দুবাইয়ে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 13th, February 2025 GMT
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশ নিতে দুবাইয়ে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার সফর সঙ্গী হয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন, প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদারসহ একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুবাই স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২ মিনিটে তাদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৭ ফ্লাইট দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল থ্রিতে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী আহমদ বেলহুল আল ফালাসি প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি খাসাইফ আল হামুদি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বৃহস্পতিবার তিনি সামিটে অংশ নিবেন। সম্মেলনে বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
এবারের সম্মেলনে বিশ্বের অন্তত ৩০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন। ৮০টির বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, ১৪০টি সরকারি প্রতিনিধি দল, ৬ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী ও শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিরল জাতের বিড়ালজাতীয় প্রাণী অনলাইনে বিক্রির সন্দেহে স্পেনে দম্পতি গ্রেপ্তার
অনলাইনে সাদা বাঘ, পুমা ও ক্লাউডেড লেপার্ডের মতো সংরক্ষিত ও বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী বিক্রি করছিলেন সন্দেহে স্পেনে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে সিভিল গার্ড পুলিশ স্পেনের মায়োর্কা দ্বীপে ওই দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালায়। কারণ, তাঁরা সেখানে বিরল প্রজাতির বিড়ালজাতীয় প্রাণী পুষতেন এবং এগুলোর প্রজনন ঘটাতেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেগুলো বিক্রি করতেন। ওই অভিযান ছিল একটি বড় অভিযানের অংশ, যা গত মার্চে শুরু হয়েছে।
অভিযানে মোট ১৯টি বিড়ালজাতীয় প্রাণী ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ১টি ক্যারাকাল, ২টি সার্ভাল ও ১৬টি শংকর বিড়াল।
সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা।
সিভিল গার্ড বলেছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের অনেক বড় ষড়যন্ত্রের সামান্য প্রকাশমাত্র। এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রজননকারী, পরিবহনকারী ও পশুচিকিৎসকেরা। বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।সিভিল গার্ড জানিয়েছে, ‘বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত প্রাণীগুলোর অধিকাংশই রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন থেকে আনা হয়েছে, যাতে সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা যায়।’
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ধরনের প্রাণী কেনার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই প্রাণীগুলো বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চোরাচালান করা হতো। এরপর ভুয়া নথিপত্রের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ করা হতো।
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের (আইএফএডব্লিউ) তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপ বিরল প্রাণীর বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। সেখানে এসব প্রাণীর অবৈধ কালোবাজার দিন দিন বাড়ছে।
ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হায়েনা, মরুভূমির লিংক্স ও পুমার মতো অন্যান্য প্রাণীর বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ক্লাউডেড লেপার্ড মূলত হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অনলাইনে এটি ৬৮ হাজার ডলার মূল্যে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।