ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি দখল করে বসতবাড়ি
Published: 12th, February 2025 GMT
মিঠাপুকুরে শাহ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি দখল করে বাড়ি ও বাগান নির্মাণ করা হয়েছে। ৩০ বছর আগে তৎকালীন সেক্রেটারি জমশেদ আলীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ওই জায়গা বেদখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের ধোপাকোল এলাকায় শাহ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্ফ এস্টেট অবস্থিত। এস্টেটের সাবেক সেক্রেটারি জমশেদ আলী কখনও ওয়াক্ফ প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে আবার কখনও অবৈধভাবে ১৯৯৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত শাহ্ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনা করেন। এ সময় তাঁর ছত্রছায়ায় ধোপাকোল গ্রামের গোলাপ মিয়া, মোক্তার হোসেন, মোকছেদ আলী ও আফজাল হোসেন এস্টেটের ৬৮ শতক জমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন।
এস্টেটের বর্তমান সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জমশেদ আলী অবৈধভাবে সেক্রেটারি পদ দখল করে রেখেছিলেন। ওই সময় এস্টেটের ৬৮ শতক জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও আমবাগান করেছেন। আমরা জমি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।’
দখলদার গোলাপ হোসেন বলেন, ‘৩০ বছর আগে গ্রামবাসীর সম্মতি নিয়ে মৌখিকভাবে জমি বদল করে এখানে বাড়ি করেছি। অনেক দিন অফিসে ঘুরেছি, রেজিস্ট্রি করতে পারিনি। চাইলেই তো জায়গা ছেড়ে দেওয়া যায় না।’ একই কথা বলেন অন্য দখলদাররাও। সাবেক সেক্রেটারি জমশেদ আলী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়; নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু করা হয়েছে।’
জেলার ওয়াক্ফ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি দখল করে বাড়ি করার এখতিয়ার কারও নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল। দখলের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জিম্মি-বন্দী বিনিময়ের দরজা খোলা আছে: হামাস
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান জিম্মি-বন্দী বিনিময় চুক্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা এখন রয়েছে। তবে এ জন্য দেশটিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত পূরণ করতে হবে।
সোমবার বিকেলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এ কথা জানিয়েছে। এর আগে একই দিন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে অনির্দিষ্টকালের জন্য চুক্তি স্থগিত রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছিল সংগঠনটি।
নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘নির্ধারিত বন্দী বিনিময়ের পাঁচ দিন আগে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘোষণা (স্থগিতের) দিয়েছিল হামাস। এর উদ্দেশ্য ছিল চুক্তির শর্ত পূরণের জন্য যাতে (ইসরায়েলি) দখলদারির বিরুদ্ধে চাপ তৈরির জন্য মধ্যস্থতাকারীরা পর্যাপ্ত সময় পান। দখলদারেরা চুক্তির শর্ত মেনে চললে পরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তী ধাপে বন্দী বিনিময়ের কাজ এগিয়ে নিতে দরজা খোলা থাকবে।’
চুক্তি স্থগিতের ঘোষণায় হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছিলেন, ইসরায়েলের কারণে যুদ্ধবিরতির পর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরতে দেরি হয়েছে। তাঁদের গুলির লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছাতে দেয়নি ইসরায়েল। তাই পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত জিম্মি মুক্তি স্থগিত থাকবে।
হামাসের এই ঘোষণার পর পাল্টা এক বিবৃতি দেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। তিনি বলেন, ‘হামাস জিম্মি মুক্তি বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে, তা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির পুরোপুরি লঙ্ঘন। আমি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে গাজায় সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি।’ আর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামাসের ঘোষণার বিষয়ে জিম্মি ব্যক্তিদের পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৫ মাস রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এরই মধ্যে হামাসের কাছে বন্দী থাকা ১৬ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মুক্তি পাচ্ছেন ইসরায়েলে বন্দী কয়েক শ ফিলিস্তিনিও। এ ধারাবাহিকতায় আগামী শনিবার আরও তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল হামাসের।
আরও পড়ুনজিম্মি মুক্তি স্থগিত হামাসের, সেনা সতর্কতা ইসরায়েলের১ ঘণ্টা আগে