পাবিপ্রবির বাস চালালেন হেলপার, প্রাণ গেল পথচারীর
Published: 12th, February 2025 GMT
পাবনার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাসের চাপায় লক্ষণ কুমার দাস (৫০) নামে এক মুদি দোকানি প্রাণ হারিয়েছেন। শহরের অনন্ত বাজার মোড় এলাকায় বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লক্ষণ সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকার সূর্যকান্ত দাসের ছেলে।
অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা। ঘটনাটি দ্রুত ধামাচাপা ও সমাধানের জন্য হিন্দু কমিউনিটি নেতা ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেন তারা। পরে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার দেওয়ার কথা বলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি নির্ধারিত চালক না চালিয়ে হেলপার চালাচ্ছিলেন।
ঘটনার বিষয়ে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাষ ভদ্র বলেন, ঘটনা শোনার পর ওই পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে থানাতে গিয়েছিলাম অভিযোগ দায়ের করার জন্য। পরিবারের সদস্যরা নিহত ব্যক্তির লাশ পোস্টমর্টেম করতে রাজি হচ্ছিল না। ইতিমধ্যে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ পরিবহন সেক্টরের যারা রয়েছেন তারা এলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আইনগত ঝামেলা না করার অনুরোধ করেন তারা। যেহেতু দরিদ্র পরিবার; তারাও লিখিত অভিযোগ করতে রাজি হলো না। তাই দুপুরের পরে মৃতদেহ থানা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
এই বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড.
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন সড়ক দ র ঘটন পর ব র র সদস র পর ব
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
মডেল মেঘনা আলমকে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার, কারণ উল্লেখ না করে গ্রেপ্তার, ২৪ ঘন্টার বেশি গোয়েন্দা কার্যালয়ে হেফজতে রাখা প্রশ্নে রুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মেঘনা আলমকে দেওয়া আটাকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন। মেঘনা আলমকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তার বাবা বদরুল আলম রিট আবেদন দায়ের করেন।
গত ৯ এপ্রিল রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পর দিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তিনি কারাগারে আছেন।
সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অপরাধে জড়ালে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাঁকে কেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত ‘প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন’ বা প্রতিরোধমূলক আটক করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমন প্রেক্ষাপটে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে গতকাল শনিবার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে মেঘনা আলমকে যে প্রক্রিয়ায় আটক করা হয়েছে, তা সঠিক হয়নি বলে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এর আগে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে মেঘনার বাবা আজ রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কাজী জাহেদ ইকবাল ও প্রিয়া আহসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও জামিলা মমতাজ।
রুলে পরোয়ানা ছাড়া বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার, কারণ না জানিয়ে গ্রেপ্তার, ডিবি কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রাখা ও আইনজীবীর সুযোগ না দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দেওয়া আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান,ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।