আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে চার দফা নেগোসিয়েশন বা আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম তথা শেষ পর্যায়ের আলোচনা আগামী ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল জাপানে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে তিনবার ঢাকায় এবং একবার টোকিওতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদনের নীতি গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৪টি দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি (আরটিএ) সম্পাদনে নোগোসিয়েশন বা আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করছে। এর মধ্যে জাপান অন্যতম।

জাপান-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরকে সামনে রেখে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের যৌথ স্টাডি গ্রুপের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য, শুল্ক পদ্ধতি, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিনিয়োগ, ইলেকট্রনিক বাণিজ্যসহ ১৭টি খাতের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে চিহ্নিত খাতগুলো হচ্ছে– পণ্যের বাণিজ্য, বাণিজ্য সহজীকরণ, বাণিজ্যে বাধা দূর করার ব্যবস্থা, শুল্ক পদ্ধতি এবং বাণিজ্য সুবিধা (সিপিটিএফ), বাণিজ্যে প্রযুক্তিগত বাধা (টিবিটি), পরিষেবা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ইলেকট্রনিক বাণিজ্য, সরকারি কেনাকাটা, মেধাস্বত্ব, প্রতিযোগিতা/ভর্তুকি/রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ, ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি, শ্রম, পরিবেশ, স্বচ্ছতা, সহযোগিতা এবং বিরোধ নিষ্পত্তি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাওয়ার ব্যাংকযুক্ত বাড়তি চার্জিং কেস ব্যবহার করা যায় এই স্মার্টফোনে

দেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন এনেছে আইটেল। ‘আইটেল পাওয়ার ৭০’ মডেলের এ ফোনে ছয় হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের বিল্ট ইন ব্যাটারি ও চার হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের পাওয়ার ব্যাংকযুক্ত বাড়তি চার্জিং কেস রয়েছে। ফোনটিতে একসঙ্গে ১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় একবার চার্জে টানা ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব। ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি থাকায় দ্রুত চার্জও করা যায় ফোনটি, ফলে চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইটেল বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ দশমিক ৬৭ ইঞ্চি এইচডি (হাই ডেফিনেশন) প্লাস পর্দার ফোনটির ধারণক্ষমতা ১২৮ গিগাবাইট। ৪ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ফোনটিতে চাইলে ১২ গিগাবাইট পর্যন্ত র‍্যাম ব্যবহার করা যায়। ফোনটির পর্দার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ, ফলে উন্নত গ্রাফিকসের গেম খেলার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যে ছবি ও ভিডিও দেখা সম্ভব। পানি ও ধুলা প্রতিরোধক সুবিধা থাকায় ভিজলে নষ্ট হয় না, ধুলাও জমে না ফোনটিতে। সহজে বহনযোগ্য চার্জিং কেস থাকায় চলতি পথে সহজেই ফোনটি চার্জ করা যায়।

হেলিও জি ৫০ আলটিমেট প্রসেসর সুবিধার ফোনটির সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা ও পেছনে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। ফলে কম আলোতেও ভালো মানের ছবি তোলা যায়। চার্জিং কেসসহ ও ছাড়া ফোনটির দাম যথাক্রমে ১১ হাজার ৯৯০ টাকা ও ১০ হাজার ৯৯০ টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ