের নানা কথা উঠে আসে শোভাযাত্রার মোটিভগুলোতে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের কুড়িগ্রাম সরোবরে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও সেখানে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ইকো পার্কে পুতুল নাচ, ভেলাকোপা গ্রামে লাঠি খেলা, পাঁচগাছির ভেলুর বাজারে ঘোড়া খেলাসহ দিন্যবাপী বর্ষবরণের নানা আয়োজন জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে জেলায় বৈশাখী মেলা না হওয়ায় কিছুটা অখুশি দেখা যায় জেলা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

জেলা শহরের বাসিন্দা হামিদুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর কুড়িগ্রামে ধুম-ধাম করে বর্ষ বরণ হলেও, বিগত কয়েক বছর থেকে বৈশাখী মেলা হয় না, এটি হলে ভালো হতো।’

পুতুল নাচ দেখতে আসা জারা ইসলাম বলেন, ‘বাবার সঙ্গে প্রথম পুতুল নাচ দেখতে আসলাম, খুব ভালো লাগছে।’

হিজিবিজির সংগঠক রাজ্য জ্যোতি বলেন, ‘বর্ষ বরণের নানা আয়োজন কুড়িগ্রাম সরোবরে দিনব্যাপী চলবে। প্রশাসন থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ