মিঠাপুকুরে শাহ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি দখল করে বাড়ি ও বাগান নির্মাণ করা হয়েছে। ৩০ বছর আগে তৎকালীন সেক্রেটারি জমশেদ আলীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ওই জায়গা বেদখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের ধোপাকোল এলাকায় শাহ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্ফ এস্টেট অবস্থিত। এস্টেটের সাবেক সেক্রেটারি জমশেদ আলী কখনও ওয়াক্ফ প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে আবার কখনও অবৈধভাবে ১৯৯৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত শাহ্‌ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনা করেন। এ সময় তাঁর ছত্রছায়ায় ধোপাকোল গ্রামের গোলাপ মিয়া, মোক্তার হোসেন, মোকছেদ আলী ও আফজাল হোসেন এস্টেটের ৬৮ শতক জমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন। 

এস্টেটের বর্তমান সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জমশেদ আলী অবৈধভাবে সেক্রেটারি পদ দখল করে রেখেছিলেন। ওই সময় এস্টেটের ৬৮ শতক জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও আমবাগান করেছেন। আমরা জমি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।’ 

দখলদার গোলাপ হোসেন বলেন, ‘৩০ বছর আগে গ্রামবাসীর সম্মতি নিয়ে মৌখিকভাবে জমি বদল করে এখানে বাড়ি করেছি। অনেক দিন অফিসে ঘুরেছি, রেজিস্ট্রি করতে পারিনি। চাইলেই তো জায়গা ছেড়ে দেওয়া যায় না।’ একই কথা বলেন অন্য দখলদাররাও। সাবেক সেক্রেটারি জমশেদ আলী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়; নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু করা হয়েছে।’ 

জেলার ওয়াক্ফ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি দখল করে বাড়ি করার এখতিয়ার কারও নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল। দখলের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদো না মেসি, কার ভক্ত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ?

দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে নিতে স্বপ্ন দেখেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উপদেষ্টার পরিচয়ের বাইরে তিনিও একজন খেলার বড় ভক্ত। ছোটবেলা থেকেই খেলার প্রতি ভালোবাসা তার, যা কখনও কখনও বাসায় আদুরে শাসনের কারণও হয়েছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘কুল বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন আসিফ মাহমুদ। আয়োজনের এক পর্যায়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে তার প্রিয় খেলা ও খেলোয়াড়ের প্রসঙ্গ।

সরাসরি জানিয়ে দেন, ফুটবলই তার সবচেয়ে প্রিয় খেলা। আর প্রিয় খেলোয়াড়? একটুও না ভেবে বলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে রোনালদো ভক্ত হলেও আসিফ মাহমুদের প্রিয় দল ব্রাজিল। যদি কখনও সুযোগ পেতেন ক্রীড়াবিদ হওয়ার, তবে ফুটবলকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতেন বলেও জানান তিনি।

ছোটবেলায় খেলাধুলা করতে গিয়ে বাসায় মার খেয়েছেন কি না এমন মজার প্রশ্নের জবাবে হাসিমুখে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বাসায় হোমওয়ার্ক না করে খেলতে যাওয়ার কারণে, আমার মনে হয় শতভাগ না হলেও ৯৫ ভাগ মানুষই মার খেয়েছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় হাসপাতালে মিসাইল ছুড়েছে ইসরায়েল, আইসিইউ ও অস্ত্রোপচার বিভাগ ধ্বংস
  • গাজার হাসপাতালে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
  • ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ঘোষণাপত্রে যা বলা হলো
  • ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল সৌদি আরব
  • জীবন বদলে দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের উদ্যোগ
  • মেসি না রোনালদো, কার ভক্ত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ?
  • রোনালদো না মেসি, কার ভক্ত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ?
  • রংপুরে বাঁধ নিয়ে শঙ্কিত মানুষ
  • দখলদারদের তালিকা হলেও দুই যুগেও নেই উচ্ছেদ
  • ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় ইলিয়াস কাঞ্চন