Samakal:
2025-03-16@22:44:24 GMT

লেনদেন ফের ৪০০ কোটি টাকার নিচে

Published: 12th, February 2025 GMT

লেনদেন ফের ৪০০ কোটি টাকার নিচে

ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছাড়ানোর পরদিনই ফের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে। গত মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫১৯ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা ছিল আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৯৯ কোটি টাকা বেশি। এর পরদিই গতকাল বুধবার ১২৮ কোটি টাকা কমে ৩৯১ কোটি টাকায় নেমেছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, টাকার অঙ্কে লেনদেন সবচেয়ে বেশি কমেছে ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি এবং কাগজ ও ছাপাখানা খাতের। সম্মিলিতভাবে মঙ্গলবার এসব খাতের মোট ২৬৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা গতকাল ১৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় নেমেছে।

এর মধ্যে একক খাত হিসেবে সর্বাধিক পৌনে ৪৯ কোটি টাকা কমে ব্যাংক খাতের লেনদেন ৩৪ কোটি টাকায় নেমেছে। এ ছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেন ৮৭ কোটি টাকা থেকে কমে নেমেছে ৪৯ কোটি ৬৩ লাখে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের লেনদেন সাড়ে ১১ কোটি টাকায় এবং কাগজ ও ছাপাখানা খাতের সাড়ে ১৮ কোটি টাকার নিচে নেমেছে।

সার্বিক হিসাবে কমার বিপরীতে টেলিযোগাযোগ, বস্ত্র, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন বেড়েছে। এর মধ্যে টেলিযোগাযোগ খাতে লেনদেন ৯ কোটি টাকা বেড়ে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের লেনদেন সোয়া ৫ কোটি টাকা বেড়ে প্রায় ১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে কমবেশি সব খাতে দর বৃদ্ধি পাওয়া শেয়ারের তুলনায় দর হারানো শেয়ার সংখ্যা বেশি ছিল। ব্যতিক্রম অবস্থা দেখা গেছে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে। তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি ফান্ডের মধ্যে ২৫টির দর বেড়েছে, কমেছে দুটির। বাকি ১০টির দর ছিল অপরিবর্তিত। গড়ে ফান্ডগুলোর বাজারদর মঙ্গলবারের তুলনায় ২ শতাংশ হারে বেড়েছে। তুলনামূলক বেশি শেয়ারদর হারিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কাগজ এবং ছাপাখানা খাতে।

সার্বিক হিসাবে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ১১৭টির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ২০৪টির। অপরিবর্তিত ৩৬টির দর। এ এবং বি ক্যাটেগরির বেশির ভাগ শেয়ার দর হারালেও তুলনামূলক জেড ক্যাটেগরিভুক্ত বেশি শেয়ারের দর বেড়েছে।

ক্লোজিং প্রাইসের হিসাবে গতকাল ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাজারদর বেড়েছে ১৬ কোম্পানি ও ৪ মিউচুয়াল ফান্ডের। এর মধ্যে এ ক্যাটেগরির শেয়ার শুধু আরএকে সিরামিক, যার বাজারদর সাড়ে ৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। জেড ক্যাটেগরির ১২ শেয়ারের দর বেড়েছে। এর মধ্যে নূরানী ডাইং, এমারেল্ড অয়েল ও অ্যাপোল ইস্পাত ছিল শীর্ষে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দর ব ড় ছ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে বিদয়ী সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ মার্চ) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১.৬৫ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২২৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১১.৮৮ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯০১ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪.৩৯ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৪.৭১ পয়েন্ট বা ৩.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৫৭৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টির, দর কমেছে ১৮৪টির ও দর অপরিবর্তিত ৩৪ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৯টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৩.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৭৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.০৬ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৯২৩ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৫৩ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৮৫০ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৩০ শতাংশ বেড়ে ৯৪৫ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.১২ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৬৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৬৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ১৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির, দর কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে এস আলম কোল্ড
  • ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষে এস আলম কোল্ড
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
  • বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অপরিবর্তীত
  • পুঁজিবাজারে বিদয়ী সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে