আওয়ামী লীগ সরকার জনতার প্রতিরোধের মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পরিকল্পিত ও সমন্বিত কৌশলের মাধ্যমে নৃশংসতা চালিয়েছিল। রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশেই চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে অপরাধীরা দেশের বাইরে থাকলে তাদের ফেরানোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন (ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন) প্রয়োগ করা যেতে পারে।

গতকাল বুধবার দুপুরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে গুরুতর অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনতে পারে যে কোনো দেশের আদালত। এ ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটনের স্থান কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে না। ওই আইনের আওতায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার বা প্রত্যর্পণ চাওয়ার সুযোগ থাকে।

প্রতিবেদন প্রকাশের শুরুতে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার সূচনা বক্তব্য দেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রোরি মুনগোভেন ও দপ্তরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি।

মানবাধিকার লঙ্ঘনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ভলকার টুর্ক বলেন, প্রতিবেদনে এটি স্পষ্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ মহল বিষয়টি সম্পর্কে জানত। প্রকৃতপক্ষে গুম, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, সহিংস পদ্ধতিতে বিক্ষোভ দমনের মতো নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে তারা জড়িত ছিল।

মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা এখন ভারতে আছেন। এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে– জানতে চাইলে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, যদি অপরাধী দেশের বাইরে থাকে, তখন ‘ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন’ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যে দেশে অপরাধী অবস্থান করছে, তাদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের বিচার করতে সম্মত হতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বলতে পারে।
তবে তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অভ্যন্তরীণ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইসিসিতে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।

তাঁর মতে, দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার কাজ শুরু হয়েছে; অনেক মামলাও হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও মামলা হয়েছে। বাংলাদেশের আইনি কাঠামোতে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ।

এক প্রশ্নের জবাবে রোরি মুনগোভেন বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ না করলে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলের পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশের কাছে দেওয়া হবে না। প্রতিবেদনে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়নি। তবে আমরা প্রচুর তথ্য সংরক্ষণ করেছি। সর্বোচ্চ মান অনুযায়ী এসব সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে পরে ব্যবহার করা যায়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করার বিষয়ে রোরি মুনগোভেন বলেন, জাতিসংঘের নীতিমালা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি আমাদের জন্য একটি সমস্যা। আমরা এমন বিচারে সহযোগিতা করতে পারি না যেটা মৃত্যুদণ্ডের দিকে নিয়ে যায়। তবে বিচার প্রক্রিয়া বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলার বিষয়ে জোর দেন তিনি।

মুনগোভেন বলেন, আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশ মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। কারণ, এটি প্রতিশোধের একটি স্থায়ী চক্র তৈরি করে দেয়। মৃত্যুদণ্ড বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে থাকা অপরাধীর প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অনেক সদস্য রাষ্ট্রের জন্য প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ড একটি প্রতিবন্ধকতা।

গতকাল জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় জানায়, প্রতিবেদন অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের সময় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত ছিল। বিক্ষোভকারীকে সহিংসভাবে দমন করা ছিল সরকারি নীতি। এগুলোকে মানবতাবিরোধী অপরাধ উল্লেখ করে আরও তদন্তের মাধ্যমে ফৌজদারি ব্যবস্থার কথা বলা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হতাহত হয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী নিহতের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু। বাংলাদেশ পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

আন্দোলনের শুরুটা ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে। তবে গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ছিল সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা থেকে সৃষ্ট ক্ষোভ। প্রতিবেদন অনুযায়ী ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিক্ষোভ দমনে সহিংস পথ বেছে নিয়েছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, আমরা যে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেয়েছি, তাতে রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং টার্গেট কিলিংয়ের এক উদ্বেগজনক চিত্র উঠে আসে। যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ও আন্তর্জাতিক অপরাধ। 

সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য সূত্র জানায়, কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য কর্মকর্তারা অভিযানের নির্দেশনা ও তদারকি করেন। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীর ওপর নির্বিচারে গুলি ও নির্যাতন করেছিল। এমন ঘটনাও ঘটেছে, যেখানে আন্দোলনকারীর ওপর একদম কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।
৫ আগস্ট ছিল বিক্ষোভের শেষ ও সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিনের একটি। আজমপুরে পুলিশের গুলিতে আহত ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে জানিয়েছে, পুলিশ সব জায়গায় বৃষ্টির মতো গুলি করছিল। সে অন্তত এক ডজন লাশ দেখতে পেয়েছিল।

প্রতিবেদনে এমন ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী আহত বিক্ষোভকারীকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতেও বাধা দিয়েছে। সেই সঙ্গে আহত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, হাসপাতাল থেকে তাদের আঙুলের ছাপ নিয়েছে, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ভয় দেখিয়েছে, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করেছে।

প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। যেমন নিরাপত্তা ও বিচার খাতের সংস্কার, নাগরিক ও রাজনৈতিক ভিন্ন মতকে দমিয়ে রাখার জন্য যে দমনমূলক আইন ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তা বিলুপ্ত করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক শাসন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা।

মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম পথ হলো– গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা যাতে আর কখনও না ঘটে তা নিশ্চিত করা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল গ সরক র ব যবস থ অপর ধ র র জন য ক আইন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সৌরবিদ্যুৎচালিত সড়কবাতি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ

ত্রিশালে সৌরবিদ্যুৎচালিত সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন’ প্রকল্পে এমন ঘটনা ঘটেছে।

প্রকল্পটির আওতায় ত্রিশাল পৌরসভায় ১১২টি সৌরবিদ্যুৎচালিত সড়কবাতি স্থাপনে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৪৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতিটি সৌরচুল্লির মূল্য দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এর কাজ পায় ভোল্ড বেল করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশে উন্নত মানের সামগ্রী ব্যবহারের কথা থাকলেও উল্লেখ করা হয়নি কোন ব্র্যান্ডের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবেন ঠিকাদার।

কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর। চার ধাপে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ১১২টি সৌরচুল্লি স্থাপনে সময় বেঁধে দেওয়া হয় এক বছর। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় বাড়ানো হয় সময়। বর্ধিত সময় অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ মের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ২৮টি করে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মাত্র ৫৬টি সৌরচুল্লি স্থাপন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। হিসাবমতে নির্ধারিত ও বর্ধিত সময়ের এক বছর পৌনে চার মাসে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। আর মাত্র চার মাসে তারা বাকি কাজ কীভাবে শেষ করবে– এমন প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রকল্পের নামে অর্থ লোপাটের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

প্রকল্পের ৫৬টি সৌরচুল্লি স্থাপনের তালিকা ধরে সরেজমিন অনুসন্ধানে মিলেছে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য। এর মধ্যে একই নামে প্রথম পর্যায়ের তালিকার ১৯ নম্বরে জয়নাল মেম্বারের বাড়ির সামনে মসজিদে ও দ্বিতীয় পর্যায়ের তালিকার ৬ নম্বরে জয়নাল মেম্বারের বাড়ির মসজিদে দুটি সৌরচুল্লি স্থাপন দেখালেও পাওয়া যায় মাত্র একটি। ওই বাড়ির মিলন মিয়া জানান, একটি সৌরচুল্লি স্থাপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের তালিকার ২৬ নম্বরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসায় গিয়েও চোখে পড়েনি কোনো সৌরচুল্লি। মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা এখলাছ উদ্দিন নিশ্চিত করেন সেখানে সৌরচুল্লি স্থাপন না হওয়ার বিষয়টি।

কয়েকদিন সন্ধ্যার পর আকন্দ বুক হাউজ, মুক্তিযোদ্ধা অফিস ও উপজেলা পরিষদ মোড়সহ কয়েকটি স্থানে দেখা যায়, নিম্ন মানের ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ব্যবহারের ফলে ঝকঝকে আলোর পরিবর্তে অল্প আলো জ্বলছে সোলার সড়কবাতিগুলোতে।

পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ চলমান দাবি করলেও চোখে পড়েনি কোনো কার্যক্রম। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ইদ্রিস আলী কাজ চলমান না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। স্বল্প আলোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়ারেন্টি আছে, সমস্যা দেখা দিলে মেরামত করে দেওয়া যাবে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা সৌরচুল্লির ধরন অনুযায়ী একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে মূল্য যাচাই করে দেখা যায়, ব্যাটারি-লাইটসহ এ ধরনের যন্ত্রপাতির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪ হাজার টাকা। এই হিসাবে খুঁটি ও স্থাপন খরচ বাবদ পড়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা, যা অসংগতিপূর্ণ বলছেন ব্যবসায়ীরা।

সোলার ব্যবসায়ী কবির আহমেদের ভাষ্য, প্রকল্পের নামে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। কেননা সরবরাহ করা সৌরবিদ্যুৎ সরঞ্জামের মূল্য অনেক বেশি ধরা হয়েছে।
কথা হয় প্রকল্প পরিচালক ও ত্রিশাল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সানাউল্লাহর সঙ্গে। তিনি জানান, দাম নির্ধারণ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। যে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে, সেখানে কথা বলতে পারেন। সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা ও জয়নাল মেম্বারের বাড়ির নামের একটি সৌরচুল্লি অন্যত্র স্থাপন করা হয়েছে। চার মাসে বাকি ৫০ শতাংশ কাজ কীভাবে শেষ করবেন? এর সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ