হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে এসিল্যান্ডের ওপর হামলার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার ভোরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথিত স্থানীয় সমন্বয়ক ফরহাদ ইবনে রুমিকে উপজেলার উবাহাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ফরহাদ উপজেলার উবাহাটা এলাকার দিদার হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার উপজেলার নতুন ব্রিজ এলাকায় আদালতের আদেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব। এ সময় ফরহাদ সহকারী কমিশনারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে সহকারী কমিশনারের ওপর হামলার চেষ্টা করে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ ঘটনায় বুধবার ভোরে শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আরাফি তাজোয়ার আমিনের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ফরহাদ ও তার লোকজন উবাহাটা মৌজার খাস খতিয়ানে রাস্তা ও এক ব্যক্তির প্রায় ২০ ফুট জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে। এ ঘটনায় ফরহাদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলায় দায়ের করেন বাবুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি। ওই মামলায় সম্প্রতি অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাবুল মিয়ার পক্ষে আদেশ প্রদান করেন। ওই আদেশের পর সহকারী কমিশনার ফরহাদের ভূমি উচ্ছেদ করতে গেলে সে বাধা দেয়।

মামলার বাদী বাবুল মিয়া জানান, ফরহাদসহ তার লোকজন এলাকার প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাঁর জায়গাসহ রাস্তার জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। উপজেলা এসিল্যান্ড সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে গেলে ফরহাদ তার ওপরও চড়াও হয়।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, ফরহাদ এতদিন যুবলীগের পরিচয় দিলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেকে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলে দাবি করছে। গত কয়েক মাসে সে এলাকায় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।

চুনারুঘাট উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তোফাজ্জল মিয়া বলেন, ফরহাদ নামে কোন সমন্বয়ক নেই, সে নিজেকে জাহির করার জন্য এমন পরিচয় দিয়েছে। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতের আদেশে তিনি ওই স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযানে গেলে ফরহাদ সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হামলার চেষ্টা করে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম জানান, সেনাবাহিনী ফরহাদকে আটকের পর থানায় হস্তান্তর করলে বাবুল মিয়ার দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমন বয়ক উপজ ল র ফরহ দ সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘পুষ্পা কিংবা কবির সিং নয়, এটা জংলি’

সিয়াম পরনে লুঙ্গি, ঘাড়ে কাক বসা, ঠোঁটে পাতার বিড়ি, একহাতে দিয়াশলাই কাঠি, পেছনে আগুনের জ্বলজ্বলে শিখা। অনেক রহস্যঘেরা তার চারদিক– এমন আবহে গত বছরের মার্চে প্রকাশ করা হয়েছিল জংলি ছবির প্রথম পোস্টার। পোস্টার প্রশংসিত হলেও চারদিকে সাজসাজ রব উঠে পুষ্পা কিংবা কবির সিংয়ের আদলে সম্ভবত ছবিটি নির্মিত হবে। এর পর জংলি ছবির অনেক কিছুই প্রকাশ হয়েছে। একের পর এক ইউনিক পোস্টার, রোমান্টিক গান, প্রি-টিজসহ অনেক কিছুই।

মূলত আসন্ন ঈদের ছবির প্রচারণায় সবার আগেই নেমে পড়ে জংলি। তাই জংলি আদপে কবির সিং না পুষ্পার আদলে সেটা নিয়েও হচ্ছিল চর্চা। সে চর্চায় এবার ঘি ঢাললেন সিয়াম। পরনে লুঙ্গি, চোখেমুখে হিংস্রতা, উশকোখুশকো চুল-দাড়ি আর পুরোদস্তুর অ্যাকশন লুক– সম্প্রতি প্রকাশিত জংলির টিজারে দেশি মাসালা হিরোরূপে দেখা মিলল সিয়াম আহমেদের।

এমন সিয়ামকে এর আগে দেখেনি কেউ! ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের টিজারে পপ কালচার রেফারেন্সে সিয়ামের মুখ থেকেই যেন এলো ভারতীয় ছবির আদলে জবাব, ‘পুষ্পা? কবির সিং? অ্যাহহে! জংলি’!

টিজার প্রকাশের পরপরই দারুণ সাড়া জাগায় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মাঝে। হুড়হুড় করে শেয়ার করতে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফলে ২০ ঘণ্টার মাথায় ২ মিলিয়নের বেশি ভিউয়ের খবর আসে। অধিকাংশই টিজার কাটের প্রশংসা করছেন।

সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এম রাহিম; যার প্রথম সিনেমা ‘শান’। প্রথম সিনেমাতেই সিয়ামকে নিয়ে বাজি ধরেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সিনেমাতে তিনি সিয়ামকে নিয়ে আসছেন জংলি রূপে।

রাহিম বলেন, ‘টিজারে সবার ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। সবাই দারুণ পছন্দ করছেন। অনেকেই ফোন করে ভালোলাগার কথা জানিয়েছেন। জংলির গল্পের আমরা যা দেখাতে চাই দর্শক এমন গল্প বহু বছর দেখেনি। আমি বাজি ধরে বলতে পারি এটি পুরো মাসালা ছবি আবার গল্পের ছবি। যে গল্প আমাদের হাসাবে, কাঁদাবে এবং নতুন এক মায়ায় আবদ্ধ করবে। সিনেমার টিজার-ট্রেলার তো জাস্ট গল্পের ইঙ্গিত। আমার জংলি পুরো ছবি দেখলে আরও মুগ্ধতা নিয়ে হলে থেকে বের হবেন এটা দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি।’

জংলিতে সিয়ামের দুই নায়িকা। একজন শবনম বুবলি, অন্যজন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। কিন্তু এতদিন জংলি টিম ইচ্ছে করেই এ যেন আগলে রেখেছিল বুবলির চরিত্রটিকে। সিনেমার প্রচারণায় কোথাও না থাকা বুবলিকে এক ঝলক দেখা গেল টিজারে। এখানেই বোঝা গেছে বুবলির চরিত্রের গুরুত্ব। তবে গোটা টিজারে সিয়াম হাজির হয়েছেন ভয়ংকর মারমুখী ভাইবে। লুঙ্গি পরা এই সিয়াম টিজারেই দেখিয়েছেন, দেশীয় গল্পে দেশীয় নির্মাণেও 
দারুণ কিছু ঘটানো সম্ভব!

টিজারে শেষ দৃশ্য নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন রহস্য। এতদিন জংলিতে সিয়ামের সঙ্গে বুবলি ও দীঘিই ছিলেন আলোচনারা কেন্দ্রে। টিজারে সিয়ামের সঙ্গে দেখা গেছে একজন শিশুশিল্পীকেও। আন্দাজ পাওয়া গেল, জংলির গল্পে মূল প্লটে শিশুশিল্পীর শক্তিশালী ভূমিকা বিদ্যমান। যদিও বিষয়টি ধোঁয়াশার মধ্যেই রেখেছে টিম। নিশ্চয়ই এই ধাঁধার উত্তর কিছুটা হলেও মিলবে জংলির ট্রেলারে। বাকিটা নিশ্চয়ই দেখা যাবে সিনেমা হলের পর্দায়।

‘জংলি’ ছবির গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান মুন ও কলকাতার সুকৃতি সাহা। এতে বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন– দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাউফলে তরমুজের ট্রলারে ডাকাতির সময় পিটুনিতে একজন নিহত, আহত ৩
  • প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির বক্তব্য, সমালোচনা
  • তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারে ডাকাতি, গণপিটুনিতে নিহত ১
  • মালিকের ‘কিছু ফুটবলার অতিরিক্ত বেতন পায়’ মন্তব্যের জবাব দিলেন ব্রুনো
  • ভিউ বাণিজ্যে ক্ষতি হয় ক্রিকেটারদের
  • ‘ভিউ বাণিজ্যে ক্ষতি হয় ক্রিকেটারদের’
  • ভিউ বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের ক্রিকেট
  • জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিভিয়েছি: ইরফান
  • জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিভিয়েছি: ইরফান সাজ্জাদ
  • ‘পুষ্পা কিংবা কবির সিং নয়, এটা জংলি’