মাত্র ৬৩ বছর বয়সে গত বছরের জুলাইয়ে মারা যান শাফিন আহমেদ। মৃত্যুর ঠিক কয়েক মাস আগে ১৪ ফেব্রুয়ারির জন্মদিন দারুণভাবে উদ্‌যাপন করেছিলেন এই ব্যান্ড তারকা। প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই। এক দিন আগেই এবার প্রয়াত এই ব্যান্ড তারকার জন্মদিন উদ্‌যাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরই বড় ভাই হামিন আহমেদ ও শাফিনের তিন সন্তান। ঢাকার তেজগাঁওয়ের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার ‘শাফিন আহমেদ: ইকোস অব আ লিজেন্ড’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে শাফিন আহমেদের সুর করা গান গাইবে মাইলসসহ দেশের আরও চারটি ব্যান্ড।

শাফিন আহমেদ ও তাঁর ছেলে আযরাফ রাকিন ওজি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ফ ন আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

বছরের প্রথম দিনেই সয়াবিন তেল কিনতে হবে ১৪ টাকা বেশিতে      

বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে আনন্দ নিয়ে ঘরে ফেরা হবে না সাধারণ মানুষের। বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়েই হোঁচট খেতে হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রোববার (১৩ এপ্রিল) থেকেই সয়াবিন তেলের বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এর আগে ভোজ্যতেল দাম বড়ানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কয়েক দফা সভা হয়। তবে, সে সময় দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তারা। সরকার এবং ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দফায় দফায় দর কষাকষির পর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বর্ধিত নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে হবে ১৮৯ টাকায়, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা।

নতুন ঘোষণা অনুসারে, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা ছিল ৮৫২ টাকা। বোতলজাত তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৫৭ টাকা। 

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন লিটার প্রতি দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৫ টাকা।

ঈদুল ফিতরের আগে গত ২৭ মার্চ নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন মিলমালিকরা। তখন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া, খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন লিটারে ১৩ টাকা। ভোজ্যতেলের কর-সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরদিন ১ এপ্রিল থেকে এ দর কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। কারণ হিসেবে তারা জানান, কর সুবিধা বাতিল ও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তারা দাম বাড়াতে চান। ওই দিন দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল সংগঠনটি। এর পর থেকেই সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কয়েক দফা সভা হয় এবং দর কষাকষি চলতে থাকে।

গত রমজানের আগে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে সরকার ভোজ্যতেলের ওপর যে শুল্ক-কর ছাড় দিয়েছিল, তার মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়ায় দাম বাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ঈদের ছুটি শেষে গত সপ্তাহের শুরু থেকে দফায় দফায় আলোচনা হয়। তখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকার বেশি হবে নাকি কম, তা নিয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা চলে। গত সপ্তাহের রবি, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এ সভাগুলো হয়। সভায় দর কষাকষি হলেও তখন কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে, কারখানার মালিকদের দাবির আগেই ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কর ছাড়ের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। তবে, এনবিআর এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। ফলে নববর্ষের দিন বাজার করতে গিয়ে ক্রেতাদেও হোঁচট খেতে হবে সয়াবিন তেলের নতুন দাম শুনে।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ