পাবনার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাসের চাপায় লক্ষণ কুমার দাস (৫০) নামে এক মুদি দোকানি প্রাণ হারিয়েছেন। শহরের অনন্ত বাজার মোড় এলাকায় বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লক্ষণ সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকার সূর্যকান্ত দাসের ছেলে।

অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা। ঘটনাটি দ্রুত ধামাচাপা ও সমাধানের জন্য হিন্দু কমিউনিটি নেতা ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেন তারা। পরে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার দেওয়ার কথা বলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি নির্ধারিত চালক না চালিয়ে হেলপার চালাচ্ছিলেন।

ঘটনার বিষয়ে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাষ ভদ্র বলেন, ঘটনা শোনার পর ওই পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে থানাতে গিয়েছিলাম অভিযোগ দায়ের করার জন্য। পরিবারের সদস্যরা নিহত ব্যক্তির লাশ পোস্টমর্টেম করতে রাজি হচ্ছিল না। ইতিমধ্যে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ পরিবহন সেক্টরের যারা রয়েছেন তারা এলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আইনগত ঝামেলা না করার অনুরোধ করেন তারা। যেহেতু দরিদ্র পরিবার; তারাও লিখিত অভিযোগ করতে রাজি হলো না। তাই দুপুরের পরে মৃতদেহ থানা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

এই বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড.

মো. কামরুজ্জামান বলেন, আসলে সব সময় তো খেয়াল রাখা যায় না কে কখন কোন গাড়ি চালাচ্ছে। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে কথা বলেছি। তাদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে যে দোকান ঘর রয়েছে সেটির বিষয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছি। রোববার ভিসি স্যারের সাথে দেখা করবে তারা। স্যার যেটা ভালো মনে করেন সেটি করবেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন সড়ক দ র ঘটন পর ব র র সদস র পর ব

এছাড়াও পড়ুন:

পাবিপ্রবির বাস চালালেন হেলপার, প্রাণ গেল পথচারীর

পাবনার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাসের চাপায় লক্ষণ কুমার দাস (৫০) নামে এক মুদি দোকানি প্রাণ হারিয়েছেন। শহরের অনন্ত বাজার মোড় এলাকায় বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লক্ষণ সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকার সূর্যকান্ত দাসের ছেলে।

অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা। ঘটনাটি দ্রুত ধামাচাপা ও সমাধানের জন্য হিন্দু কমিউনিটি নেতা ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেন তারা। পরে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার দেওয়ার কথা বলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি নির্ধারিত চালক না চালিয়ে হেলপার চালাচ্ছিলেন।

ঘটনার বিষয়ে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাষ ভদ্র বলেন, ঘটনা শোনার পর ওই পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে থানাতে গিয়েছিলাম অভিযোগ দায়ের করার জন্য। পরিবারের সদস্যরা নিহত ব্যক্তির লাশ পোস্টমর্টেম করতে রাজি হচ্ছিল না। ইতিমধ্যে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ পরিবহন সেক্টরের যারা রয়েছেন তারা এলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আইনগত ঝামেলা না করার অনুরোধ করেন তারা। যেহেতু দরিদ্র পরিবার; তারাও লিখিত অভিযোগ করতে রাজি হলো না। তাই দুপুরের পরে মৃতদেহ থানা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

এই বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আসলে সব সময় তো খেয়াল রাখা যায় না কে কখন কোন গাড়ি চালাচ্ছে। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে কথা বলেছি। তাদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে যে দোকান ঘর রয়েছে সেটির বিষয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছি। রোববার ভিসি স্যারের সাথে দেখা করবে তারা। স্যার যেটা ভালো মনে করেন সেটি করবেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ