কৃষক লীগ নেতা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে
Published: 12th, February 2025 GMT
রংপুরের পীরগঞ্জে মদনখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে কৃষক লীগের নেতা শাহজাহান আলীকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মী। এ ছাড়া একই উপজেলার চৈত্রকোল ইউপিতেও তপশিল ঘোষণার পরও পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রংপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন চৈত্রকোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি সদস্য মমিনুর রহমান এবং মদনখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি মদনখালী ইউপিতে নির্বাচনের জন্য তপশিল ঘোষণা করে উপজেলা কমিটি। ৯ ফেব্রুয়ারি কাদিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই পকেট কমিটি করে ওয়ার্ডের সভাপতি-সম্পাদকসহ স্থানীয় সবার রেজুলেশনে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় কৃষক লীগ নেতা শাহজাহান আলীকে সাধারণ সম্পাদক ও রফিকুল ইসলাম সাজুকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মমিনুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে রাজনীতি করার সময়ে হামলা-মামলাসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির রাজনীতি করার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনে প্রার্থী হতে তপশিল অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও নির্বাচনের দিন তারা নিজ স্বার্থে পকেট কমিটি গঠন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পদবঞ্চিত দু’জন নেতা অনিয়মতান্ত্রিক এবং ভোটাধিকার হরণ করে চৈত্রকোল ও মদনখালী ইউনিয়নে কমিটি গঠনের তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অনৈতিকভাবে গঠিত কমিটি বাতিলসহ গণতান্ত্রিকভাবে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ বিএনপির সদস্য সচিব জাকির হোসেন বলেন, শাহজাহান আলী দীর্ঘদিন আগে কৃষক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা ঠিক। সঠিক কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্য পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। পদ না পেলে এমন অভিযোগ আসাটাই স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন ধরেননি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ব এনপ র ল ইসল ম গঠন র
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষক লীগ নেতা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে
রংপুরের পীরগঞ্জে মদনখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে কৃষক লীগের নেতা শাহজাহান আলীকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মী। এ ছাড়া একই উপজেলার চৈত্রকোল ইউপিতেও তপশিল ঘোষণার পরও পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রংপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন চৈত্রকোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি সদস্য মমিনুর রহমান এবং মদনখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি মদনখালী ইউপিতে নির্বাচনের জন্য তপশিল ঘোষণা করে উপজেলা কমিটি। ৯ ফেব্রুয়ারি কাদিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই পকেট কমিটি করে ওয়ার্ডের সভাপতি-সম্পাদকসহ স্থানীয় সবার রেজুলেশনে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় কৃষক লীগ নেতা শাহজাহান আলীকে সাধারণ সম্পাদক ও রফিকুল ইসলাম সাজুকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মমিনুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে রাজনীতি করার সময়ে হামলা-মামলাসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির রাজনীতি করার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনে প্রার্থী হতে তপশিল অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও নির্বাচনের দিন তারা নিজ স্বার্থে পকেট কমিটি গঠন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পদবঞ্চিত দু’জন নেতা অনিয়মতান্ত্রিক এবং ভোটাধিকার হরণ করে চৈত্রকোল ও মদনখালী ইউনিয়নে কমিটি গঠনের তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অনৈতিকভাবে গঠিত কমিটি বাতিলসহ গণতান্ত্রিকভাবে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ বিএনপির সদস্য সচিব জাকির হোসেন বলেন, শাহজাহান আলী দীর্ঘদিন আগে কৃষক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা ঠিক। সঠিক কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্য পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। পদ না পেলে এমন অভিযোগ আসাটাই স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন ধরেননি।