অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অলরাউন্ডার সালমান আগার জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) রাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ৬ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায়।

করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান করে। জবাব দিতে নেমে ৯১ রানেই তিন উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন রিজওয়ান ও সালমান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ২৬০ রান। তাতে পাকিস্তান পেয়ে যায় জয়ের নাগাল। সালমান ১০৩ বলে ১৬টি চার ও ২ ছক্কায় ১৩৪ রান করে আউট হন জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে। আর রিজওয়ান ১২৮ বল খেলে ৯টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১২২ রানে।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার উইয়ান মুল্ডার ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৭৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি ও করবিন বোশচ।

আরো পড়ুন:

এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না যেসব তারকাদের

বড় হারে ইংল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ

তার আগে হেনরিখ ক্লাসেনের ৮৭, ম্যাথিউ ব্রিটজকের ৮৩ ও টেম্বা বাভুমার ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ৫ উইকেট হারিয়ে। ক্লাসেনের ইনিংসে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল। ব্রিটজকে ১০টি চার ও ১টি টি ছক্কা হাঁকান। আর বাভুমা ১৩টি চার মারেন। তাদের বাইরে ৩ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৪৪ রান করেন কাইল ভেরেইনি।

বল হাতে পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ ও খুশদীল শাহ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট ন ন র জওয় ন

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষ নামের মানুষে জগৎ সয়লাব: আফজাল হোসেন

নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী এ গুনী মানুষটি  লেখালেখিও করেন। প্রায় সময়ই তাঁর লেখায় উঠে আসে সবসাময়িক নানা বিষয়। এবার তার লেখায় উঠে এল মাগুরায় নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুর বিষয়। আজ শনিবার নিজের ফেসবুকে অভিনেতা লিখেছেন, ‘ছোট্ট আছিয়া সামান্য কয়দিনের দুনিয়াদারী করতে এসে বুঝে গেল, এটা নরক। ভালো করেই জেনে গেছে, মানুষ নামের মানুষে জগৎ সয়লাব- আসল মানুষ তেমন নেই।’

এরপর লেখেন, ‘স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও আরও এক দফা বুঝিয়ে দিলেন, শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষের কৃতজ্ঞতা বা গৌরববোধ নেই- তার বদলে নানা প্রকারে মানুষ প্রমাণ দিতে চায়, কতটা নিকৃষ্ট তারা হতে পারে!’

অভিনেতার কথায়, ‘চলে গেল আছিয়া। জীবিতকালে তাকে সন্মান দেখাতে না পারি, মৃত্যুর পর অনেকটাই বোঝাতে পেরেছি, সন্মান দেখানোয় আমরা কতটা দক্ষ, আন্তরিক। দুঃখজনক হচ্ছে, দক্ষতা, আন্তরিকতা প্রকাশ করতে আমাদের কোনো না কোনো উপলক্ষ্েযর প্রয়োজন পড়ে।’ তিনি যোগ করেন, ‘নিপীড়ন, অত্যাচার, অবমাননায় কারও মৃত্যু হলে- তখনই সে জীবন সন্মান, মর্যাদাপ্রাপ্তির উপযুক্ত হয়ে ওঠে। তখনই কেবল সে জীবনের  প্রতি সংবেদনশীলতা প্রদর্শনের তাগিদ অনুভব করি। আমরা এই মানুষ পরিচয়ের প্রাণীরা অসভ্যতা, বর্বরতায় খুব একটা বিব্রত, পীড়িত, অসন্মানিতবোধ করি না- বয়স বিবেচনায় বর্বরকাণ্ডে সমাজসহ শিউরে উঠি।

তার কথায়, ‘কোনো লজ্জা, ঘৃণা বা অতিরিক্ত বেদনার ঘটনা কেউ বেশিদিন মনে রাখে না। আছিয়াকেও মনে থাকবে না কারও কিন্তু নিজের জীবনের বদলে মানুষ ও সমাজের কুৎসিত রূপ সে খুব বড়, স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়ে গেল। বুঝিয়ে দিয়ে গেল, তার জন্ম হয়তো সাধারণ ঘটনা ছিল কিন্তু ছোট্ট সে জীবন মানুষের দায়িত্ব কর্তব্েয নয়, নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতাতেই বিশেষ হয়ে উঠতে পেরেছে।’ 

সবশেষে লিখেছেন, ‘নিকৃষ্ট ও শ্রেষ্ঠত্বের মাঝখানে ভেদ যে বিশেষ নেই, তা কি বোধগম্য হয়েছে আমাদের? হবে কোনোদিনও?
প্রসঙ্গত, মাগুরায় শিশু আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় ছিল সারাদেশ। ৮ বছরের শিশুটি বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আছিয়া। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ