সংস্কারে সময় নষ্ট না করে দ্রুত নির্বাচন দাবি
Published: 12th, February 2025 GMT
শেখ হাসিনা পালানোর পরপরই অর্ধেক সংস্কার হয়ে গেছে। বাকি সংস্কার নির্বাচিত সরকারের করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। তারা সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করেছেন।
গতকাল বুধবার কেন্দ্র ঘোষিত চার জেলায় পৃথক সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, পতিত ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশ করে বিএনপি।
খুলনা ব্যুরো জানায়, গতকাল নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে জেলা বিএনপির সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থ। তাদের অনেকেই পতিত শেখ হাসিনা সরকারের সহযোগী ও রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া কেউ সংবিধান সংশোধন করতে পারে না। এ জন্য সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ফ্যাসিবাদের বিচারসহ সংস্কারের যেসব দাবি উঠছে, এগুলোর আগে দরকার সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক সরকার। জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদার, এম আকবর আলী, কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা প্রমুখ।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, শহরের রেলওয়ে মুক্তমঞ্চ মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবারই রয়েছে। আপনারা (উপদেষ্টারা) রাজনীতি করতে চাইলে পতাকা খুলে বাড়িতে আসেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে সহসাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে জেলা বিএনপির সমাবেশে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাই। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, আকবর আলী প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র জন ত ব এনপ র স ল ইসল ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে যাবে জামায়াতে ইসলামী
বিএনপির পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসছে জামায়াতে ইসলামীও। দলটি জানিয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করবে।
বৈঠক শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রেস ব্রিফিং করবেন।
গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধিদল। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও সেলিমা রহমান।
ওই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন, নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদও বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছিলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হলে বাধা দেবে বিএনপি। তিনি জানান, নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণের ক্ষমতা ইসির নেই। তবে ইসির সঙ্গে তাদের আলাপে মনে হয়েছে, আগামী মে-জুনের মধ্যে ইসি পরিপূর্ণভাবে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হবে।