চৌদ্দগ্রামে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সাংবাদিক নিহত
Published: 12th, February 2025 GMT
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের ফকিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জসিম উদ্দিন চৌধুরী ওরফে নিলয় (৪০) উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের দশবাহ গ্রামের প্রয়াত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি বেসরকারি এশিয়ান টেলিভিশনের নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চৌদ্দগ্রামের স্থানীয় সাংবাদিক এমদাদ উল্যাহ ও মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার ফকিরবাজার এলাকায় মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে জসিমকে একটি বাস ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি বাড়িতে ফেরার পথে এ ঘটনার শিকার হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জসিমকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জসিমের ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। তাঁর এমন মৃত্যুতে স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা দিশাহারা।
রাত ১১টার দিকে চৌদ্দগ্রামের মিয়ারবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, অজ্ঞাত বাসের ধাক্কায় সাংবাদিক জসিম উদ্দিন আহত হন। লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া বাসটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল
মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।
গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।
এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।
মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়